ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রকৌশলী হাকিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাহাড়

  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী সংবাদদাতা: ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের পরও আজ অবদি বিভিন্ন দপ্তরে তাদের দোসরা এখনো রয়েছেন বহালতবিয়তে। বিভিন্ন সময়ে তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হলেও আওয়ামপন্থি প্রকৌশলী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি তৎকালীন সরকার। রাজশাহী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির পাহাড় পরিমান অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি এখনো স্বপদে বহাল আছেন। আওয়ামী লীগপন্থি প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম তার দলীয় কিছু ঠিকাদার মারফত শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সম্প্রতি কিছু সুবিধাবাদী ছত্রছায়ায় পূর্বের ন্যায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজশাহী সড়ক বিভাগের নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সাবেক ওই মন্ত্রী। কমিশনের টাকা মন্ত্রী থেকে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ভাগ পেয়েছে বলেই কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমের এ পর্যন্ত যত কাজ করেছেন তার থেকে ২০% কমিশন নিয়েছেন বলে অভিযোগ খোদ ঠিকাদারদের। পদে পদে কমিশন দেওয়ায় হয়েছে নিম্নমানের কাজ, চলেছে লুটপাট। প্রতিটি কাজে ২০% কমিশন নিয়ে ইতোমধ্যে শত কোটি টাকা মালিক হয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া আহ্বান করেছেন বঞ্চিত অনেক ঠিকাদার।
এক ঠিকাদার বলেন, মহাসড়কে হওয়া প্রতিটি কাজ রি-টেন্ডার করে একই কাজে বিল বৃদ্ধি করা হয়েছে। কাজগুলো এতোটাই নিম্নমানের করা হয়েছে ইতোমধ্যে প্রতিটি রাস্তার ফাটল ও ভাঙ্গন ধরেছে। সরকারি টাকা লুটপাট করে আব্দুল হাকিম গ্রামে ও ঢাকায় গড়েছে বাড়ি গাড়ি। তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যান্ত জরুরি।
এসব বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন দিয়ে রাজশাহী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ম্যাসেঞ্জারে ক্ষুদে বার্তা দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশলী হাকিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাহাড়

আপডেট সময় : ০৮:৪২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

রাজশাহী সংবাদদাতা: ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের পরও আজ অবদি বিভিন্ন দপ্তরে তাদের দোসরা এখনো রয়েছেন বহালতবিয়তে। বিভিন্ন সময়ে তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হলেও আওয়ামপন্থি প্রকৌশলী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি তৎকালীন সরকার। রাজশাহী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির পাহাড় পরিমান অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি এখনো স্বপদে বহাল আছেন। আওয়ামী লীগপন্থি প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম তার দলীয় কিছু ঠিকাদার মারফত শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সম্প্রতি কিছু সুবিধাবাদী ছত্রছায়ায় পূর্বের ন্যায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজশাহী সড়ক বিভাগের নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সাবেক ওই মন্ত্রী। কমিশনের টাকা মন্ত্রী থেকে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ভাগ পেয়েছে বলেই কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমের এ পর্যন্ত যত কাজ করেছেন তার থেকে ২০% কমিশন নিয়েছেন বলে অভিযোগ খোদ ঠিকাদারদের। পদে পদে কমিশন দেওয়ায় হয়েছে নিম্নমানের কাজ, চলেছে লুটপাট। প্রতিটি কাজে ২০% কমিশন নিয়ে ইতোমধ্যে শত কোটি টাকা মালিক হয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া আহ্বান করেছেন বঞ্চিত অনেক ঠিকাদার।
এক ঠিকাদার বলেন, মহাসড়কে হওয়া প্রতিটি কাজ রি-টেন্ডার করে একই কাজে বিল বৃদ্ধি করা হয়েছে। কাজগুলো এতোটাই নিম্নমানের করা হয়েছে ইতোমধ্যে প্রতিটি রাস্তার ফাটল ও ভাঙ্গন ধরেছে। সরকারি টাকা লুটপাট করে আব্দুল হাকিম গ্রামে ও ঢাকায় গড়েছে বাড়ি গাড়ি। তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যান্ত জরুরি।
এসব বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন দিয়ে রাজশাহী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ম্যাসেঞ্জারে ক্ষুদে বার্তা দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।