ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫

পেজেশকিয়ান-নেতানিয়াহুকে পুতিনের ফোন, মধ্যস্থতার প্রস্তাব

  • আপডেট সময় : ০৪:১৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইরান-ইসারায়েল যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৩ জুন) পেজেশকিয়ান ও নেতানিয়াহুকে পুতিন টেলিফোন করেছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ শুক্রবার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে টেলিফোন করেছিলেন। টেলিফোনে তিনি ইরানে ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের পরিবার-স্বজনদের প্রতি আন্তরিক শোক জানিয়েছেন। ইরানের প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের এই হামলা জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী।’ একই দিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকেও টেলিফোন করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে উত্তেজনা আরো না বাড়াতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে, তা থামানোর জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে রাশিয়ার নাম প্রস্তাব করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি বলেছেন, পরমাণু প্রকল্প ও অন্যান্য যেসব ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে— সেসব আলোচনা ও কূটনৈতিক পন্থায় সমাধান করা সম্ভব।

গত ১৩ জুন শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ৮টি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইএএফ)। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরো প্রায় ৩০০ জন। এছাড়া ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরিসহ সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন।

ইরানের পরমাণু প্রকল্প ও সামরিক বাহিনীর স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে এ হামালা চালানো হয়েছিল। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হামলায় ইরানের অন্তত ১০০টি স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী এ সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে ‘দ্য রাইজিং লায়ন’।

অতর্কিত হামলার পর শুক্রবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ সেনা অভিযান শুরু করে ইরান। এতে একজন নিহত এবং ৪১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের ব্যাপার ইসরায়েল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে সিএনএনকে ইয়েশিয়েল লেইটার বলেন, আমাদের হিসেব বলছে, আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে আমরা ইরানের পরমাণু প্রকল্প সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলতে পারব। মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্ববাসীর মঙ্গলের জন্য এটা আমাদের করতে হবে। সূত্র: আরটি

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পেজেশকিয়ান-নেতানিয়াহুকে পুতিনের ফোন, মধ্যস্থতার প্রস্তাব

আপডেট সময় : ০৪:১৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইরান-ইসারায়েল যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৩ জুন) পেজেশকিয়ান ও নেতানিয়াহুকে পুতিন টেলিফোন করেছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ শুক্রবার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে টেলিফোন করেছিলেন। টেলিফোনে তিনি ইরানে ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের পরিবার-স্বজনদের প্রতি আন্তরিক শোক জানিয়েছেন। ইরানের প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের এই হামলা জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী।’ একই দিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকেও টেলিফোন করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে উত্তেজনা আরো না বাড়াতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে, তা থামানোর জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে রাশিয়ার নাম প্রস্তাব করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি বলেছেন, পরমাণু প্রকল্প ও অন্যান্য যেসব ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে— সেসব আলোচনা ও কূটনৈতিক পন্থায় সমাধান করা সম্ভব।

গত ১৩ জুন শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ৮টি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইএএফ)। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরো প্রায় ৩০০ জন। এছাড়া ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরিসহ সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন।

ইরানের পরমাণু প্রকল্প ও সামরিক বাহিনীর স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে এ হামালা চালানো হয়েছিল। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হামলায় ইরানের অন্তত ১০০টি স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী এ সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে ‘দ্য রাইজিং লায়ন’।

অতর্কিত হামলার পর শুক্রবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ সেনা অভিযান শুরু করে ইরান। এতে একজন নিহত এবং ৪১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের ব্যাপার ইসরায়েল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে সিএনএনকে ইয়েশিয়েল লেইটার বলেন, আমাদের হিসেব বলছে, আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে আমরা ইরানের পরমাণু প্রকল্প সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলতে পারব। মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্ববাসীর মঙ্গলের জন্য এটা আমাদের করতে হবে। সূত্র: আরটি