ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করলেন সুইডেনের প্রিন্সেস

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশে সফরে আসা সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি জোরদার করতে এবং কাউকে পেছনে না ফেলে সরকারি সব সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে খুলনার একটি পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করেছেন।
গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ইউএনডিপি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপিএত জানানো হয়, ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া খুলনার কয়রা এলাকা পরিদর্শনের সময় গ্রামীণ স¤প্রদায়ের ডিজিটাল পরিষেবার উপকারভোগীসহ সরকার ও ইউএনডিপি কর্তৃক বা¯Íবায়িত একাধিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উলরিকা মোদের এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক সুইডিশ মন্ত্রী জোহান ফরসেল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকসহ এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট (এসএসপি) উদ্যোগ, প্রথাগত ডাক পরিষেবাগুলোর সঙ্গে ডিজিটাল সমাধানগুলোকে একীভ‚ত করার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। যা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বিনির্মাণে একটি উলেøখযোগ্য অগ্রগতির প্রতিনিধিত্ব করবে। পার্সেল ট্র্যাকিং, বিল পেমেন্ট এবং ই-কমার্স সুবিধার মতো সুযোগ-সুবিধার আয়োজন নিয়ে এই সার্ভিস পয়েন্ট বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় অভিগম্যতা ও দক্ষতার বিপ্লব ঘটাবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডিজিটাল সেন্টার ‘উদ্যোগ’র গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘ডিজিটাল সেন্টার সরকারি পরিষেবাগুলোকে তৃণমূল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে, প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোকে সহজলভ্য করে তুলছে।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক তার বক্তব্যে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট এমন একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হচ্ছে— ডাক পরিষেবাগুলোতে প্রতিটি নাগরিকের অভিগম্যতা এবং দক্ষতা উন্নত করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা।’
ইউএনডিপির প্রতিনিধি দলটি মহারাজপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারও পরিদর্শন করে। ডিজিটাল সেন্টার পরিদর্শনকালে সুবিধাভোগীরা তাদের নানা ধরনের সেবা গ্রহণের বিষয় তুলে ধরেন। গ্রামীণ নাগরিকদের জন্য সরকারি পরিষেবা, আর্থিক লেনদেন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোতে অভিগম্যতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এর অবদানকে তুলে ধরেন তারা।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করলেন সুইডেনের প্রিন্সেস

আপডেট সময় : ০৯:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশে সফরে আসা সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি জোরদার করতে এবং কাউকে পেছনে না ফেলে সরকারি সব সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে খুলনার একটি পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করেছেন।
গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ইউএনডিপি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপিএত জানানো হয়, ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া খুলনার কয়রা এলাকা পরিদর্শনের সময় গ্রামীণ স¤প্রদায়ের ডিজিটাল পরিষেবার উপকারভোগীসহ সরকার ও ইউএনডিপি কর্তৃক বা¯Íবায়িত একাধিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উলরিকা মোদের এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক সুইডিশ মন্ত্রী জোহান ফরসেল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকসহ এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট (এসএসপি) উদ্যোগ, প্রথাগত ডাক পরিষেবাগুলোর সঙ্গে ডিজিটাল সমাধানগুলোকে একীভ‚ত করার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। যা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বিনির্মাণে একটি উলেøখযোগ্য অগ্রগতির প্রতিনিধিত্ব করবে। পার্সেল ট্র্যাকিং, বিল পেমেন্ট এবং ই-কমার্স সুবিধার মতো সুযোগ-সুবিধার আয়োজন নিয়ে এই সার্ভিস পয়েন্ট বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় অভিগম্যতা ও দক্ষতার বিপ্লব ঘটাবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডিজিটাল সেন্টার ‘উদ্যোগ’র গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘ডিজিটাল সেন্টার সরকারি পরিষেবাগুলোকে তৃণমূল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে, প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোকে সহজলভ্য করে তুলছে।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক তার বক্তব্যে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট এমন একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হচ্ছে— ডাক পরিষেবাগুলোতে প্রতিটি নাগরিকের অভিগম্যতা এবং দক্ষতা উন্নত করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা।’
ইউএনডিপির প্রতিনিধি দলটি মহারাজপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারও পরিদর্শন করে। ডিজিটাল সেন্টার পরিদর্শনকালে সুবিধাভোগীরা তাদের নানা ধরনের সেবা গ্রহণের বিষয় তুলে ধরেন। গ্রামীণ নাগরিকদের জন্য সরকারি পরিষেবা, আর্থিক লেনদেন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোতে অভিগম্যতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এর অবদানকে তুলে ধরেন তারা।