প্রযুক্তি ডেস্ক : যে প্রত্যন্ত গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তে পারিনি, সেই প্রত্যন্ত নিভৃত গ্রাম থেকে এখন মাস্টার্সও পড়া যায়। ২৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে হোস্টেলে থেকে হাইস্কুল জীবন কাটাতে হয়েছে। তিন হাজার মানুষের সেই গ্রামটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ৬-৭ হাজার শিক্ষার্থীর পদভারে মুখরিত। বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, সড়ক— কী নেই সেখানে। নিজ জন্মস্থান খালিয়াজুরীর কৃষ্ণপুর গ্রামের চিত্র তুল ধরে গল্পের মতো করে বলছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর জীবনী গ্রন্থ ‘মোস্তাফা জব্বার-একাকী এক পর্বতারোহী’ এবং নগদ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকের ‘অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে ডিজিটাল বিপ্লব’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
লেখক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় মন্ত্রীর এ জীবনী গ্রন্থটি রচনা করেন এবং বইটিটি প্রকাশ করেছেন প্রকৌশলী মেহেদী হাসান।
জাতীয় অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কথা সাহিত্িযক, বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন, আবৃত্তিকার অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী ও তানভীর এ মিশুক বক্তৃতা করেন।
সভাপতির ব্ক্তৃতায় একে আজাদ চৌধুরী বলেন, ‘কম্পিউটার প্রযুক্তিতে মোস্তাফা জব্বারের অবদান অম্লান হয়ে থাকবে। তার জীবনী থেকে নতুন প্রজন্ম নিজেদের তৈরি করতে অনুপ্রাণিত হবে।’
সেলিনা হোসেন বলেন, ‘প্রযুক্তিতে বাংলাভাষাকে বৈশ্বিক ভাষায় রূপান্তরে মোস্তাফা জব্বার একজন নায়ক হিসেবে বিরাজমান থাকবেন।’
রূপা চক্রবর্তী বলেন, ‘বাংলা ভাষার প্রথম বিশ্বায়নের কাজটি করে দিয়েছেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি বিদেশিদের জন্য বাংলা লেখার প্রথম ও একমাত্র সফটওয়্যার তৈরি করেন ২০০৬ সালে।’
তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘যাত্রার শুরু থেকেই ডিজিটাল সেবাকে সর্বজনীন করার মাধ্যমে দেশের সব মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সম্মিলিতভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা। এই বইয়ের মাধ্যমে আমি একটি বিষয় সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি, সেটি হলো— ডিজিটাল বিপ্লবের পর এখন আমাদের সময় এসেছে এর সুফল সবার ঘরে পৌঁছে দেওয়ার।’
‘মোস্তাফা জব্বার-একাকী এক পর্বতারোহী’ বইটি একুশে বইমেলার বাংলাপ্রকাশের প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাবে। তানভীর এ মিশুকের বই একুশে বইমেলায় ৪৩৯-৪৪১ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে।
প্রকাশ হলো জীবনীগ্রন্থ ‘মোস্তাফা জব্বার-একাকী এক পর্বতারোহী’
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ