নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের পৌর এলাকায় ৮০ শতাংশ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বাইরে থাকে যা সরাসরি পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। দেশের ৫০টি পৌরসভায় বেজলাইন সার্ভে করে এই তথ্য পায় ওয়াটার এইড বাংলাদেশ।
গতকাল বুধবার এক জাতীয় কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের টেকনিক্যাল লিড মো. তাহমিদুল ইসলাম। এ কারণে মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমএবি), সিটিওয়াইড ইনক্লুসিভ স্যানিটেশন- জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট সেল (সিএফএসসি-ডিপিএইচই), বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ নেটওয়ার্ক সেন্টারের সহযোগিতায় ওয়াটারএইড ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (আইটিএন-বুয়েট) এবং সংশ্লিষ্ট মিউনিসিপ্যালিটিগুলো প্রথম ‘সিটিওয়াইড ইনক্লুসিভ স্যানিটেশন (সিডবিøউআইএস)’ পরিকল্পনা তৈরি করেছে। দেশের পাঁচটি পৌরসভার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এই কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়। জাতীয় কর্মশালায় এই পরিকল্পনা উন্মোচন করা হয়। ওয়াটারএইড বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর পার্থ হেফাজ শেখের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে এই কর্মশালা শুরু হয়। এরপর গবেষণার সম্মিলিত ফলাফল এবং লালমনিরহাট, ল²ীপুর, সৈয়দপুর, সখীপুর এবং টেকনাফ পৌরসভার সিটিওয়াইড ইনক্লুসিভ স্যানিটেশন (সিডবিøউআইএস) পরিকল্পনা উন্নয়নের প্রক্রিয়ার উপর একটি উপস্থাপনা দেওয়া হয়।
সমীক্ষার তথ্য বলছে, পৌর এলাকার ১৮ শতাংশ কঠিন বর্জ্য ডিস্পজাল সাইটে থেকে যায় আর শুধু ২ শতাংশ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হয়। ১৯ শতাংশ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হলেও বাকিটা ব্যবস্থাপনার বাইরে থেকে যায়। তৈরি করা পরিকল্পনা নিয়ে কর্মশালায় পাঁচটি পৌরসভার মেয়রদের গ্রæপে আলোচনার পর শহরব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন সহযোগীদের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরের মাধ্যমে পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। কর্মশালায় লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যগত সুবিধা নিশ্চিতে আমরা দায়িত্ব নিলাম। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক করতে পারলে আমরা তা নিশ্চিত করতে পারবো। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা জনপ্রতিনিধিরা কর্মপরিকল্পনাটি সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে টেকসই করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কর্মশালায় ম্যাবের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, অধিকাংশ পয়োবর্জ্য নদী-খালে গিয়ে পড়ছে। এই বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদেরকে দায়িত্বশীল ভ‚মিকা পালন করতে হবে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন (বিএমজিএফ) এবং সুইডেন সরকারের সহায়তায়, ওয়াটারএইড বাংলাদেশে ‘জাতীয় এবং দ্বিপাক্ষিক ওয়াশ অ্যাডভোকেসি (নবওয়াশা)’ এবং ‘ওয়াশ ফর আরবান পুওর (ওয়াশ ফোর ইউপি) প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পগুলো জলবায়ু স্থিতিস্থাপক স্যানিটেশন উন্নত করা, ইকুইটি নিশ্চিত, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে কাউকে পিছিয়ে না রাখার অঙ্গীকারসহ বাংলাদেশে শহরব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশনের স্থায়িত্বের প্রচার করার কাজ করছে।
পৌর এলাকায় ৮০ শতাংশ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বাইরে থাকে
জনপ্রিয় সংবাদ