ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

‘পূজার জন্য ফুল চুরি’ অভিযোগে বাকৃবির ৩ শিক্ষার্থীর শাস্তি

  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শহীদ নাজমুল আহসান হলের বাগান থেকে ‘পূজার জন্য ফুল চুরির’ অভিযোগে শাস্তির মুখে পড়েছেন সাবেক ও বর্তমান তিন শিক্ষার্থী।

এর মধ্যে এক শিক্ষার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে। অপর দুই শিক্ষার্থীর মাস্টার্স শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের হলত্যাগের নির্দেশ দিয়ে কক্ষ তালাবদ্ধ করা হয়েছে।

চুরি করা ফুলগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের পেছনে ‘ভক্তি কুটির ইসকন মন্দিরে’ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন হল শহীদ নাজমুল আহসান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক কাজী কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে হলের গার্ডরা ফুল চুরির ঘটনা তাকে জানায়। পরে খোঁজ নিতে গিয়ে দুপুরে তিনি ইসকন মন্দিরে ‘চুরি যাওয়া ফুল’ শনাক্ত করেন।

হলের কর্মীরা বলছেন, তিন শিক্ষার্থী হলের বাগান থেকে তিন বস্তা ফুল নিয়ে যায় এবং তা মন্দিরে পুষ্পাঅভিষেক পূজার জন্য ব্যবহার করা হয়।

প্রভোস্ট মন্দির থেকেই একজন শিক্ষার্থীকে আটক করেন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান এবং বাকি দুই শিক্ষার্থীকে সেখানে ডেকে আনা হয়।

সেখানে তিনজন ‘ফুল চুরির বিষয়টি স্বীকার করে’ ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ না করার অঙ্গীকার করেন বলে প্রভোস্টের ভাষ্য।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধির ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শহীদ নাজমুল আহসান হলের একজন শিক্ষার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে এবং শহীদ শামসুল হক হলের দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব না থাকায় তাদের হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শামসুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, আমার হলের দুই শিক্ষার্থী জড়িত থাকায় তাৎক্ষণিক তাদের রুম তালাবদ্ধ করা হয়েছে এবং হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রক্টর অধ্যাপক আব্দুল আলীম বলেন, চুরি করা জিনিস দিয়ে ধর্মীয় প্রার্থনা হতে পারে না। অভিযুক্তরা পরিণত বয়সের শিক্ষার্থী। এটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘পূজার জন্য ফুল চুরি’ অভিযোগে বাকৃবির ৩ শিক্ষার্থীর শাস্তি

আপডেট সময় : ০৬:১৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শহীদ নাজমুল আহসান হলের বাগান থেকে ‘পূজার জন্য ফুল চুরির’ অভিযোগে শাস্তির মুখে পড়েছেন সাবেক ও বর্তমান তিন শিক্ষার্থী।

এর মধ্যে এক শিক্ষার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে। অপর দুই শিক্ষার্থীর মাস্টার্স শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের হলত্যাগের নির্দেশ দিয়ে কক্ষ তালাবদ্ধ করা হয়েছে।

চুরি করা ফুলগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের পেছনে ‘ভক্তি কুটির ইসকন মন্দিরে’ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন হল শহীদ নাজমুল আহসান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক কাজী কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে হলের গার্ডরা ফুল চুরির ঘটনা তাকে জানায়। পরে খোঁজ নিতে গিয়ে দুপুরে তিনি ইসকন মন্দিরে ‘চুরি যাওয়া ফুল’ শনাক্ত করেন।

হলের কর্মীরা বলছেন, তিন শিক্ষার্থী হলের বাগান থেকে তিন বস্তা ফুল নিয়ে যায় এবং তা মন্দিরে পুষ্পাঅভিষেক পূজার জন্য ব্যবহার করা হয়।

প্রভোস্ট মন্দির থেকেই একজন শিক্ষার্থীকে আটক করেন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান এবং বাকি দুই শিক্ষার্থীকে সেখানে ডেকে আনা হয়।

সেখানে তিনজন ‘ফুল চুরির বিষয়টি স্বীকার করে’ ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ না করার অঙ্গীকার করেন বলে প্রভোস্টের ভাষ্য।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধির ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শহীদ নাজমুল আহসান হলের একজন শিক্ষার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে এবং শহীদ শামসুল হক হলের দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব না থাকায় তাদের হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শামসুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, আমার হলের দুই শিক্ষার্থী জড়িত থাকায় তাৎক্ষণিক তাদের রুম তালাবদ্ধ করা হয়েছে এবং হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রক্টর অধ্যাপক আব্দুল আলীম বলেন, চুরি করা জিনিস দিয়ে ধর্মীয় প্রার্থনা হতে পারে না। অভিযুক্তরা পরিণত বয়সের শিক্ষার্থী। এটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।