নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় এক রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাইয়ের ঘটনার তদন্ত ও ওই রোগীর উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এই অস্ত্রোপচারে ভুক্তভোগী রোগীর নাম শারমিন আক্তার। তাঁর যথোপযুক্ত চিকিৎসা সুবিধা–সংবলিত হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বরিশালের সিভিল সার্জনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া কমিটি গঠন করে ওই ঘটনা তদন্ত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘পেটে গজ রেখে সেলাই, দেড় মাস পর অপসারণ’ শিরোনামে ১ জুন প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ ওই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ৬ জুন রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জীবন নেছা মুক্তা। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী জীবন নেছা মুক্তা, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও মোকাররামুছ সাকলান শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
পরে আইনজীবী জীবন নেছা মুক্তা বলেন, ভুক্তভোগী শারমিন আক্তারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ বিষয়ে রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, গাইনোকলজি ও সার্জারি বিভাগের প্রধানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে হবে। প্রথম আলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক গৃহবধূর পেটের গজ অপসারণ করা হয়। দেড় মাস আগে প্রসূতি বিভাগে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। অভিযোগ উঠেছে, তখন চিকিৎসক তাঁর পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেন। বাড়ি ফেরার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌর শহরের বাসিন্দা জিয়াউল হাসানের স্ত্রী। এ দম্পত্তির তিন সন্তান রয়েছে।
পেটে গজ রেখে সেলাই : তদন্ত ও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ হাইকোর্টের
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ