ঢাকা ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

পুলিশের তৎপরতায় হারানো প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা ফেরত পেলেন প্রবাসী

  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানা-পুলিশের তৎপরতায় হারানো ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন লোকমান মিয়া (২৮) নামের এক প্রবাসী। তিনি সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়দরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
লোকমান মিয়া চার বছর ধরে থাকেন সৌদি আরবে। গতকাল শনিবার দুপুরে তিনি ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হারিয়ে ফেলেন। পুলিশের সহায়তায় রাত ১২টার দিকে ওই টাকা ফেরত পান তিনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লোকমান মিয়া কয়েক মাস আগে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে আসেন। দেশে ফিরে তিনি ছোট ভাই সুমন মিয়া, ভগ্নিপতি শাহজাহান মিয়া, চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম ও ভাতিজা মমিন মিয়াকে সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
গত শনিবার দুপুরে তিনি ওই ৪ জনের ভিসার জন্য ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে নরসিংদী হয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন। ওই টাকা ভিসা প্রদানকারী ব্যক্তির বাড়ি নরসিংদীতে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভগ্নিপতি শাহজাহানসহ কয়েকজন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তিনি সিএনজিচালিত দুটি অটোরিকশাযোগে প্রথমে উপজেলা সদরের দিকে আসছিলেন।
সরাইল-নাসিরনগর সড়কের ধরন্তী ঘাট এলাকায় পৌঁছে তাঁরা অটোরিকশা পরিবর্তন করেন। এ সময় টাকাভর্তি ব্যাগটি অটোরিকশায় থেকে যায়। কিছুক্ষণ পর টাকার কথা মনে হলে তাঁরা ছোটাছুটি শুরু করেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ওই অটোরিকশার সন্ধান না পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে বিষয়টি সরাইল থানা-পুলিশে অবহিত করেন। সরাইল থানার উপপরিদর্শক হোসেনে মোবারক সন্ধ্যা সাতটার দিকে অটোরিকশার চালক বাবুল মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। বাবুল শুরু থেকেই টাকা পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করতে থাকেন। পরে রাত ১০টার দিকে চালক টাকা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। বাবুল মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রাত ১১টার দিকে তাঁর পরিবারের কাছে থেকে টাকা উদ্ধার করে। রাত ১২টার দিকে লোকমান মিয়া পুরো টাকা ফেরত পান।
লোকমান মিয়া বলেন, শনিবার রাতেই তাঁর সৌদি আরব ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। ভুলের কারণে যেতে পারেননি। তাতে লাখ টাকার ক্ষতি হলেও পুলিশের সহায়তায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, অনেক কৌশল খাঁটিয়ে অটোরিকশাটি ও চালককে চিহ্নিত করে পুরো টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের হাতে পৌঁছে দিতে পেরেছেন। এটি পুলিশের কাজেরই একটি অংশ। এ জন্য মালিককে কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশের তৎপরতায় হারানো প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা ফেরত পেলেন প্রবাসী

আপডেট সময় : ০২:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানা-পুলিশের তৎপরতায় হারানো ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন লোকমান মিয়া (২৮) নামের এক প্রবাসী। তিনি সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়দরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
লোকমান মিয়া চার বছর ধরে থাকেন সৌদি আরবে। গতকাল শনিবার দুপুরে তিনি ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হারিয়ে ফেলেন। পুলিশের সহায়তায় রাত ১২টার দিকে ওই টাকা ফেরত পান তিনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লোকমান মিয়া কয়েক মাস আগে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে আসেন। দেশে ফিরে তিনি ছোট ভাই সুমন মিয়া, ভগ্নিপতি শাহজাহান মিয়া, চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম ও ভাতিজা মমিন মিয়াকে সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
গত শনিবার দুপুরে তিনি ওই ৪ জনের ভিসার জন্য ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে নরসিংদী হয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন। ওই টাকা ভিসা প্রদানকারী ব্যক্তির বাড়ি নরসিংদীতে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভগ্নিপতি শাহজাহানসহ কয়েকজন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তিনি সিএনজিচালিত দুটি অটোরিকশাযোগে প্রথমে উপজেলা সদরের দিকে আসছিলেন।
সরাইল-নাসিরনগর সড়কের ধরন্তী ঘাট এলাকায় পৌঁছে তাঁরা অটোরিকশা পরিবর্তন করেন। এ সময় টাকাভর্তি ব্যাগটি অটোরিকশায় থেকে যায়। কিছুক্ষণ পর টাকার কথা মনে হলে তাঁরা ছোটাছুটি শুরু করেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ওই অটোরিকশার সন্ধান না পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে বিষয়টি সরাইল থানা-পুলিশে অবহিত করেন। সরাইল থানার উপপরিদর্শক হোসেনে মোবারক সন্ধ্যা সাতটার দিকে অটোরিকশার চালক বাবুল মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। বাবুল শুরু থেকেই টাকা পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করতে থাকেন। পরে রাত ১০টার দিকে চালক টাকা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। বাবুল মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রাত ১১টার দিকে তাঁর পরিবারের কাছে থেকে টাকা উদ্ধার করে। রাত ১২টার দিকে লোকমান মিয়া পুরো টাকা ফেরত পান।
লোকমান মিয়া বলেন, শনিবার রাতেই তাঁর সৌদি আরব ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। ভুলের কারণে যেতে পারেননি। তাতে লাখ টাকার ক্ষতি হলেও পুলিশের সহায়তায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, অনেক কৌশল খাঁটিয়ে অটোরিকশাটি ও চালককে চিহ্নিত করে পুরো টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের হাতে পৌঁছে দিতে পেরেছেন। এটি পুলিশের কাজেরই একটি অংশ। এ জন্য মালিককে কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি।