ঢাকা ০১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ মার্চ ২০২৫

পুলিশের ফোন ছিনতাই, আইনজীবীর বাসায় চুরি

  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : ময়মনসিংহে চোর-ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বেড়েছে। আতঙ্কে চলাচল করছে মানুষ। তবে ভুক্তভোগী শুধু সাধারণ জনতা নয়, ছিনতাইকারীর কবল থেকে রেহাই পাচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। সম্প্রতি ময়মনসিংহে আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন মুহাইমিনুল ইসলাম লিমন (৩০) নামের পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই)।

তার মোবাইলফোন নিয়ে যান ছিনতাইকারী। গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরতলির শম্ভুগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মুহাইমিনুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) এসআই পদে কর্মরত। মুহাইমিনুল ইসলাম লিমন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নেত্রকোনার আদালতে একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে সোমবার ঢাকা থেকে সিএনজিযোগে নেত্রকোনা যাচ্ছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শম্ভুগঞ্জ মোড় পর্যন্ত আসতেই একটি কল আসে। এসময় মোবাইল পকেট থেকে বের করতেই ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে এসে মোবাইল নিয়ে চলে যায়।’

এসআই লিমন বলেন, ‘আমি এক ছিনতাইকারীকে গত চার মাসে তিনবার গ্রেফতার করেছি। এসময়ের মধ্যে তিনি আরও দুইবার গ্রেফতার হয়েছেন। চার মাসের মধ্যে যদি এক ছিনতাইকারীকে পাঁচবার গ্রেফতার করতে হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে কীভাবে?’ শুধু এই পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষেত্রে নয়; সম্প্রতি ময়মনসিংহ নগরীজুড়ে চুরি-ছিনতাই বেড়েছে। বাসাবাড়িতে ঘটছে চুরির ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকে। নগরবাসী জানান, বাসা থেকে বের হলে চুরি-ছিনতাই হতে পারে এমন আতঙ্ক নিয়ে তাদের বের হতে হয়। দিনে ছিনতাই সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে উৎপাত বেড়ে যায়। নানা কায়দায় পথরোধ করে নিমিষেই সবকিছু ছিনতাই করে সটকে পড়েন তারা। শহরের বাঘমারা এলাকার বাসিন্দা ইদ্রিস আলী।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘হঠাৎ করে চুরি-ছিনতাই বেড়ে গেছে। আমরা শুনছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। তবে চুরি ছিনতাইতো বন্ধ হচ্ছে না। আরও জোড়ালো অভিযান চালানো প্রয়োজন।’ আকুয়া মাদরাসা কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শনিবার স্ত্রীকে নিয়ে কেনাকাটা করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রিকশায় করে বাসায় ফিরছিলাম। কাছাকাছি আসতেই দুই মোটরসাইকেলে চারজন ছিনতাইকারী এসে চাকুর ভয় দেখিয়ে দুটি মোবাইলসহ নগদ কিছু টাকা নিয়ে গেছে।’ সম্প্রতি ময়মনসিংহ জজ আদালতের আইনজীবী রুবেল হাসানের মোটরসাইকেল আদালত চত্বর থেকে চুরি হয়ে যায়। চুরির দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। রুবেল হাসান বলেন, ‘গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালত চত্বরে মোটরসাইকেলটি রেখেছিলাম। হঠাৎ মুখে মাস্ক পরে এক যুবক এসে এদিক-সেদিক তাকিয়ে নিমিষেই মোটরসাইকেলটি নিয়ে চলে যায়।’ এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা দিনরাত অভিযান চালাচ্ছি। চোর-ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। সম্প্রতি চুরি হওয়া এক মোটরসাইকেল উদ্ধার করে মালিককে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশের ফোন ছিনতাই, আইনজীবীর বাসায় চুরি

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : ময়মনসিংহে চোর-ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বেড়েছে। আতঙ্কে চলাচল করছে মানুষ। তবে ভুক্তভোগী শুধু সাধারণ জনতা নয়, ছিনতাইকারীর কবল থেকে রেহাই পাচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। সম্প্রতি ময়মনসিংহে আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন মুহাইমিনুল ইসলাম লিমন (৩০) নামের পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই)।

তার মোবাইলফোন নিয়ে যান ছিনতাইকারী। গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরতলির শম্ভুগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মুহাইমিনুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) এসআই পদে কর্মরত। মুহাইমিনুল ইসলাম লিমন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নেত্রকোনার আদালতে একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে সোমবার ঢাকা থেকে সিএনজিযোগে নেত্রকোনা যাচ্ছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শম্ভুগঞ্জ মোড় পর্যন্ত আসতেই একটি কল আসে। এসময় মোবাইল পকেট থেকে বের করতেই ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে এসে মোবাইল নিয়ে চলে যায়।’

এসআই লিমন বলেন, ‘আমি এক ছিনতাইকারীকে গত চার মাসে তিনবার গ্রেফতার করেছি। এসময়ের মধ্যে তিনি আরও দুইবার গ্রেফতার হয়েছেন। চার মাসের মধ্যে যদি এক ছিনতাইকারীকে পাঁচবার গ্রেফতার করতে হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে কীভাবে?’ শুধু এই পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষেত্রে নয়; সম্প্রতি ময়মনসিংহ নগরীজুড়ে চুরি-ছিনতাই বেড়েছে। বাসাবাড়িতে ঘটছে চুরির ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকে। নগরবাসী জানান, বাসা থেকে বের হলে চুরি-ছিনতাই হতে পারে এমন আতঙ্ক নিয়ে তাদের বের হতে হয়। দিনে ছিনতাই সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে উৎপাত বেড়ে যায়। নানা কায়দায় পথরোধ করে নিমিষেই সবকিছু ছিনতাই করে সটকে পড়েন তারা। শহরের বাঘমারা এলাকার বাসিন্দা ইদ্রিস আলী।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘হঠাৎ করে চুরি-ছিনতাই বেড়ে গেছে। আমরা শুনছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। তবে চুরি ছিনতাইতো বন্ধ হচ্ছে না। আরও জোড়ালো অভিযান চালানো প্রয়োজন।’ আকুয়া মাদরাসা কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শনিবার স্ত্রীকে নিয়ে কেনাকাটা করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রিকশায় করে বাসায় ফিরছিলাম। কাছাকাছি আসতেই দুই মোটরসাইকেলে চারজন ছিনতাইকারী এসে চাকুর ভয় দেখিয়ে দুটি মোবাইলসহ নগদ কিছু টাকা নিয়ে গেছে।’ সম্প্রতি ময়মনসিংহ জজ আদালতের আইনজীবী রুবেল হাসানের মোটরসাইকেল আদালত চত্বর থেকে চুরি হয়ে যায়। চুরির দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। রুবেল হাসান বলেন, ‘গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালত চত্বরে মোটরসাইকেলটি রেখেছিলাম। হঠাৎ মুখে মাস্ক পরে এক যুবক এসে এদিক-সেদিক তাকিয়ে নিমিষেই মোটরসাইকেলটি নিয়ে চলে যায়।’ এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা দিনরাত অভিযান চালাচ্ছি। চোর-ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। সম্প্রতি চুরি হওয়া এক মোটরসাইকেল উদ্ধার করে মালিককে ফেরত দেওয়া হয়েছে।