ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) মাধ্যমে বাস্তবায়িত ‘পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফুট) প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছেÑসর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফুট) প্রকল্প; যা ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় অনুমোদন পায়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাজউক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। রাজধানীর সঙ্গে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগ ঘটাবে পূর্বাচলের ১২.৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এক্সপ্রেসওয়ে। এই প্রকল্পটিতে কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ৫.৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ৮ লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে ও ৬ লেন বিশিষ্ট সার্ভিস রোড এবং বালু নদী থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ৬.৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে ও ৬ লেন বিশিষ্ট সার্ভিস রোড রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুতৃপূর্ণ স্থানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ৫টি গ্যাটগ্রেড ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত সড়কের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দৃষ্টিনন্দন ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ১২.৩০ কিলোমিটার সড়ক ও খালের উভয় পাশে ৩ মিটার প্রশস্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজও সম্পন্ন করা হবে। রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রশস্ত এক্সপ্রেসওয়ের দুপাশে ১০০ ফুট চওড়া খাল খননের মাধ্যমে বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গতিশীল হবে। এ ছাড়া এই প্রকল্পে কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত খালের উভয় পাশে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর ১৩টি ব্রিজ ওভার ক্যানেল নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সড়কে ৯টি লাইনে ও গ্রিন জোনে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দেড় লাখ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। আশা করা যায় যে, আকর্ষণীয় পরিবেশের কারণে এটি হবে সৌন্দর্য্য ও ভ্রমণ পিপাসুদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য বর্ষা মৌসুমে কুড়িল, বারিধারা, বারিধারা ডিওএইচএস, ঢাকা সেনানিবাস, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা, ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান অনুযায়ী ডুমনী, বোয়ালিয়া ও এডি-৮ খাল বহমান রাখা ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা । এছাড়া ভবিষ্যতে ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান ট্রাফিক ও কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত অবস্থিত আশপাশের এলাকার নগরায়নের কথা চিন্তা করে বিদ্যমান রাস্তার ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি ট্রাফিক চলাচল নিরবিচ্ছ্নি রাখতে ব্রিজ ও এ্যাটগ্রেড ইন্টারসেকশন তৈরি করা এবং খালগুলোর সংরক্ষণ ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখাও এই প্রকল্পের বিশেষ উদ্দেশ্য। পাশাপাশি প্রকল্পটি নগরীর সৌন্দর্য্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত করবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৪৭:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) মাধ্যমে বাস্তবায়িত ‘পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফুট) প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছেÑসর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফুট) প্রকল্প; যা ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় অনুমোদন পায়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাজউক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। রাজধানীর সঙ্গে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগ ঘটাবে পূর্বাচলের ১২.৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এক্সপ্রেসওয়ে। এই প্রকল্পটিতে কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ৫.৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ৮ লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে ও ৬ লেন বিশিষ্ট সার্ভিস রোড এবং বালু নদী থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ৬.৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে ও ৬ লেন বিশিষ্ট সার্ভিস রোড রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুতৃপূর্ণ স্থানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ৫টি গ্যাটগ্রেড ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত সড়কের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দৃষ্টিনন্দন ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ১২.৩০ কিলোমিটার সড়ক ও খালের উভয় পাশে ৩ মিটার প্রশস্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজও সম্পন্ন করা হবে। রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রশস্ত এক্সপ্রেসওয়ের দুপাশে ১০০ ফুট চওড়া খাল খননের মাধ্যমে বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গতিশীল হবে। এ ছাড়া এই প্রকল্পে কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত খালের উভয় পাশে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর ১৩টি ব্রিজ ওভার ক্যানেল নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সড়কে ৯টি লাইনে ও গ্রিন জোনে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দেড় লাখ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। আশা করা যায় যে, আকর্ষণীয় পরিবেশের কারণে এটি হবে সৌন্দর্য্য ও ভ্রমণ পিপাসুদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য বর্ষা মৌসুমে কুড়িল, বারিধারা, বারিধারা ডিওএইচএস, ঢাকা সেনানিবাস, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা, ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান অনুযায়ী ডুমনী, বোয়ালিয়া ও এডি-৮ খাল বহমান রাখা ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা । এছাড়া ভবিষ্যতে ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান ট্রাফিক ও কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত অবস্থিত আশপাশের এলাকার নগরায়নের কথা চিন্তা করে বিদ্যমান রাস্তার ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি ট্রাফিক চলাচল নিরবিচ্ছ্নি রাখতে ব্রিজ ও এ্যাটগ্রেড ইন্টারসেকশন তৈরি করা এবং খালগুলোর সংরক্ষণ ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখাও এই প্রকল্পের বিশেষ উদ্দেশ্য। পাশাপাশি প্রকল্পটি নগরীর সৌন্দর্য্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত করবে।