ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫

পুড়ে মারা গেলেন বাবা, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ ছেলে

  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

যশোর সংবাদদাতা : যশোরের মণিরামপুরে চায়ের দোকানে আগুন লেগে কালিপদ বিশ্বাস (৪৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলে অমিত বিশ্বাস দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতুর মোবারকপুর অংশের পাড়ে একটি চায়ের দোকানে এ অগ্নিকা- ঘটে। নিহত কালিপদ বিশ্বাস মোবারকপুর গ্রামের বাঞ্চারাম বিশ্বাসের ছেলে। তিনি রাতে ওই দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বেশ কয়েক বছর আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ডান পা হারিয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেন কালিপদ বিশ্বাস। ভাসমান সেতু চালু হলে এলাকার মানুষের সহযোগিতায় তিনি দোকানটি চালু করেন। প্রতিদিন ওই দোকানের ভেতর মশার কয়েল জ্বালিয়ে একটি খাটে ঘুমাতেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল অথবা সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকা- ঘটতে পারে। নিহতের মামা সুকেশ বিশ্বাস বলেন, ভোর রাতে নামাজের পর পরই স্থানীয়রা দোকান থেকে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে আমাদের এবং আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। এ সময় আমরা ঘটনাস্থলে আসি। কিন্তু তখনও আমরা বুঝতে পারিনি কালিপদ ভেতরে রয়েছেন। পরে দেখি কালিপদ আগুনে ঝলসে গেছেন। তার ছেলে অমিত বাবাকে বাঁচাতে গেলে তারও শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নয়ন ম-ল জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পুড়ে মারা গেলেন বাবা, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ ছেলে

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যশোর সংবাদদাতা : যশোরের মণিরামপুরে চায়ের দোকানে আগুন লেগে কালিপদ বিশ্বাস (৪৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলে অমিত বিশ্বাস দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতুর মোবারকপুর অংশের পাড়ে একটি চায়ের দোকানে এ অগ্নিকা- ঘটে। নিহত কালিপদ বিশ্বাস মোবারকপুর গ্রামের বাঞ্চারাম বিশ্বাসের ছেলে। তিনি রাতে ওই দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বেশ কয়েক বছর আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ডান পা হারিয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেন কালিপদ বিশ্বাস। ভাসমান সেতু চালু হলে এলাকার মানুষের সহযোগিতায় তিনি দোকানটি চালু করেন। প্রতিদিন ওই দোকানের ভেতর মশার কয়েল জ্বালিয়ে একটি খাটে ঘুমাতেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল অথবা সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকা- ঘটতে পারে। নিহতের মামা সুকেশ বিশ্বাস বলেন, ভোর রাতে নামাজের পর পরই স্থানীয়রা দোকান থেকে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে আমাদের এবং আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। এ সময় আমরা ঘটনাস্থলে আসি। কিন্তু তখনও আমরা বুঝতে পারিনি কালিপদ ভেতরে রয়েছেন। পরে দেখি কালিপদ আগুনে ঝলসে গেছেন। তার ছেলে অমিত বাবাকে বাঁচাতে গেলে তারও শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নয়ন ম-ল জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।