ঢাকা ১০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানে জলবায়ু মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ’

  • আপডেট সময় : ১১:০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মহামারি, জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংস, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তাই বাংলাদেশ জলবায়ু, প্রকৃতি ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু-সহিষ্ণু জাতি গঠনে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১-এ উন্নত ও টেকসই পরিবেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে ‘গ্রিন গ্রোথ স্ট্র্যাটেজি’ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সুওন শহরে অনুষ্ঠিত ‘ফোর্থ ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম সেশন অব দ্য ফোরাম অব মিনিস্টার্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অথোরিটিজ অব এশিয়া প্যাসিফিকে’ ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ও কার্যকরভাবে জলবায়ু ঝুঁকি কমানোর মাধ্যমে একটি নিরাপদ, জলবায়ু-সহিষ্ণু ও সমৃদ্ধ বদ্বীপ অর্জনের জন্য সরকার ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ নিয়েছে। গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন কমাতে বাংলাদেশ চলতি বছরের ২৬ আগস্ট ইউএনএফসিসিতে সংশোধিত ও উন্নত ‘ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস’ জমা দিয়েছে।
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু-সহিষ্ণুতা ও প্রকৃতিভিত্তিক পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয়ভাবে বাস্তবায়নযোগ্য অভিযোজন পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান-২০৩০’ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান’, ‘কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান অন এনভায়রনমেন্ট, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’, ‘রিনিউয়েবল এনার্জি রোডম্যাপ’ ও ‘প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকশন প্ল্যান’ প্রভৃতি সেক্টোরাল পলিসি ও অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করছে।
জাতীয় পর্যায়ে গৃহীত এসব কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মন্ত্রী আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আহ্বান জানান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানে জলবায়ু মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ’

আপডেট সময় : ১১:০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মহামারি, জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংস, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তাই বাংলাদেশ জলবায়ু, প্রকৃতি ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু-সহিষ্ণু জাতি গঠনে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১-এ উন্নত ও টেকসই পরিবেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে ‘গ্রিন গ্রোথ স্ট্র্যাটেজি’ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সুওন শহরে অনুষ্ঠিত ‘ফোর্থ ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম সেশন অব দ্য ফোরাম অব মিনিস্টার্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অথোরিটিজ অব এশিয়া প্যাসিফিকে’ ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ও কার্যকরভাবে জলবায়ু ঝুঁকি কমানোর মাধ্যমে একটি নিরাপদ, জলবায়ু-সহিষ্ণু ও সমৃদ্ধ বদ্বীপ অর্জনের জন্য সরকার ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ নিয়েছে। গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন কমাতে বাংলাদেশ চলতি বছরের ২৬ আগস্ট ইউএনএফসিসিতে সংশোধিত ও উন্নত ‘ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস’ জমা দিয়েছে।
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু-সহিষ্ণুতা ও প্রকৃতিভিত্তিক পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয়ভাবে বাস্তবায়নযোগ্য অভিযোজন পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান-২০৩০’ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান’, ‘কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান অন এনভায়রনমেন্ট, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’, ‘রিনিউয়েবল এনার্জি রোডম্যাপ’ ও ‘প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকশন প্ল্যান’ প্রভৃতি সেক্টোরাল পলিসি ও অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করছে।
জাতীয় পর্যায়ে গৃহীত এসব কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মন্ত্রী আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আহ্বান জানান।