ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

প্রকৃতির ক্ষতি করে কৃষিপণ্য উৎপাদনে যাবে না ৪৫ দেশ-কোম্পানি

  • আপডেট সময় : ০১:৫২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বায়ুম-লে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে এবং প্রকৃতির ক্ষতি হয়, এমন কৃষিপণ্য উৎপাদনে যাবে না বিশ্বের ৪৫টি দেশ ও কোম্পানি। জমি চাষে তারা আরও টেকসই উপায় বের করবে। এছাড়া চাষ ও সেচ ব্যবস্থাপনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দেশগুলো।
গতকাল রোববার (৭ নভেম্বর) স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর স্কটিশ ইভেন্ট সেন্টারের গ্রিন জোনে দেশগুলো এমন সিদ্ধান্তে ঐক্যমত হন।
এদিকে, ৯৫টি হাই প্রোফাইল কোম্পানি ‘নেচার পজেটিভ’ কৃষি ব্যবস্থাপনায় যাবে। এসব কোম্পানি প্রকৃতির অবক্ষয় বন্ধে কাজ করবে। তবে তারা ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় চেয়েছে। এসব দেশের তালিকায় রয়েছে ভারত, কলম্বিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি, ঘানা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ।
জানা গেছে, ‘কপ২৬ সম্মেলনে’ কৃষক ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে প্রকৃতি রক্ষা করতে এবং টেকসই কৃষি ও ভূমি ব্যবহারে সর্তক করা হয়েছে। সতর্ক করার পর ওই দেশগুলো জানিয়েছে, আরও টেকসই এবং কম দূষণ করে এমন কৃষিপণ্য উৎপাদনে যাবে তারা। এজন্য তাদের কৃষিনীতি পরিবর্তন করে টেকসই কৃষির দিকে পা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেয় দেশগুলো।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্রাজিল ৭২ মিলিয়ন হেক্টর জমি ‘নেচার পজেটিভ’ কৃষিতে নিয়ে যাবে। ফলে কৃষিতে ২০৩০ সাল নাগাদ এক বিলিয়ন টন কম কার্বন নিঃসরণ করবে দেশটি। ২৫ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে কার্বন নিঃসরণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে কৃষিপণ্য উৎপাদন করবে জার্মানি। অন্যদিকে, ৭২ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে নেচার পজেটিভ কৃষিপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ কমাবে যুক্তরাজ্য। ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ৭৫ ভাগ কৃষিকাজ নেচার পজেটিভ হবে। এছাড়া ২৮টি দেশ উন্নয়ন প্রচারের পাশাপাশি বন রক্ষার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। বাণিজ্যিক কৃষিতে ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করবে উন্নয়নশীল দেশগুলো। বর্তমানে বিশ্বের ৯১ ভাগ বনভূমি কভার করে ১৩৪টি দেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে বনের ক্ষয়ক্ষতি এবং জমির ক্ষয় বন্ধ করা এবং তা প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে দেশগুলো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক হত্যার দায় এড়াতে পারি না, আমাদের ব্যর্থতা আছে

প্রকৃতির ক্ষতি করে কৃষিপণ্য উৎপাদনে যাবে না ৪৫ দেশ-কোম্পানি

আপডেট সময় : ০১:৫২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : বায়ুম-লে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে এবং প্রকৃতির ক্ষতি হয়, এমন কৃষিপণ্য উৎপাদনে যাবে না বিশ্বের ৪৫টি দেশ ও কোম্পানি। জমি চাষে তারা আরও টেকসই উপায় বের করবে। এছাড়া চাষ ও সেচ ব্যবস্থাপনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দেশগুলো।
গতকাল রোববার (৭ নভেম্বর) স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর স্কটিশ ইভেন্ট সেন্টারের গ্রিন জোনে দেশগুলো এমন সিদ্ধান্তে ঐক্যমত হন।
এদিকে, ৯৫টি হাই প্রোফাইল কোম্পানি ‘নেচার পজেটিভ’ কৃষি ব্যবস্থাপনায় যাবে। এসব কোম্পানি প্রকৃতির অবক্ষয় বন্ধে কাজ করবে। তবে তারা ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় চেয়েছে। এসব দেশের তালিকায় রয়েছে ভারত, কলম্বিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি, ঘানা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ।
জানা গেছে, ‘কপ২৬ সম্মেলনে’ কৃষক ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে প্রকৃতি রক্ষা করতে এবং টেকসই কৃষি ও ভূমি ব্যবহারে সর্তক করা হয়েছে। সতর্ক করার পর ওই দেশগুলো জানিয়েছে, আরও টেকসই এবং কম দূষণ করে এমন কৃষিপণ্য উৎপাদনে যাবে তারা। এজন্য তাদের কৃষিনীতি পরিবর্তন করে টেকসই কৃষির দিকে পা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেয় দেশগুলো।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্রাজিল ৭২ মিলিয়ন হেক্টর জমি ‘নেচার পজেটিভ’ কৃষিতে নিয়ে যাবে। ফলে কৃষিতে ২০৩০ সাল নাগাদ এক বিলিয়ন টন কম কার্বন নিঃসরণ করবে দেশটি। ২৫ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে কার্বন নিঃসরণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে কৃষিপণ্য উৎপাদন করবে জার্মানি। অন্যদিকে, ৭২ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে নেচার পজেটিভ কৃষিপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ কমাবে যুক্তরাজ্য। ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ৭৫ ভাগ কৃষিকাজ নেচার পজেটিভ হবে। এছাড়া ২৮টি দেশ উন্নয়ন প্রচারের পাশাপাশি বন রক্ষার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। বাণিজ্যিক কৃষিতে ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করবে উন্নয়নশীল দেশগুলো। বর্তমানে বিশ্বের ৯১ ভাগ বনভূমি কভার করে ১৩৪টি দেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে বনের ক্ষয়ক্ষতি এবং জমির ক্ষয় বন্ধ করা এবং তা প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে দেশগুলো।