বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: পুরনো ল্যাপটপ ফেলে না দিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। নতুন ল্যাপটপ কেনার পরও পুরনো ল্যাপটপটি কাজে লাগিয়ে বাড়তি সুবিধা পাওয়া সম্ভব।
ফেলে রাখা ল্যাপটপটি ব্যবহার করে কার্যকারিতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থাও করা যায়। একে দ্বিতীয় মনিটর হিসেবে বা লেখালেখির কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার চাইলে পছন্দের পুরনো গেম খেলা যায়। পুরনো ল্যাপটপ ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করলে সেটি পরিবেশের জন্যও ভালো বলে জানান প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা। এখানে পুরনো ল্যাপটপকে কাজে লাগানোর কয়েকটি উপায় তুলে ধরা হলো-
সিনেমা, টিভি শো ও গান স্ট্রিমিং: পুরনো ল্যাপটপ ব্যবহার করে সিনেমা, গান, টিভি শোর মতো ডিজিটাল মিডিয়াগুলো এক জায়গায় রাখা যায়। বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে ফাইল আদান-প্রদান করার ঝামেলা থেকে বাঁচতে এটি ভালো সমাধান। প্লেক্সের ফ্রি সংস্করণটি পুরনো ল্যাপটপে ডাউনলোড করে সব ডিজিটাল মিডিয়া সংরক্ষণ ও গুছিয়ে রাখা যায়। এ অ্যাপের মাধ্যমে ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে যুক্ত যেকোনো ডিভাইস থেকে এসব কনটেন্ট দেখা যায়। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিনেমা সাজায় এবং প্লট ও রেটিংয়ের মতো তথ্য দেয়। ফলে বাড়তি পরিশ্রম কমে যায়। এছাড়া আলাদা স্ট্রিমিং ডিভাইসের খরচও বাঁচানো যায়।
লেখালেখির ডিভাইস: পুরনো ল্যাপটপ ব্যবহার করে লেখালেখির কাজ করা যায়। এতে ফোকাসরাইটারের মতো অ্যাপ ইনস্টল করা যেতে পারে। এতে টাইপরাইটারের মতো শব্দ, লেখার শব্দ গোনা, সময় ধরে কাজ করার মতো সুবিধা আছে। অ্যাপটি উইন্ডোজ, ম্যাকওএস ও লিনাক্সে বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
হালকা অপারেটিং সিস্টেম: উবুন্টু বা লিনাক্সের মতো হালকা অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করে পুরনো ল্যাপটপকে নতুন জীবন দেয়া যায়। এটি চালানোর জন্য বেশি শক্তির প্রয়োজন হয় না। এছাড়া ফেসবুক দেখা ও লেখালেখির মতো সাধারণ কাজের জন্য ভালো। পুরনো ল্যাপটপের জীবন বাড়ানোর পাশাপাশি ক্রোমবুক বা সাধারণ কাজের জন্য তৈরি ডিভাইসের খরচও বাঁচানো যায়। উবুন্টু ব্যবহার করতে অন্তত ৪ জিবি র্যাম ও ডুয়াল-কোর প্রসেসর থাকা ভালো। উবুন্টুর হালকা সংস্করণ লুবুন্টু ৫১২ এমবি থেকে ১ জিবি র্যামেও চলে।
দ্বিতীয় মনিটর: পুরনো ল্যাপটপকে দ্বিতীয় মনিটর হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। দুটি ডিভাইসে উইন্ডোজ ১০ বা ১১ থাকলে ওয়্যারলেস ডিসপ্লে ফিচারের মাধ্যমে পুরনো ল্যাপটপকে দ্বিতীয় মনিটর হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে সেটিংস থেকে ওয়্যারলেস ডিসপ্লে ফিচার চালু করে দুটি ডিভাইসকে সংযুক্ত করতে হবে।
পুরনো গেম খেলা: পুরনো দিনের জনপ্রিয় গেমগুলো খেলার জন্য ফেলে রাখা ল্যাপটপটি কাজে লাগানো যায়। এজন্য ল্যাপটপে একটি এমুলেটর ইনস্টল করতে হবে, যা গেমিং কনসোলের মতো কাজ করে। ল্যাপটপে ‘দ্য লিজেন্ড অব জেলডা: অ লিঙ্ক টু দ্য পাস্ট’, ‘সুপার মেট্রয়েড’, ‘ফাইনাল ফ্যান্টাসি সেভেন’, ‘স্পাইরো দ্য ড্রাগন’-এর মতো জনপ্রিয় গেমগুলো খেলা যাবে।