নিজস্ব প্রতিবেদক : কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে (সিপিএইচ) দেশের সেরা হাসপাতাল হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি বলে জানিয়েছেন সিপিএইচ পরিচালক ডিআইজি ড. হাসানুল হায়দার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সেরা মেশিনারিজ দিয়ে হাসপাতালটিকে সাজিয়েছি এবং উন্নত সেবা প্রদানে আমরা ইতোমধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সিপিএইচ থেকে কী কী সেবা গ্রহণ করতে পারবেন ও তাদের কোন কোন বিষয়ে সচেতন হতে হবে সে বিষয়ে অবহিত করতে এ বিশেষ কল্যাণ সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশনায় এ সভা করে ডিএমপি।
বিশেষ কল্যাণ সভায় সিপিএইচ পরিচালক বলেন, আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত কোনো সদস্যকে যেন চিকিৎসার জন্য বাইরের কোনো হাসপাতালে যাওয়া না লাগে, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।
পুলিশ হাসপাতালকে দেশের সেরা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে
করোনা মহামারিকালে ডিএমপি কমিশনারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনারের সহযোগিতায় করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন হোটেল ও স্কুলে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। সেসময় ৪৫টি আইসিইউয়ের মাধ্যমে জটিল অবস্থায় থাকা রোগীদের সেবা দেওয়া হয়েছে। যা বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। বর্তমানে এই হাসপাতালে ৩০টি ডায়ালাইসিস মেশিনের মাধ্যমে পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
ডিআইজি ড. হাসানুল হায়দার আরও বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের গত এক মাস থেকে এই হাসপাতালেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে গুরুতর আহত রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার্থে বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
বিশেষ কল্যাণ সভায় উপ-পুলিশ কমিশনার (পরিবহন) মো. জোবায়েদুর রহমান পিপিএম-সেবা, উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা সহ ডিএমপির ঊধ্র্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ হাসপাতালকে দেশের সেরা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ