ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ আর নেই

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ আর নেই। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। গত ৩১ জুলাই থেকে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
চলতি বছরের এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন অশীতিপর এই সাহিত্যিক। সেই সময় শহরের একটি হোটেলে থাকেন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। ৩৩ দিন লড়াইয়ের পর করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন বুদ্ধদেব। তবে আবার অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও আর বাড়ি ফেরা হলো না তার।
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার পাশাপাশি বুদ্ধদেবের মূত্রনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল বলে জানা গেছে। এছাড়া তার লিভার এবং কিডনিতেও সামান্য সমস্যা ছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর ফের কোভিড পরীক্ষা করা হলে তাতে সংক্রমণ ধরা পড়েনি। দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় ভোগা বুদ্ধদেব বয়সজনিত নানা সমস্যাতেও ভুগছিলেন।
সমকালীন বাংলা সাহিত্যে নিজের জায়গা গড়ে নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘জঙ্গল মহল’-এর পর থেকে ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘অববাহিকা’, ‘বাবলি’-একের পর এক উপন্যাস উপহার দিয়েছেন পাঠকদের। কিশোর সাহিত্যেও ছিল অবাধ বিচরণ। তার সৃষ্ট ‘ঋজুদা’ বা ‘ঋভু’র মতো চরিত্র আকৃষ্ট করে রেখেছে কয়েক প্রজন্মের বহু কিশোর-কিশোরীর মনকে। হলুদ বসন্ত উপন্যাসের জন্য ১৯৭৬ সালে পান আনন্দ পুরস্কার।
১৯৩৬ সালের ২৯ জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধদেব গুহ। তার মৃত্যুতে সাহিত্য মহলে শোকের ছায়া নেমেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ আর নেই

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ আর নেই। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। গত ৩১ জুলাই থেকে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
চলতি বছরের এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন অশীতিপর এই সাহিত্যিক। সেই সময় শহরের একটি হোটেলে থাকেন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। ৩৩ দিন লড়াইয়ের পর করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন বুদ্ধদেব। তবে আবার অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও আর বাড়ি ফেরা হলো না তার।
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার পাশাপাশি বুদ্ধদেবের মূত্রনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল বলে জানা গেছে। এছাড়া তার লিভার এবং কিডনিতেও সামান্য সমস্যা ছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর ফের কোভিড পরীক্ষা করা হলে তাতে সংক্রমণ ধরা পড়েনি। দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় ভোগা বুদ্ধদেব বয়সজনিত নানা সমস্যাতেও ভুগছিলেন।
সমকালীন বাংলা সাহিত্যে নিজের জায়গা গড়ে নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘জঙ্গল মহল’-এর পর থেকে ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘অববাহিকা’, ‘বাবলি’-একের পর এক উপন্যাস উপহার দিয়েছেন পাঠকদের। কিশোর সাহিত্যেও ছিল অবাধ বিচরণ। তার সৃষ্ট ‘ঋজুদা’ বা ‘ঋভু’র মতো চরিত্র আকৃষ্ট করে রেখেছে কয়েক প্রজন্মের বহু কিশোর-কিশোরীর মনকে। হলুদ বসন্ত উপন্যাসের জন্য ১৯৭৬ সালে পান আনন্দ পুরস্কার।
১৯৩৬ সালের ২৯ জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধদেব গুহ। তার মৃত্যুতে সাহিত্য মহলে শোকের ছায়া নেমেছে।