ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

পুলিশ যখন সাংবাদিকতা করতে চায়, তখন বুঝতে হবে, রাষ্ট্র আর নেই: ফখরুল

  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পুলিশ যখন সাংবাদিকতা করতে চায়, তখন বুঝতে হবে, এই রাষ্ট্র আর নেই। তিনি বলেন, এ রাষ্ট্র শেষ হবে না কেন? পুলিশকে এত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তো নিজেরাই বলেন, বাতির রাজা ফিলিপস, মাছের রাজা ইলিশ, আর দেশের রাজা হচ্ছে পুলিশ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পূর্ণ ব্যর্থ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে। পুলিশ জোর করে মানুষকে তুলে নিয়ে চাঁদা আদায় করছে। পুলিশের কর্মকর্তা ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত হচ্ছেন, যা পত্রিকা খুললেই দেখা যায়। এর মধ্যে পুলিশ আবার নতুন একটি কারসাজি শুরু করেছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বলেছেন, এখন পুলিশ সাংবাদিকতাও করবে। জীবন রক্ষা বাদ দিয়ে, চোর–ডাকাত ধরা বাদ দিয়ে, যারা অন্যায় করছে, তাদের ধরা বাদ দিয়ে সাংবাদিকতা করবে। এটা কিন্তু সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। এটা মনে রাখতে হবে।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপিরর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম ‘কারামুক্তি দিবস’ উপলক্ষে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনি জেলাগুলোতে যদি যান, ঢাকা ডিসি অফিসে যান, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মিটিং হয় বা উন্নয়নমূলক মিটিং হয়, সেখানে সরকারি আমলারাই সবচেয়ে বেশি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করে। আওয়ামী লীগ কোথায়, আওয়ামী লীগ নেই তো এখন। এখন তো পুরা আমলা লীগ। এই আমলারাই সামরিক, বেসামরিক, পুলিশ-সব।’
বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ এখন আগ্রাসী ও লেজুড়বৃত্তির সরকার। তাঁরা বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। এ জন্য মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। বিএনপিকে গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে, এটা শুধু বিএনপির সংকট নয়, এটা জাতীয় সংকট। বিএনপি লড়াই করছে। বিএনপির নেত্রী অবরুদ্ধ, নেতা–কর্মীরা কারাগারে। এখন ছাত্র-জনতা এক হয়ে অভ্যুত্থান করে সরকারের রশি টেনে ধরতে হবে। তিনি বলেন, তারেক রহমান কেন নির্বাসিত? তিনি নির্বাসিত বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, তা ধারণ করেছেন বলে। এ দেশে জাতীয়তাবাদ যাঁরা ধারণ করেন, তাঁরাও নির্বাসিত। সংগঠনের উপদেষ্টা আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশ যখন সাংবাদিকতা করতে চায়, তখন বুঝতে হবে, রাষ্ট্র আর নেই: ফখরুল

আপডেট সময় : ০৯:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পুলিশ যখন সাংবাদিকতা করতে চায়, তখন বুঝতে হবে, এই রাষ্ট্র আর নেই। তিনি বলেন, এ রাষ্ট্র শেষ হবে না কেন? পুলিশকে এত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তো নিজেরাই বলেন, বাতির রাজা ফিলিপস, মাছের রাজা ইলিশ, আর দেশের রাজা হচ্ছে পুলিশ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পূর্ণ ব্যর্থ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে। পুলিশ জোর করে মানুষকে তুলে নিয়ে চাঁদা আদায় করছে। পুলিশের কর্মকর্তা ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত হচ্ছেন, যা পত্রিকা খুললেই দেখা যায়। এর মধ্যে পুলিশ আবার নতুন একটি কারসাজি শুরু করেছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বলেছেন, এখন পুলিশ সাংবাদিকতাও করবে। জীবন রক্ষা বাদ দিয়ে, চোর–ডাকাত ধরা বাদ দিয়ে, যারা অন্যায় করছে, তাদের ধরা বাদ দিয়ে সাংবাদিকতা করবে। এটা কিন্তু সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। এটা মনে রাখতে হবে।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপিরর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম ‘কারামুক্তি দিবস’ উপলক্ষে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনি জেলাগুলোতে যদি যান, ঢাকা ডিসি অফিসে যান, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মিটিং হয় বা উন্নয়নমূলক মিটিং হয়, সেখানে সরকারি আমলারাই সবচেয়ে বেশি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করে। আওয়ামী লীগ কোথায়, আওয়ামী লীগ নেই তো এখন। এখন তো পুরা আমলা লীগ। এই আমলারাই সামরিক, বেসামরিক, পুলিশ-সব।’
বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ এখন আগ্রাসী ও লেজুড়বৃত্তির সরকার। তাঁরা বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। এ জন্য মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। বিএনপিকে গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে, এটা শুধু বিএনপির সংকট নয়, এটা জাতীয় সংকট। বিএনপি লড়াই করছে। বিএনপির নেত্রী অবরুদ্ধ, নেতা–কর্মীরা কারাগারে। এখন ছাত্র-জনতা এক হয়ে অভ্যুত্থান করে সরকারের রশি টেনে ধরতে হবে। তিনি বলেন, তারেক রহমান কেন নির্বাসিত? তিনি নির্বাসিত বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, তা ধারণ করেছেন বলে। এ দেশে জাতীয়তাবাদ যাঁরা ধারণ করেন, তাঁরাও নির্বাসিত। সংগঠনের উপদেষ্টা আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।