ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

পূজা ঘিরে বিস্তর পরিকল্পনা জয়ার

  • আপডেট সময় : ১২:০১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক : সোমবার থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এই উৎসবকে ঘিরে প্রতি বছর বেজায় উৎসাহ থাকে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের। এবারও তাই। এ বছরের পূজা উৎসব উপভোগে বর্তমানে কলকাতায় রয়েছেন জয়া। ওপার বাংলায় গিয়েই সেখানকার একটি সংবাদমাধ্যমকে জানালেন পূজা উৎসব নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা। জয়া বলেছেন, ‘কলকাতা আমার প্রাণের শহর। ভালোবাসার শহর। পূজায় সেই চেনা শহর যেন একটু অচেনা হয়ে যায়। কোনো প্রিয় মানুষ আচমকা সেজে উঠলে যেমন অবাক লাগে, শারদ-কলকাতাও যেন তাই। চারদিকে কত আলো, মাইকে অনবরত গান, পথঘাট ছেয়ে থাকা ছাতিমের মিষ্টি গন্ধ। রাতারাতি আরও সুন্দরী কলকাতা। অনেকগুলো পূজাই এখানে কাটিয়েছি। এবারও আমি কলকাতায়। পূজার চারটা দিন নিজের মতো করে কাটাব।’ অভিনেত্রী আরও বলেছেন, ‘আমার পূজা মানেই আড্ডারূপেণ সংস্থিতা! বন্ধুদের বাড়ি যাওয়া, মন খুলে কথা, হাসাহাসি। পূজায় বেশ কিছু বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার দাওয়াত পেয়েছি। তাই কোথায় আড্ডা দেব, তা নিয়ে আলাদা করে চিন্তা করতে হচ্ছে না।’
নিজেকে খাদ্যরসিক উল্লেখ করে জয়া বলেন, ‘পেটপূজা ছাড়া আবার আড্ডা হয় নাকি। আমি খুবই খাদ্যরসিক। অভিনয় করলেও খাওয়াদাওয়ায় কোনো রকম বিধিনিষেধ নৈব নৈব চ। যখন যা ইচ্ছে, তাই খেয়ে নিই। পূজাতেও ভালোমন্দ খাবার চাই-ই চাই! যেদিন যে বন্ধুর বাড়িতে ভালোমন্দ রান্নাবান্না হবে, সেদিন সেখানেই গিয়ে হাজির হব। তবে দিনভর যা-ই খাই, যতই খাই, শেষ পাতে মিষ্টি লাগবেই আমার।’ পূজা উৎসবে শাড়িই তার প্রিয় পোশাক, এ কথাও জানাতে ভুললেন না জয়া। তার কথায়, ‘খাওয়া আর আড্ডা তো হল। এবার আসি সাজের কথায়। উৎসবের দিনগুলোয় শাড়িই আমার প্রিয় সাজ। কিন্তু ইচ্ছে হলে অন্যান্য পোশাকও পরি। সাজগোজ করব, টইটই ঘুরব শহরের এদিক-সেদিক। মন ভরে দেখে নেব কলকাতাকে।’ নায়িকা আরও জানান, ‘করোনা মহামারিকে সঙ্গী করে এটা আমাদের দ্বিতীয় পূজা। আনন্দ আছে। আছে মন খারাপও। তবে মা (হিন্দুদের দেবী) এসেছেন। এবার একটু একটু করে ঠিক সব কিছু আগের মতো হবে। আমরা আবার প্রাণ খুলে হাসতে শিখব। বাঁচতে শিখব। এই পূজাতে এটাই আমার মায়ের কাছে চাওয়া।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পূজা ঘিরে বিস্তর পরিকল্পনা জয়ার

আপডেট সময় : ১২:০১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১

বিনোদন প্রতিবেদক : সোমবার থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এই উৎসবকে ঘিরে প্রতি বছর বেজায় উৎসাহ থাকে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের। এবারও তাই। এ বছরের পূজা উৎসব উপভোগে বর্তমানে কলকাতায় রয়েছেন জয়া। ওপার বাংলায় গিয়েই সেখানকার একটি সংবাদমাধ্যমকে জানালেন পূজা উৎসব নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা। জয়া বলেছেন, ‘কলকাতা আমার প্রাণের শহর। ভালোবাসার শহর। পূজায় সেই চেনা শহর যেন একটু অচেনা হয়ে যায়। কোনো প্রিয় মানুষ আচমকা সেজে উঠলে যেমন অবাক লাগে, শারদ-কলকাতাও যেন তাই। চারদিকে কত আলো, মাইকে অনবরত গান, পথঘাট ছেয়ে থাকা ছাতিমের মিষ্টি গন্ধ। রাতারাতি আরও সুন্দরী কলকাতা। অনেকগুলো পূজাই এখানে কাটিয়েছি। এবারও আমি কলকাতায়। পূজার চারটা দিন নিজের মতো করে কাটাব।’ অভিনেত্রী আরও বলেছেন, ‘আমার পূজা মানেই আড্ডারূপেণ সংস্থিতা! বন্ধুদের বাড়ি যাওয়া, মন খুলে কথা, হাসাহাসি। পূজায় বেশ কিছু বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার দাওয়াত পেয়েছি। তাই কোথায় আড্ডা দেব, তা নিয়ে আলাদা করে চিন্তা করতে হচ্ছে না।’
নিজেকে খাদ্যরসিক উল্লেখ করে জয়া বলেন, ‘পেটপূজা ছাড়া আবার আড্ডা হয় নাকি। আমি খুবই খাদ্যরসিক। অভিনয় করলেও খাওয়াদাওয়ায় কোনো রকম বিধিনিষেধ নৈব নৈব চ। যখন যা ইচ্ছে, তাই খেয়ে নিই। পূজাতেও ভালোমন্দ খাবার চাই-ই চাই! যেদিন যে বন্ধুর বাড়িতে ভালোমন্দ রান্নাবান্না হবে, সেদিন সেখানেই গিয়ে হাজির হব। তবে দিনভর যা-ই খাই, যতই খাই, শেষ পাতে মিষ্টি লাগবেই আমার।’ পূজা উৎসবে শাড়িই তার প্রিয় পোশাক, এ কথাও জানাতে ভুললেন না জয়া। তার কথায়, ‘খাওয়া আর আড্ডা তো হল। এবার আসি সাজের কথায়। উৎসবের দিনগুলোয় শাড়িই আমার প্রিয় সাজ। কিন্তু ইচ্ছে হলে অন্যান্য পোশাকও পরি। সাজগোজ করব, টইটই ঘুরব শহরের এদিক-সেদিক। মন ভরে দেখে নেব কলকাতাকে।’ নায়িকা আরও জানান, ‘করোনা মহামারিকে সঙ্গী করে এটা আমাদের দ্বিতীয় পূজা। আনন্দ আছে। আছে মন খারাপও। তবে মা (হিন্দুদের দেবী) এসেছেন। এবার একটু একটু করে ঠিক সব কিছু আগের মতো হবে। আমরা আবার প্রাণ খুলে হাসতে শিখব। বাঁচতে শিখব। এই পূজাতে এটাই আমার মায়ের কাছে চাওয়া।’