ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

পূজার ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

  • আপডেট সময় : ১০:০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বুধবার (০১ অক্টোবর) বিকেলে থেকেই সৈকতে বিপুল পর্যটকের আগমন ঘটে। আগত পর্যটকরা সৈকতের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে ওঠেন। অনেকে আবার ঘুরছেন ঘোড়া, মোটরসাইকেল কিংবা ওয়াটার বাইকে। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

দীর্ঘ সময় পর পর্যটকের এমন বাড়তি উপস্থিতিতে উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার ৯৫ শতাংশ হোটেল-মোটেল। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

দেশের দক্ষিণের এই পর্যটন কেন্দ্রটির মূল মৌসুম ধরা হয় অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। বছরের বাকি সময়গুলোতে পর্যটক থাকলেও তা সামান্য। তাই একদিকে পূজার বন্ধ, অন্যদিকে পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে প্রায় ১৬টি পেশার ব্যবসায়ীরা নতুনভাবে নিজেদের প্রস্তুত করেছেন। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সবাই দিচ্ছে নানা সুযোগ সুবিধা।

বুধবার সকাল থেকেই সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে। সৈকতের জিরো পয়েন্ট, লেম্বুরবন, গঙ্গামতি, ঝাউবন, শুঁটকিপল্লী, মিশ্রিপাড়াসহ প্রত্যেকটি স্পটে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় ছিল।

তবে সমুদ্রপ্রেমী এসব মানুষের অভিযোগ, কুয়াকাটায় এসে দুই তিন দিন থাকার মতো কোনো ভ্রমণস্পট, একটি নান্দনিক সৈকতের অভাবসহ নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াত ও অনেক সমস্যা রয়েছে।

পাবনা থেকে আসা আব্দুস সমীর জানান, মূলত পূজার বন্ধকে কেন্দ্র করে পরিবারসহ ঘুরতে এসেছি। তিন মাস আগে ঘুরতে আসার প্ল্যান করেছি, কুয়াকাটাতে দুইদিন থাকবো। তবে কুয়াকাটায় অত্যন্ত সুন্দর বেশ কয়েকটি স্পট থাকলেও রাতে সময় কাটানোর মতো তেমন কোনো স্পট নেই। এটা থাকলে পর্যটকদের চাহিদা আরও বাড়তো।

কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু জানান, বুধবার পর্যটকে টইটুম্বুর ছিল কুয়াকাটা। কুয়াকাটায় পর্যটক এলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ভালো থাকে, প্রত্যেকটা টুর গাইড ব্যস্ততায় সময় কাটায়, এখান থেকে আয় করে পরিবার চালায়। তাই সরকারের কাছে আবেদন, সারা বছর কুয়াকাটায় পর্যটক আসার ব্যবস্থা করা হোক।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, সাদা পোশাকে এবং পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক ও স্টেক হোল্ডাররা কাজ করছে।

এসি/আপ্র/০২/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

পূজার ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

আপডেট সময় : ১০:০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বুধবার (০১ অক্টোবর) বিকেলে থেকেই সৈকতে বিপুল পর্যটকের আগমন ঘটে। আগত পর্যটকরা সৈকতের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে ওঠেন। অনেকে আবার ঘুরছেন ঘোড়া, মোটরসাইকেল কিংবা ওয়াটার বাইকে। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

দীর্ঘ সময় পর পর্যটকের এমন বাড়তি উপস্থিতিতে উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার ৯৫ শতাংশ হোটেল-মোটেল। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

দেশের দক্ষিণের এই পর্যটন কেন্দ্রটির মূল মৌসুম ধরা হয় অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। বছরের বাকি সময়গুলোতে পর্যটক থাকলেও তা সামান্য। তাই একদিকে পূজার বন্ধ, অন্যদিকে পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে প্রায় ১৬টি পেশার ব্যবসায়ীরা নতুনভাবে নিজেদের প্রস্তুত করেছেন। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সবাই দিচ্ছে নানা সুযোগ সুবিধা।

বুধবার সকাল থেকেই সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে। সৈকতের জিরো পয়েন্ট, লেম্বুরবন, গঙ্গামতি, ঝাউবন, শুঁটকিপল্লী, মিশ্রিপাড়াসহ প্রত্যেকটি স্পটে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় ছিল।

তবে সমুদ্রপ্রেমী এসব মানুষের অভিযোগ, কুয়াকাটায় এসে দুই তিন দিন থাকার মতো কোনো ভ্রমণস্পট, একটি নান্দনিক সৈকতের অভাবসহ নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াত ও অনেক সমস্যা রয়েছে।

পাবনা থেকে আসা আব্দুস সমীর জানান, মূলত পূজার বন্ধকে কেন্দ্র করে পরিবারসহ ঘুরতে এসেছি। তিন মাস আগে ঘুরতে আসার প্ল্যান করেছি, কুয়াকাটাতে দুইদিন থাকবো। তবে কুয়াকাটায় অত্যন্ত সুন্দর বেশ কয়েকটি স্পট থাকলেও রাতে সময় কাটানোর মতো তেমন কোনো স্পট নেই। এটা থাকলে পর্যটকদের চাহিদা আরও বাড়তো।

কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু জানান, বুধবার পর্যটকে টইটুম্বুর ছিল কুয়াকাটা। কুয়াকাটায় পর্যটক এলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ভালো থাকে, প্রত্যেকটা টুর গাইড ব্যস্ততায় সময় কাটায়, এখান থেকে আয় করে পরিবার চালায়। তাই সরকারের কাছে আবেদন, সারা বছর কুয়াকাটায় পর্যটক আসার ব্যবস্থা করা হোক।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, সাদা পোশাকে এবং পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক ও স্টেক হোল্ডাররা কাজ করছে।

এসি/আপ্র/০২/১০/২০২৫