ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

পৌর মেয়রের পিএসকে চট্টগ্রামে অপহরণের চেষ্টা

  • আপডেট সময় : ০৩:২৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশ পরিচয়ে বাস থেকে নামিয়ে এক তরুণকে জোরপূর্বক অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। ওই তরুণ নেত্রকোনার আওয়ামী লীগ দলীয় এক জনপ্রতিনিধির ব্যক্তিগত সহকারী বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নেত্রকোনার আওয়ামী লীগ দলীয় দুই জনপ্রতিনিধির দ্বন্দ্বের জেরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারীকে অপহরণের চেষ্টা হয়েছে। পুলিশ এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছে। বুধবার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানার তুলাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার শিকার সাগর খান (২০) নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মো. আলা উদ্দিন আলালের ব্যক্তিগত সহকারী এবং স্থানীয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। গ্রেফতার পাঁচজন হলেন আলী আকবর (২৪), শহীদুল ইসলাম শাহীন (২৫), মো, রবিন (২৫), মো. আরাফাত (২২), মো. মিনহাজ (২১)। এরা বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা-ের অভিযোগ আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম সারাবাংলাকে জানান, মেয়র আলা উদ্দিন আলাল পরিবারের সদস্য ও অনুসারীদের নিয়ে গত ৩০ জুলাই কক্সবাজারে ভ্রমণে যান। সঙ্গে নিয়েছিলেন ব্যক্তিগত সহকারী সাগরকেও। বুধবার রাতে তিনি কক্সবাজার থেকে নেত্রকোনা ফিরছিলেন। ব্যক্তিগত গাড়িতে মেয়র ও তার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। পেছনে বাসে সফরসঙ্গীরা ছিলেন। ‘বাস শাহ আমানত সেতু পার হওয়ার পর কৃত্রিম উপায়ে যানজট সৃষ্টি করে বাসের গতি স্তিমিত করা হয়। তুলাতলী এলাকায় পৌঁছার পর ১০-১২ জন যুবক পুলিশ পরিচয়ে বাসে ওঠে। এ সময় তারা কয়েকজনের ব্যাগ তল্লাশি করে নাম ধরে সাগরের খোঁজ জানতে চায়। সাগর নিজের পরিচয় দেওয়ার পরপরই তাকে কলার ধরে টেনে বাস থেকে নামিয়ে ফেলে। সাগরের চিৎকারে বাসে থাকা মেয়রের অন্য সফরসঙ্গীরা আকবরকে ধরে ফেলে।’ ওসি রহিম জানান, ঘটনার সময় তুলাতলী এলাকায় এক পুলিশ সদস্য বিষয়টি দেখতে পান। তিনি জানানোর পর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে সাগর ও আকবরকে থানায় নিয়ে যায়। মেয়র ও সফরসঙ্গীদের দেয়া তথ্যমতে এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে আরও চারজনকে শনাক্ত করা হয়। রাতেই বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ও কর্ণফুলী থানার মইজ্জ্যার টেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ভোরে মেয়র ও সফরসঙ্গীরা নেত্রকোনার উদ্দেশে রওনা দেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পৌর মেয়রের পিএসকে চট্টগ্রামে অপহরণের চেষ্টা

আপডেট সময় : ০৩:২৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশ পরিচয়ে বাস থেকে নামিয়ে এক তরুণকে জোরপূর্বক অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। ওই তরুণ নেত্রকোনার আওয়ামী লীগ দলীয় এক জনপ্রতিনিধির ব্যক্তিগত সহকারী বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নেত্রকোনার আওয়ামী লীগ দলীয় দুই জনপ্রতিনিধির দ্বন্দ্বের জেরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারীকে অপহরণের চেষ্টা হয়েছে। পুলিশ এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছে। বুধবার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানার তুলাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার শিকার সাগর খান (২০) নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মো. আলা উদ্দিন আলালের ব্যক্তিগত সহকারী এবং স্থানীয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। গ্রেফতার পাঁচজন হলেন আলী আকবর (২৪), শহীদুল ইসলাম শাহীন (২৫), মো, রবিন (২৫), মো. আরাফাত (২২), মো. মিনহাজ (২১)। এরা বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা-ের অভিযোগ আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম সারাবাংলাকে জানান, মেয়র আলা উদ্দিন আলাল পরিবারের সদস্য ও অনুসারীদের নিয়ে গত ৩০ জুলাই কক্সবাজারে ভ্রমণে যান। সঙ্গে নিয়েছিলেন ব্যক্তিগত সহকারী সাগরকেও। বুধবার রাতে তিনি কক্সবাজার থেকে নেত্রকোনা ফিরছিলেন। ব্যক্তিগত গাড়িতে মেয়র ও তার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। পেছনে বাসে সফরসঙ্গীরা ছিলেন। ‘বাস শাহ আমানত সেতু পার হওয়ার পর কৃত্রিম উপায়ে যানজট সৃষ্টি করে বাসের গতি স্তিমিত করা হয়। তুলাতলী এলাকায় পৌঁছার পর ১০-১২ জন যুবক পুলিশ পরিচয়ে বাসে ওঠে। এ সময় তারা কয়েকজনের ব্যাগ তল্লাশি করে নাম ধরে সাগরের খোঁজ জানতে চায়। সাগর নিজের পরিচয় দেওয়ার পরপরই তাকে কলার ধরে টেনে বাস থেকে নামিয়ে ফেলে। সাগরের চিৎকারে বাসে থাকা মেয়রের অন্য সফরসঙ্গীরা আকবরকে ধরে ফেলে।’ ওসি রহিম জানান, ঘটনার সময় তুলাতলী এলাকায় এক পুলিশ সদস্য বিষয়টি দেখতে পান। তিনি জানানোর পর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে সাগর ও আকবরকে থানায় নিয়ে যায়। মেয়র ও সফরসঙ্গীদের দেয়া তথ্যমতে এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে আরও চারজনকে শনাক্ত করা হয়। রাতেই বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ও কর্ণফুলী থানার মইজ্জ্যার টেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ভোরে মেয়র ও সফরসঙ্গীরা নেত্রকোনার উদ্দেশে রওনা দেন।