ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

পুরস্কার নিয়ে ‘অ্যাভাটার’ কন্যার ক্ষোভ

  • আপডেট সময় : ০৫:১৫:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: হলিউড বরাবরই রাজত্ব করেছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি-নির্ভর সিনেমা। বিশেষকরে ‘অ্যাভাটার’- এর মতো সিনেমা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ডলার ব্যবসা করলেও পুরস্কার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এ ধরণের সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মূল্যায়ন কমই করা হয়। এই অভিযোগ করেছেন খোদ ‘অ্যাভাটার’-কন্যা মার্কিন অভিনেত্রী জোয়ি সালড্যানা। সিজিআই (অ্যানিমেশন) ব্যবহার করা সিনেমার অভিনেতাদের পুরস্কার প্রাপ্তির সময় এলে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয় বলে দাবি করেন তিনি। অভিনেত্রী কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু সাই-ফাই প্রকল্পে অভিনয় করেছেন যা প্রচুর ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে। সম্প্রতি ইন্ডিপেনডেন্টের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে এসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন জোয়ি। পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা হয়, সেটা নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।
সালড্যানা বলেন, ‘পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থাগুলো সিজিআই ব্যবহার করা হয় এমন সিনেমার অভিনেতাদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি জাস্টিফাই থাকেন। পুরনো অভ্যাস, পুরনো স্তম্ভ বাদ দেওয়া কঠিন। আমি এসব নিয়ে বিরক্ত নই। কিন্তু আপনি যখন দেখবেন, নিজের শতভাগ দিয়ে কাজ করেও মূল্যায়ন পাওয়া যায় না, তখন এটি হতাশ করে। পুরস্কার নাও জিততে পারে, এমনকি মনোনীত নাও হতে পারে কিন্তু যখন আপনাকে উপেক্ষা করা হবে এবং তারপরে ছোট করা হবে সেটা বেদনাদায়ক।’ যদিও সালড্যানা বর্তমানে অস্কার দৌড়ে ‘এমিলিয়া পেরেস’র জন্য শীর্ষ প্রতিযোগীদের একজন। তবে ‘অ্যাভাটার’, ‘স্টার ট্র্যাক’ এবং ‘গার্ডিয়ানস অব দ্য গ্যালাক্সি’তে তার চরিত্রগুলো প্রায়ই একাডেমির নজরে পড়েনি। কিন্তু এটা ঠিক, তার সাই-ফাই চরিত্রগুলির জন্য বিশেষকরে নীল ত্বক, চকচকে চোখ; সর্বোপরি ‘অ্যাভাটার’- এ নেইতিরি চরিত্র নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিলো বিশ্বজুড়ে। জেমস ক্যামেরন পরিচালিত সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত সেরা সিনেমাটোগ্রাফি, ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট এবং শিল্প নির্দেশনার জন্য তিনটি অস্কার জিতেছিল। কিন্তু সে সময়ে ‘অ্যাভাটার’ অভিনয়ের জন্য একটি মনোনয়নও পাননি সালড্যানা। এমনকি এই অভিনেত্রীও সে সময় বলেছিলেন, ‘অভিনয় চালিয়ে যাওয়া পুরস্কারের চেয়ে অনেক বড়। কিছু সময়ে আপনাকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, আমি যা করি তা কেন করি? নাকি আমি অন্য কিছু করতে চাই না বলে?’ ‘অ্যাভাটার’ ছাড়াও সালড্যানা ‘গার্ডিয়ান অব দ্য গ্যালাক্সি’র মতো একটি সাই-ফাই সিনেমায় কাজ করেন। সিনেমাটি ছিল ‘দ্য অ্যাভেঞ্জারস’ এবং ‘আয়রন ম্যান ৩’-এর পর মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের ৩য় সর্বোচ্চ আয়কারা সিনেমা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

পুরস্কার নিয়ে ‘অ্যাভাটার’ কন্যার ক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৫:১৫:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: হলিউড বরাবরই রাজত্ব করেছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি-নির্ভর সিনেমা। বিশেষকরে ‘অ্যাভাটার’- এর মতো সিনেমা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ডলার ব্যবসা করলেও পুরস্কার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এ ধরণের সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মূল্যায়ন কমই করা হয়। এই অভিযোগ করেছেন খোদ ‘অ্যাভাটার’-কন্যা মার্কিন অভিনেত্রী জোয়ি সালড্যানা। সিজিআই (অ্যানিমেশন) ব্যবহার করা সিনেমার অভিনেতাদের পুরস্কার প্রাপ্তির সময় এলে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয় বলে দাবি করেন তিনি। অভিনেত্রী কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু সাই-ফাই প্রকল্পে অভিনয় করেছেন যা প্রচুর ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে। সম্প্রতি ইন্ডিপেনডেন্টের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে এসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন জোয়ি। পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা হয়, সেটা নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।
সালড্যানা বলেন, ‘পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থাগুলো সিজিআই ব্যবহার করা হয় এমন সিনেমার অভিনেতাদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি জাস্টিফাই থাকেন। পুরনো অভ্যাস, পুরনো স্তম্ভ বাদ দেওয়া কঠিন। আমি এসব নিয়ে বিরক্ত নই। কিন্তু আপনি যখন দেখবেন, নিজের শতভাগ দিয়ে কাজ করেও মূল্যায়ন পাওয়া যায় না, তখন এটি হতাশ করে। পুরস্কার নাও জিততে পারে, এমনকি মনোনীত নাও হতে পারে কিন্তু যখন আপনাকে উপেক্ষা করা হবে এবং তারপরে ছোট করা হবে সেটা বেদনাদায়ক।’ যদিও সালড্যানা বর্তমানে অস্কার দৌড়ে ‘এমিলিয়া পেরেস’র জন্য শীর্ষ প্রতিযোগীদের একজন। তবে ‘অ্যাভাটার’, ‘স্টার ট্র্যাক’ এবং ‘গার্ডিয়ানস অব দ্য গ্যালাক্সি’তে তার চরিত্রগুলো প্রায়ই একাডেমির নজরে পড়েনি। কিন্তু এটা ঠিক, তার সাই-ফাই চরিত্রগুলির জন্য বিশেষকরে নীল ত্বক, চকচকে চোখ; সর্বোপরি ‘অ্যাভাটার’- এ নেইতিরি চরিত্র নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিলো বিশ্বজুড়ে। জেমস ক্যামেরন পরিচালিত সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত সেরা সিনেমাটোগ্রাফি, ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট এবং শিল্প নির্দেশনার জন্য তিনটি অস্কার জিতেছিল। কিন্তু সে সময়ে ‘অ্যাভাটার’ অভিনয়ের জন্য একটি মনোনয়নও পাননি সালড্যানা। এমনকি এই অভিনেত্রীও সে সময় বলেছিলেন, ‘অভিনয় চালিয়ে যাওয়া পুরস্কারের চেয়ে অনেক বড়। কিছু সময়ে আপনাকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, আমি যা করি তা কেন করি? নাকি আমি অন্য কিছু করতে চাই না বলে?’ ‘অ্যাভাটার’ ছাড়াও সালড্যানা ‘গার্ডিয়ান অব দ্য গ্যালাক্সি’র মতো একটি সাই-ফাই সিনেমায় কাজ করেন। সিনেমাটি ছিল ‘দ্য অ্যাভেঞ্জারস’ এবং ‘আয়রন ম্যান ৩’-এর পর মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের ৩য় সর্বোচ্চ আয়কারা সিনেমা।