ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পূজা কমিটির নেতার অনুরোধেই গান করেন শিল্পীরা: পুলিশ

  • আপডেট সময় : ০৩:০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : নগরের জেএমসেন হলের মণ্ডপে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয়জন সদস্য পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজল দত্তের অনুরোধে গান পরিবেশন করেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করার কথাও জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতের ঘটনাটি নিয়ে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে রইছ উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একটি গানের শব্দ চয়ন উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মর্মাহত করে বলে প্রতীয়মান হয়। এ ঘটনাটি নজরে আসার পর পুলিশ তৎপর হয়। গান পরিবেশন করা দুইজনকে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। এ দুজন হলেন, শহিদুল ইসলাম (৪২) ও নুরুল ইসলাম (৩৪)। শহিদুল নগরীর তানজীমুমুল উম্মাহ মাদরাসা ও নুরুল করিম দারুল ইফরান একাডেমির শিক্ষক। উপ-কমিশনার বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা খোঁজা হচ্ছে। এ ঘটনায় বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মো. রইছ উদ্দিন বলেন, যারা তাদের এ অনুষ্ঠানে ইনভাইট (আমন্ত্রণ) করেছিল, তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে সজল দত্ত, যার নাম উঠে এসেছে, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে আমরা পাইনি। চেষ্টা চালাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার রাতে জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে সপ্তমীর দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। পূজা উদযাপন কমিটির অন্যতম সদস্য সজল দত্তের আহ্বানে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয় সদস্য গান পরিবেশন করতে মঞ্চে ওঠে। ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’ শীর্ষক দুটি গান পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ৬ সদস্য শহীদুল করিম (৪২), মো. নুরুল ইসলাম (৩৪), আব্দুল্লাহ ইকবাল (৩০), রনি (২৮) ও গোলাম মোস্তফা (২৭) ও মো. মামুন (৩৬)। এর মধ্যে দ্বিতীয় গানটির শেষের অংশ ভিডিও আকারে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
তদন্ত দাবি শিবিরের, ছাত্রশিবির জড়িত নয়’
এদিকে চট্রগ্রামে পূজামণ্ডপে গান গাওয়া নিয়ে ছাত্রশিবিরের অবস্থান তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। তিনি দাবি করেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন। আমি দায় নিয়ে বলছি, এর সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শিবির কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কাজকে কখনোই সমর্থন করে না। তাই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট দাবি জানাচ্ছি, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত সত্য সবার সামনে ওঠে আসুক। কেউ দোষী হলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়া হোক। সত্যতা যাচাই না করেই যারা বিভিন্ন সময়ে শিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালায়, তারা একটা সময় গিয়ে নিজেদের বিবেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। এ ধরনের কাজ থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
পূজামণ্ডপে ইসলামি সংগীত পরিবেশন নিয়ে যা বললো বিএনপি
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জেএম সেন হলে শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইসলামী সংগীত পরিবেশন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দলীয় অবস্থান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। গতকাল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামে শারদীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপে ইসলামি সংগীত পরিবেশন নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। পূজামণ্ডপে গিয়ে এ ধরনের আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত এবং নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা মনে করি, আমাদের প্রত্যেকের একে অপরের ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় আচরণ এবং যার যার স্বতন্ত্র আচার উৎসবের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই জোরজবরদস্তি কিংবা চাপিয়ে দেওয়ার মতো কিছু যেন করা না হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, জেএম সেন হলে যা ঘটেছে, তার জন্য কার দায় কতটুকু, এর পেছনে কোনও বিশেষ গোষ্ঠীর অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল কিনা, সেটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তবে এটুকু নিঃসন্দেহে বলা যায়, যারা মঞ্চে উঠে গান করেছেন, তারা সুবিবেচনার পরিচয় দেননি। এটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের নামান্তর। কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজার্থী ভক্তরা সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শন করেছেন, আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কালচারাল অ্যাকাডেমির ছয় জন সদস্য জেএম সেন হল পূজামণ্ডপের মঞ্চে উঠে একটি ইসলামি সংগীত ও একটি বাউল গান পরিবেশন করেন। এরপরই এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্তকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পূজা কমিটির নেতার অনুরোধেই গান করেন শিল্পীরা: পুলিশ

আপডেট সময় : ০৩:০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : নগরের জেএমসেন হলের মণ্ডপে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয়জন সদস্য পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজল দত্তের অনুরোধে গান পরিবেশন করেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করার কথাও জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতের ঘটনাটি নিয়ে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে রইছ উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একটি গানের শব্দ চয়ন উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মর্মাহত করে বলে প্রতীয়মান হয়। এ ঘটনাটি নজরে আসার পর পুলিশ তৎপর হয়। গান পরিবেশন করা দুইজনকে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। এ দুজন হলেন, শহিদুল ইসলাম (৪২) ও নুরুল ইসলাম (৩৪)। শহিদুল নগরীর তানজীমুমুল উম্মাহ মাদরাসা ও নুরুল করিম দারুল ইফরান একাডেমির শিক্ষক। উপ-কমিশনার বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা খোঁজা হচ্ছে। এ ঘটনায় বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মো. রইছ উদ্দিন বলেন, যারা তাদের এ অনুষ্ঠানে ইনভাইট (আমন্ত্রণ) করেছিল, তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে সজল দত্ত, যার নাম উঠে এসেছে, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে আমরা পাইনি। চেষ্টা চালাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার রাতে জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে সপ্তমীর দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। পূজা উদযাপন কমিটির অন্যতম সদস্য সজল দত্তের আহ্বানে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয় সদস্য গান পরিবেশন করতে মঞ্চে ওঠে। ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’ শীর্ষক দুটি গান পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ৬ সদস্য শহীদুল করিম (৪২), মো. নুরুল ইসলাম (৩৪), আব্দুল্লাহ ইকবাল (৩০), রনি (২৮) ও গোলাম মোস্তফা (২৭) ও মো. মামুন (৩৬)। এর মধ্যে দ্বিতীয় গানটির শেষের অংশ ভিডিও আকারে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
তদন্ত দাবি শিবিরের, ছাত্রশিবির জড়িত নয়’
এদিকে চট্রগ্রামে পূজামণ্ডপে গান গাওয়া নিয়ে ছাত্রশিবিরের অবস্থান তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। তিনি দাবি করেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন। আমি দায় নিয়ে বলছি, এর সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শিবির কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কাজকে কখনোই সমর্থন করে না। তাই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট দাবি জানাচ্ছি, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত সত্য সবার সামনে ওঠে আসুক। কেউ দোষী হলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়া হোক। সত্যতা যাচাই না করেই যারা বিভিন্ন সময়ে শিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালায়, তারা একটা সময় গিয়ে নিজেদের বিবেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। এ ধরনের কাজ থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
পূজামণ্ডপে ইসলামি সংগীত পরিবেশন নিয়ে যা বললো বিএনপি
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জেএম সেন হলে শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইসলামী সংগীত পরিবেশন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দলীয় অবস্থান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। গতকাল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামে শারদীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপে ইসলামি সংগীত পরিবেশন নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। পূজামণ্ডপে গিয়ে এ ধরনের আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত এবং নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা মনে করি, আমাদের প্রত্যেকের একে অপরের ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় আচরণ এবং যার যার স্বতন্ত্র আচার উৎসবের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই জোরজবরদস্তি কিংবা চাপিয়ে দেওয়ার মতো কিছু যেন করা না হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, জেএম সেন হলে যা ঘটেছে, তার জন্য কার দায় কতটুকু, এর পেছনে কোনও বিশেষ গোষ্ঠীর অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল কিনা, সেটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তবে এটুকু নিঃসন্দেহে বলা যায়, যারা মঞ্চে উঠে গান করেছেন, তারা সুবিবেচনার পরিচয় দেননি। এটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের নামান্তর। কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজার্থী ভক্তরা সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শন করেছেন, আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কালচারাল অ্যাকাডেমির ছয় জন সদস্য জেএম সেন হল পূজামণ্ডপের মঞ্চে উঠে একটি ইসলামি সংগীত ও একটি বাউল গান পরিবেশন করেন। এরপরই এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্তকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।