লাইফস্টাইল ডেস্ক : কেবল গোল বা লম্বা আকৃতির মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে না এর নকশা। আর এখানেই বৈচিত্র্য কুমকুমের টিপের। কপালের পাশাপাশি হাত সাজাতেও ব্যবহার করা যায় রঙিন কুমকুম। পূজার সাজে কুমকুমের ঐতিহ্যকে ধারণ করতে পারেন নতুন করে।
এক সময় কুমকুমের ছোঁয়া ছাড়া কনের সাজে আসতো না পূর্ণতা। আশি ও নব্বই দশকের সময়টাতে সাদা ও লাল কুমকুমের সাহায্যে কনের কপালজুড়ে সাজানো হতো জমকালো নকশা। দাদি, নানি বা খালাদের সাজের সরঞ্জামে থাকতো প্লেটে সাজানো বিভিন্ন রঙের কুমকুম। এখন কুমকুম দিয়ে সাজার প্রচলন কমে গেছে অনেকটাই।
কুমকুমের প্রচলব সর্বপ্রথম শুরু হয় ভারতে। ধর্মীয় উৎসবগুলোতে রঙ খেলার জন্য ব্যবহৃত পাউডার রঙ তরল করে বিক্রি শুরু হয় ছোট ছোট কৌটায়। অনেকে সিঁদুর হিসেবেও ব্যবহার করেন লাল ও মেরুন কুমকুম। পূজার সাজে কুমকুমের টিপ পরতে পারেন। কুমকুমের সাহায্যে বিভিন্নভাবে নতুনত্ব নিয়ে আসা যায় টিপের নকশায়। কুমকুমের সঙ্গেই দেওয়া থাকে তুলি। সেগুলো দিয়ে চমৎকার সব নকশা করে ফেলতে পারেন কপালে। মাঝে লাল রঙের বড় গোল টিপ পরে চারদিকে কুমকুম দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। পূজার ঐতিহ্যবাহী সাজের সঙ্গে বেশ মানিয়ে যাবে। তামান্না’স ড্রিমের রূপ বিশেষজ্ঞ তামান্না শরীফ বলেন, বড় নকশা আঁকা যদিও অনেকটুকুই নির্ভর করে আঁকার দক্ষতার ওপরে, তবে ছোট ও হালকা নকশা কিন্তু খুব সহজেই করে নেওয়া যায়। আবার বারকয়েক এঁকে নিলে সূক্ষ্ম নকশাতেও হাত চলে আসে।
কলকি ডিজাইন, ফুলেল ডিজাইনের পাশাপাশি একেবারে সাধারণ সব ডিজাইনেও ভিন্নতা আনা যায় সাজে। যেমন একটি লম্বা টিপ পরে নিচে সাদা কুমকুম দিয়ে একটি দাগ টেনে দেওয়া যেতে পারে। অথবা গোল টিপের নিচে কেবল এক ফোঁটা কুমকুম লাগিয়ে সৌন্দর্য বাড়াতে পারেন টিপের। কপালের পাশাপাশি হাত সাজাতেও রঙিন কুমকুম ব্যবহার করতে পারেন। আলতা কিংবা মেহেদি দিয়ে নকশা করে সহজ কোনও নকশা এঁকে নিতে পারেন কুমকুম দিয়ে।
কোথায় পাবেন : পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজারে পাবেন কুমকুম। ব্যাঙাচি, সারানাসহ বেশ কিছু অনলাইন পেইজেও মিলবে এটি। দাম পড়বে ৬০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে।
পূজার সাজে কুমকুম
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ