ঢাকা ০৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পূর্ব বগুড়াবাসীর দুর্ভোগ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

  • আপডেট সময় : ০৭:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

আজাদুর রহমান, বগুড়া: পূর্ব বগুড়াবাসীর দুর্ভোগ এবার পরিণত হয়েছে ঝুঁকিতে। করতোয়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন ফতেহ আলী ব্রিজের পাশের বাঁশের সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটির ওপর দিয়েই দিনরাতে পারাপার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।

বগুড়ার মূল শহরে প্রবেশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ফতেহ আলী ব্রিজ ভাঙা ও নতুন ব্রিজ নির্মাণ শুরুর পর থেকেই মহাসংকটে পূর্ব বগুড়ার মানুষ। ১৯৭০ সালে নির্মিত ফতেহ আলী ব্রিজকে ২০১৮ সালের আগস্টে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় তিন মাস পর ব্রিজটির ওপর দিয়ে ভারি যান চলাচল বন্ধে উভয়পাশে তিনটি করে ছ’টি পিলার বসানো হয়।

দীর্ঘ সময় পর গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজ ভেঙে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ দশমিক ৩ মিটার চওড়া করে গত বছরের ২২ মে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণের শুরু থেকেই ঢিমেতালে কাজ করার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। যার প্রমাণ মেলে গত বছরের জুনে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

ব্রিজটি ভাঙার পর পূর্ব বগুড়ার মানুষের শহরে প্রবেশের জন্য এপথে কোন বিকল্প পরিকল্পনা ছিল না। পরে ওই এলাকার মানুষের দাবির মুখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেয়। এরপর চাপ বাড়ায় আরেকটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। তবে প্রথমে যে সাঁকোটি নির্মাণ করা হয় মূলত এক বছরের বেশি সময় ধরে ওই অবস্থাতেই তা ব্যবহার হয়ে আসছে। দিনরাত মানুষের চাপে সাম্প্রতিক সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিকল্প সাঁকোটি নষ্ট হয়ে গেছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটিই এখন শহরের পূর্বাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। নারী-শিশু, বয়োবৃদ্ধ সবাই জেনে-বুঝেই বাধ্য হয়েই পার হচ্ছে সাঁকোটি। সাঁকোটির অনেক বাঁশ ভেঙে গেছে, নড়বড়ে হয়ে গেছে অনেক খুঁটি, লোহা দিয়ে আটকানো অনেক বাঁশই খুলে গেছে। একসাথে বেশি মানুষ পারাপার হতে গেলে নড়ে ওঠে সাঁকোটি। হতাহত বা প্রাণহানির শঙ্কা নিয়েই তবু চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, সময়মত ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় পূর্ববগুড়ার মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। এই দুর্ভোগ এখন প্রাণহানির শঙ্কা তৈরি করেছে। এক বছরের বেশি আগে তৈরি বাঁশের সাঁকোটি এখন নড়বড়ে হয়ে গেছে। শঙ্কা তৈরি হয়েছে প্রাণহানির। এটির সংস্কার বা নতুন বাঁশের সাঁকো প্রয়োজন। এই অঞ্চলের মানুষ দ্রুত ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ ও নদী পারাপারের সাঁকোটি ঝুঁকিমুক্ত করার দাবি জানান। এ বিষয়ে জানতে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পূর্ব বগুড়াবাসীর দুর্ভোগ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

আপডেট সময় : ০৭:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আজাদুর রহমান, বগুড়া: পূর্ব বগুড়াবাসীর দুর্ভোগ এবার পরিণত হয়েছে ঝুঁকিতে। করতোয়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন ফতেহ আলী ব্রিজের পাশের বাঁশের সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটির ওপর দিয়েই দিনরাতে পারাপার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।

বগুড়ার মূল শহরে প্রবেশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ফতেহ আলী ব্রিজ ভাঙা ও নতুন ব্রিজ নির্মাণ শুরুর পর থেকেই মহাসংকটে পূর্ব বগুড়ার মানুষ। ১৯৭০ সালে নির্মিত ফতেহ আলী ব্রিজকে ২০১৮ সালের আগস্টে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় তিন মাস পর ব্রিজটির ওপর দিয়ে ভারি যান চলাচল বন্ধে উভয়পাশে তিনটি করে ছ’টি পিলার বসানো হয়।

দীর্ঘ সময় পর গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজ ভেঙে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ দশমিক ৩ মিটার চওড়া করে গত বছরের ২২ মে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণের শুরু থেকেই ঢিমেতালে কাজ করার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। যার প্রমাণ মেলে গত বছরের জুনে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

ব্রিজটি ভাঙার পর পূর্ব বগুড়ার মানুষের শহরে প্রবেশের জন্য এপথে কোন বিকল্প পরিকল্পনা ছিল না। পরে ওই এলাকার মানুষের দাবির মুখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেয়। এরপর চাপ বাড়ায় আরেকটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। তবে প্রথমে যে সাঁকোটি নির্মাণ করা হয় মূলত এক বছরের বেশি সময় ধরে ওই অবস্থাতেই তা ব্যবহার হয়ে আসছে। দিনরাত মানুষের চাপে সাম্প্রতিক সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিকল্প সাঁকোটি নষ্ট হয়ে গেছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটিই এখন শহরের পূর্বাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। নারী-শিশু, বয়োবৃদ্ধ সবাই জেনে-বুঝেই বাধ্য হয়েই পার হচ্ছে সাঁকোটি। সাঁকোটির অনেক বাঁশ ভেঙে গেছে, নড়বড়ে হয়ে গেছে অনেক খুঁটি, লোহা দিয়ে আটকানো অনেক বাঁশই খুলে গেছে। একসাথে বেশি মানুষ পারাপার হতে গেলে নড়ে ওঠে সাঁকোটি। হতাহত বা প্রাণহানির শঙ্কা নিয়েই তবু চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, সময়মত ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় পূর্ববগুড়ার মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। এই দুর্ভোগ এখন প্রাণহানির শঙ্কা তৈরি করেছে। এক বছরের বেশি আগে তৈরি বাঁশের সাঁকোটি এখন নড়বড়ে হয়ে গেছে। শঙ্কা তৈরি হয়েছে প্রাণহানির। এটির সংস্কার বা নতুন বাঁশের সাঁকো প্রয়োজন। এই অঞ্চলের মানুষ দ্রুত ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ ও নদী পারাপারের সাঁকোটি ঝুঁকিমুক্ত করার দাবি জানান। এ বিষয়ে জানতে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।