ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ জঙ্গি নেতা নিহত

  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী এমআইটির (ইস্ট ইন্দোনেশিয়া মুজাহিদিন) শীর্ষ নেতা আলী কালোরা ও এমআইটির অপর নেতা জাকা রমজান ওরফে ইকরিমা।
ইন্দোনেশীয় পুলিশের বিবৃতির বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত শনিবার বিকেলে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের একটি গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় এমইটির নেতা আলী কালোরা ও জাকা রমজানসহ ছয় জঙ্গির। যুদ্ধে আলী ও রমজান নিহত হন এবং বাকি চারজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
ওই গ্রামে এমইটির আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে সেই আস্তানা থেকে থেকে একটি এম ১৬ বন্দুক, দু’টি চাপাতি, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র, জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা।
গত বছর নভেম্বরে সুলাওয়েসির দ্বীপের চার গ্রামে যে নিষ্ঠুর গণহত্যা হয়েছিল, তার জন্য এমআইটিকে দায়ী করেছে দেশটির আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। যদিও সেই গণহত্যার দায় জঙ্গিগোষ্ঠীটি কখনও স্বীকার করেনি।
ইস্ট ইন্দোনেশিয়া মুজাহিদিন বা এমইটির সাবেক নেতা সানতোসো একসময় মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম অধ্যুষিত দেশটিতে। প্রথম ইন্দোনেশীয় জঙ্গি হিসেবে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সদস্য হয়েছিল সে।
আলী কালোরার মৃত্যুতে মধ্যে দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় জঙ্গি তৎপরতা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করছেন দেশটির সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিশেষজ্ঞরা। ইউনিভার্সিটি অব ইন্দোনেশিয়ার সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ রিদওয়ান হাবিব এ সম্পর্কে রয়টার্সকে বলেন, ‘আলী কালোরার মৃত্যুর পর পর এমআইটি নতুন কোনো নেতা বেছে নেবে কি না – সে সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই।’
‘কারণ, তারা বিশ্বাস করে জিহাদরত অবস্থায় মারা গেলে বেহেশতে যাওয়া যায়। সুতরাং, তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, আলী কালোরা এবং জাকা রমজান বেহেশতে গিয়েছেন এবং তাদেরও এখন লক্ষ্য নেতাকে অনুসরণ করে বেহেশতে যাওয়া।’
গত আগস্টে এমআইটির ৫৩ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল ইন্দোনেশিয়া পুলিশ। এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল- গ্রেফতার এই জঙ্গিরা ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবসে নাশকতার ছক তৈরি করেছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ জঙ্গি নেতা নিহত

আপডেট সময় : ১১:৪৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী এমআইটির (ইস্ট ইন্দোনেশিয়া মুজাহিদিন) শীর্ষ নেতা আলী কালোরা ও এমআইটির অপর নেতা জাকা রমজান ওরফে ইকরিমা।
ইন্দোনেশীয় পুলিশের বিবৃতির বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত শনিবার বিকেলে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের একটি গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় এমইটির নেতা আলী কালোরা ও জাকা রমজানসহ ছয় জঙ্গির। যুদ্ধে আলী ও রমজান নিহত হন এবং বাকি চারজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
ওই গ্রামে এমইটির আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে সেই আস্তানা থেকে থেকে একটি এম ১৬ বন্দুক, দু’টি চাপাতি, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র, জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা।
গত বছর নভেম্বরে সুলাওয়েসির দ্বীপের চার গ্রামে যে নিষ্ঠুর গণহত্যা হয়েছিল, তার জন্য এমআইটিকে দায়ী করেছে দেশটির আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। যদিও সেই গণহত্যার দায় জঙ্গিগোষ্ঠীটি কখনও স্বীকার করেনি।
ইস্ট ইন্দোনেশিয়া মুজাহিদিন বা এমইটির সাবেক নেতা সানতোসো একসময় মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম অধ্যুষিত দেশটিতে। প্রথম ইন্দোনেশীয় জঙ্গি হিসেবে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সদস্য হয়েছিল সে।
আলী কালোরার মৃত্যুতে মধ্যে দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় জঙ্গি তৎপরতা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করছেন দেশটির সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিশেষজ্ঞরা। ইউনিভার্সিটি অব ইন্দোনেশিয়ার সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ রিদওয়ান হাবিব এ সম্পর্কে রয়টার্সকে বলেন, ‘আলী কালোরার মৃত্যুর পর পর এমআইটি নতুন কোনো নেতা বেছে নেবে কি না – সে সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই।’
‘কারণ, তারা বিশ্বাস করে জিহাদরত অবস্থায় মারা গেলে বেহেশতে যাওয়া যায়। সুতরাং, তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, আলী কালোরা এবং জাকা রমজান বেহেশতে গিয়েছেন এবং তাদেরও এখন লক্ষ্য নেতাকে অনুসরণ করে বেহেশতে যাওয়া।’
গত আগস্টে এমআইটির ৫৩ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল ইন্দোনেশিয়া পুলিশ। এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল- গ্রেফতার এই জঙ্গিরা ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবসে নাশকতার ছক তৈরি করেছিল।