নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘বাংলাদেশ পুলিশ (অধস্তন কর্মচারী) কল্যাণ তহবিল আইন-২০২১’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৯৮৬ সালের একটা অধ্যাদেশ ছিল, সামরিক শাসনের সময় যে অধ্যাদেশ ছিল, সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন আইন করতে হবে। এটা আগেই ছিল। যেমন- পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর থেকে নিচ পর্যন্ত যারা তাদের জন্য আলাদা একটা কল্যাণ তহবিল আইন আছে। সেটা যেহেতু অর্ডিন্যান্স ছিল ২০১৩ সালের জাজমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে সেটাকে আইন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারি কর্মচারী কল্যাণ তহবিল আছে। পুলিশ বা বিভিন্ন ইউনিফর্ম সার্ভিসে দুইটা, পুলিশের হলো ১০ গ্রেড থেকে ২০ গ্রেড পর্যন্ত একটা। আর ১০ গ্রেডের ওপরে যেটা সেটা আমাদের সরকারি কর্মচারী আইন দিয়ে চলে। কিন্তু তারা আবার এটার মধ্যে পড়েন না। সেজন্য এই আইনটা নিয়ে আসা হয়েছে, কল্যাণ ফান্ডটা যাতে পায় বা ব্যবহার করতে পারে। সেক্ষেত্রে মাসিক চাঁদা ৮৫ টাকা অথবা বোর্ড থাকবে, বোর্ড যেটা নির্ধারণ করে দেবে সেই পরিমাণ দিতে হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সাব-ইন্সপেক্টর ও এর নিচের কর্মচারী যারা তারা সবাই এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। সেখানে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের মতো যে বোর্ড আছে, সেই রকম এখানেও একটা বোর্ড থাকবে। আইজি নিজেই সেই বোর্ডের চেয়ারম্যান।’
তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় অধ্যাদেশে ছিল, তা নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদি কেউ মারা যায় সেক্ষেত্রে তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে কারা কীভাবে তহবিল থেকে টাকা পাবেন, সেটা মুসলিম পরিবার আইন বা হিন্দু আইনে যেভাবে আছে সেভাবেই পাবেন।’ এছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে সম্পাদিত সামরিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া (ভূতাপেক্ষ) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
পুলিশের অধস্তন কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল আইন অনুমোদন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ