ঢাকা ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : পৃথিবীর কক্ষপথে ছোট, মাঝারি ও বড় উপগ্রহ রয়েছে। উপগ্রহগুলো মহাকাশে প্লাস্টিক, ধাতু ইত্যাদির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে। তার থেকে সুরাহা পাওয়ার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিলেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা বর্তমানে কাঠের তৈরি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি আর্টিক অ্যাস্ট্রোনটিক্সের সঙ্গে যৌথভাবে এই মিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর জন্য পরীক্ষামূলক প্রস্তুতি চলছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে নাম ডব্লিউআইএসএ উডস্যাট।
উডস্যাট হল একটি ১০ী১০ী১০ সেমি ন্যানোস্যাটেলাইট। এটি বাক্সের মতো। এর পৃষ্ঠ প্লাইউড দিয়ে তৈরি। স্যাটেলাইটের একমাত্র কাঠ নেই এমন অংশ হল এর কোণ। এগুলো অ্যালুমিনিয়ামে ধাতব পাত দিয়ে গঠিত। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ কিমি উপরে অবস্থান করতে সক্ষম। এতে থাকছে একটি সেলফি স্টিক। মহাকাশে কাঠের কী প্রভাব হয় তা এর সাহায্যে জানতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। এর প্রাথমিক ধারণা দেন আর্কটিক অ্যাস্ট্রোনটিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ফিনিশ লেখক এবং সম্প্রচারক জারি ম্যাকিনেন।
উডস্যাটের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং আর্কটিক অ্যাস্ট্রোনটিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সামুলি নেইম্যান বলেছেন যে পাতলা প্লাইউডগুলো সেটাই যা আসবাব তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে বার্চ গাছের কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও বার্চ গাছের কাছ ব্যবহারের জন্য খুব আর্দ্র। কিন্তু কাঠ যাতে বাষ্পকে কমাতে পারে তার জন্য খুব পাতলা অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড স্তর যুক্ত ভ্যাকুয়াম চেম্বার রাখা হয়েছে। এটি উপগ্রহটিকে পরমাণু অক্সিজেন থেকে আটকায়। পারমাণবিক অক্সিজেন হল একটি অতি প্রতিক্রিয়াশীল অক্সিজেন ভ্যারিয়েন্ট যা বায়ুম-লে পাওয়া যায় এবং সূর্যের শক্তিশালী অতিবেগুনী রশ্মি দ্বারা স্ট্যান্ডার্ড অক্সিজেন অণুগুলি পৃথক হওয়ার কারণে গঠিত হয়।
উডস্যাটের পরীক্ষামূলক এই মডেল ১২ জুন স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে পরীক্ষামূলক উড়ান করেছিল। তা সফল হয়। সেখানে ইঞ্জিনিয়াররা উপগ্রহের মতো সিস্টেমে ক্যামেরা সহ যাবতীয় সরঞ্জাম পরীক্ষা করেছিলেন। দুই ঘণ্টা ধরে চলেছিল পরীক্ষা। উপগ্রহটি সর্বোচ্চ ৩১.২ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল। তারপরই পরীক্ষার শর্ত অনুযায়ী এটি যে বেলুন বহন করছিল তার বিস্ফোরণ ঘটে। স্যাটেলাইটটি এরপর প্যারাসুটের সাহায্যে নিরাপদে ফিরে আসে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : পৃথিবীর কক্ষপথে ছোট, মাঝারি ও বড় উপগ্রহ রয়েছে। উপগ্রহগুলো মহাকাশে প্লাস্টিক, ধাতু ইত্যাদির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে। তার থেকে সুরাহা পাওয়ার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিলেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা বর্তমানে কাঠের তৈরি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি আর্টিক অ্যাস্ট্রোনটিক্সের সঙ্গে যৌথভাবে এই মিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর জন্য পরীক্ষামূলক প্রস্তুতি চলছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে নাম ডব্লিউআইএসএ উডস্যাট।
উডস্যাট হল একটি ১০ী১০ী১০ সেমি ন্যানোস্যাটেলাইট। এটি বাক্সের মতো। এর পৃষ্ঠ প্লাইউড দিয়ে তৈরি। স্যাটেলাইটের একমাত্র কাঠ নেই এমন অংশ হল এর কোণ। এগুলো অ্যালুমিনিয়ামে ধাতব পাত দিয়ে গঠিত। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ কিমি উপরে অবস্থান করতে সক্ষম। এতে থাকছে একটি সেলফি স্টিক। মহাকাশে কাঠের কী প্রভাব হয় তা এর সাহায্যে জানতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। এর প্রাথমিক ধারণা দেন আর্কটিক অ্যাস্ট্রোনটিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ফিনিশ লেখক এবং সম্প্রচারক জারি ম্যাকিনেন।
উডস্যাটের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং আর্কটিক অ্যাস্ট্রোনটিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সামুলি নেইম্যান বলেছেন যে পাতলা প্লাইউডগুলো সেটাই যা আসবাব তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে বার্চ গাছের কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও বার্চ গাছের কাছ ব্যবহারের জন্য খুব আর্দ্র। কিন্তু কাঠ যাতে বাষ্পকে কমাতে পারে তার জন্য খুব পাতলা অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড স্তর যুক্ত ভ্যাকুয়াম চেম্বার রাখা হয়েছে। এটি উপগ্রহটিকে পরমাণু অক্সিজেন থেকে আটকায়। পারমাণবিক অক্সিজেন হল একটি অতি প্রতিক্রিয়াশীল অক্সিজেন ভ্যারিয়েন্ট যা বায়ুম-লে পাওয়া যায় এবং সূর্যের শক্তিশালী অতিবেগুনী রশ্মি দ্বারা স্ট্যান্ডার্ড অক্সিজেন অণুগুলি পৃথক হওয়ার কারণে গঠিত হয়।
উডস্যাটের পরীক্ষামূলক এই মডেল ১২ জুন স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে পরীক্ষামূলক উড়ান করেছিল। তা সফল হয়। সেখানে ইঞ্জিনিয়াররা উপগ্রহের মতো সিস্টেমে ক্যামেরা সহ যাবতীয় সরঞ্জাম পরীক্ষা করেছিলেন। দুই ঘণ্টা ধরে চলেছিল পরীক্ষা। উপগ্রহটি সর্বোচ্চ ৩১.২ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল। তারপরই পরীক্ষার শর্ত অনুযায়ী এটি যে বেলুন বহন করছিল তার বিস্ফোরণ ঘটে। স্যাটেলাইটটি এরপর প্যারাসুটের সাহায্যে নিরাপদে ফিরে আসে।