নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ রোববার ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। চন্দ্রগ্রহণটি আজ রাত থেকে শুরু হয়ে পরদিন, অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বর ভোর পর্যন্ত চলবে। মোট ৭ ঘণ্টা ২৭ মিনিট স্থায়ী হবে চন্দ্রগ্রহণ।
বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী, চাঁদের পেনুম্ব্রাল গ্রহণ শুরু হবে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ২৮ মিনিট ২৫ সেকেন্ড থেকে। এরপর আংশিক চন্দ্রগ্রহণ শুরু একইদিন রাত ১০টা ২৭ মিনিটি ০৯ সেকেন্ডে। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রাত ১১টা ৩০ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড থেকে। সর্বোচ্চ গ্রহণ চলবে রাত ১২টা ১১ মিনিটি ৪৭ সেকেন্ড পর্যন্ত।
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে রাত ১২টা ৫২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডে। আংশিক গ্রহণ শেষ রাত ১টা ৫৬ মিনিটি ৩১ সেকেন্ডে। পেনুম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে রাত ২টা ৫৫ মিনিট ৮ সেকেন্ডে। সুতরাং আজ রাতেই চোখ রাখুন আকাশে। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে বাড়ির ছাদ থেকেই এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবেন।
যখন এই সরলরেখায় পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না, ফলে চাঁদকে তখন কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় না। অর্থাৎ পৃথিবী পৃষ্ঠের কোন দর্শকের কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। তখন একে সংক্ষেপে চন্দ্রগ্রহণ বলে।
এবারের পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণকে ‘সুপার ব্লাড মুন’ নাম দেওয়া হয়েছে। আকারে সাধারণ সময়ের চাঁদের থেকে সাত শতাংশ এবং উজ্জ্বলতায় পনেরো শতাংশ বেশি হতে পারে এই সুপার ব্লাড মুন।
চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে অনেক কল্পকাহিনি ও কুসংস্কার আছে। চন্দ্রগ্রহণের কাহিনিগুলো মূলত দুটি অংশে বিভক্ত: বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং পৌরাণিক ও কুসংস্কারমূলক কাহিনী। বৈজ্ঞানিকভাবে চন্দ্রগ্রহণ হলো একটি জ্যোতির্বিদ্যাগত ঘটনা যেখানে চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় পড়ে, ফলে চাঁদ কিছু সময়ের জন্য অন্ধকার হয়ে যায় বা লালচে দেখায় (ব্লাড মুন)।
অন্যদিকে, হিন্দু পুরাণ অনুসারে সমুদ্রমন্থনের সময় রাহু নামক অসুর অমৃত পান করার পর দেবতা বিষ্ণু তাকে ধড় থেকে কেটে ফেললে তার দেহ চান্দ্রিক গ্রহে পরিণত হয়, যার ফলে রাহু চাঁদকে গ্রাস করে গ্রহণ ঘটায়। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে চন্দ্রগ্রহণকে শুভ বা অশুভ হিসেবে দেখা হয়, এবং এই বিষয়ে নানা লোককথা প্রচলিত আছে।
এসি/আপ্র/০৭/০৯/২০২৫