ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

পুঁজিবাজার গেইনারের শীর্ষে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার

  • আপডেট সময় : ১১:২৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

পুঁজিবাজার ডেস্ক : গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার। এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার পছন্দের শীর্ষে উঠে আসে। এতে সপ্তাহজুড়েই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ফলে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষস্থান দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের লেনদেন শুরু হওয়ার আগে লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারের দাম ছিল ৪০ টাকা ৮০ পয়সা। এরপর দাম বাড়তে বাড়তে সপ্তাহ শেষে ৪৯ টাকা ৯০ পয়সায় থিতু হয়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ টাকা ১০ পয়সা বা ২২ দশমিক ৩০ শতাংশ। শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ২০০০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে কোম্পানিটি এক শতাংশ নগদ এবং ২০২০ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এদিকে, চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি লোকসান করেছে। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ১১ পয়সা। ১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮০টি। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। এদিকে, শেয়ারের দাম বড় অঙ্কে বাড়লেও কোম্পানিটির শেয়ার খুব একটা লেনদেন হয়নি। গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৯৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৯ লাখ ৯ হাজার টাকা। গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ। এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ দশে স্থান করে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ দাম বেড়েছে। সি পার্ল বিচ রিসোর্টের বেড়েছে ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। শ্যামপুর সুগার মিলের ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, বিডিকম অনলাইনের ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ইনটেক লিমিটেডের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।
ডিএসইতে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮০.১২%
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮০.১২ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে ৬৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬৮ হাজার ৪৫৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ২৮৭ কোটি ৪৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকার বা ৮০.১২ শতাংশ গড় লেনদেন বেড়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৮৪ কোটি ৯৭ লাখ ৯৮৫ টাকার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৯৩ কোটি ৯৩ লাখ ৪২ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৭৯১ কোটি ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকার বা ৪৪.১০ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৪৬ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ২৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৫.০৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ২৩টির। আর ২২৫টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
লুজারের শীর্ষে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন লুজার বা দরপতনের শীর্ষে রয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপটাল লিমিটেড। গত সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১৬.৬৭ শতাংশ। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ১ কোটি ৫৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৩৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। মুন্নু অ্যাগ্রো লুজার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ৬.০১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি সর্বমোট ৩ ১৬ কোটি ৪১ লাখ ১২ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৪ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৫.৮০ শতাংশ দর কমে লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। লুজার তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এমবি ফার্মা, ফ্যাস ফিন্যান্স, ফারইস্ট ফিন্যান্স, বিকন ফার্মা ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
মূলধন বেড়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা
তিন কর্মদিবসে উত্থান আর এক কর্মদিবসে দরপতনের মধ্য দিয়ে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। পাশাপাশি দাম কমার পরিবর্তে লেনদেন হওয়া কোম্পানির দাম বেড়েছে। এতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) বেড়েছে ২ হাজার ৪৭৬ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৫১৮ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। একই চিত্র দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে রোববার (৫ মার্চ) লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫৯ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৯০ টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭২ টাকা। অর্থাৎ টাকার অঙ্কে পুঁজি বেড়েছে ২ হাজার ৪৭৬ কোটি ৯ লাখ টাকা। সপ্তাহে (৫ থেকে ৯ মার্চ) মোট চার কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৩টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২২৫টির। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৫৫টির, কমেছিল ১১১টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফ্লোর প্রাইসের কারণে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারের দাম বাড়ায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৬২ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৮৪ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৯৩ কোটি ৯৩ লাখ ৪২ হাজার ২৮২ টাকা। অর্থাৎ ৭৯১ কোটি ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৩ টাকা লেনদেন বেড়েছে, শতাংশের হিসাবে ৪৪ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, ইস্টার্ন হাউজিং, এডিএন টেলিকম, শাইনপুকুর সিরামিকস, জেমিনি সি ফুড, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বসুন্ধরা পেপার মিলস ও আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের শেয়ার। অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে লেনদেনে ছিল একই চিত্র। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ১৬৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৪৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৮ লাখ ২৩ হাজার ৩৫৯ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৩ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৮১৩ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিল ৩৩টির, কমেছিল ৯৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১০৩টি কোম্পানির শেয়ার। –

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পুঁজিবাজার গেইনারের শীর্ষে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার

আপডেট সময় : ১১:২৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

পুঁজিবাজার ডেস্ক : গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার। এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার পছন্দের শীর্ষে উঠে আসে। এতে সপ্তাহজুড়েই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ফলে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষস্থান দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের লেনদেন শুরু হওয়ার আগে লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারের দাম ছিল ৪০ টাকা ৮০ পয়সা। এরপর দাম বাড়তে বাড়তে সপ্তাহ শেষে ৪৯ টাকা ৯০ পয়সায় থিতু হয়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ টাকা ১০ পয়সা বা ২২ দশমিক ৩০ শতাংশ। শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ২০০০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে কোম্পানিটি এক শতাংশ নগদ এবং ২০২০ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এদিকে, চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি লোকসান করেছে। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ১১ পয়সা। ১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮০টি। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। এদিকে, শেয়ারের দাম বড় অঙ্কে বাড়লেও কোম্পানিটির শেয়ার খুব একটা লেনদেন হয়নি। গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৯৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৯ লাখ ৯ হাজার টাকা। গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ। এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ দশে স্থান করে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ দাম বেড়েছে। সি পার্ল বিচ রিসোর্টের বেড়েছে ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। শ্যামপুর সুগার মিলের ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, বিডিকম অনলাইনের ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ইনটেক লিমিটেডের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।
ডিএসইতে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮০.১২%
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮০.১২ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে ৬৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬৮ হাজার ৪৫৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ২৮৭ কোটি ৪৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকার বা ৮০.১২ শতাংশ গড় লেনদেন বেড়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৮৪ কোটি ৯৭ লাখ ৯৮৫ টাকার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৯৩ কোটি ৯৩ লাখ ৪২ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৭৯১ কোটি ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকার বা ৪৪.১০ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৪৬ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ২৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৫.০৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ২৩টির। আর ২২৫টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
লুজারের শীর্ষে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন লুজার বা দরপতনের শীর্ষে রয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপটাল লিমিটেড। গত সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১৬.৬৭ শতাংশ। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ১ কোটি ৫৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৩৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। মুন্নু অ্যাগ্রো লুজার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ৬.০১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি সর্বমোট ৩ ১৬ কোটি ৪১ লাখ ১২ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৪ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৫.৮০ শতাংশ দর কমে লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। লুজার তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এমবি ফার্মা, ফ্যাস ফিন্যান্স, ফারইস্ট ফিন্যান্স, বিকন ফার্মা ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
মূলধন বেড়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা
তিন কর্মদিবসে উত্থান আর এক কর্মদিবসে দরপতনের মধ্য দিয়ে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। পাশাপাশি দাম কমার পরিবর্তে লেনদেন হওয়া কোম্পানির দাম বেড়েছে। এতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) বেড়েছে ২ হাজার ৪৭৬ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৫১৮ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। একই চিত্র দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে রোববার (৫ মার্চ) লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫৯ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৯০ টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭২ টাকা। অর্থাৎ টাকার অঙ্কে পুঁজি বেড়েছে ২ হাজার ৪৭৬ কোটি ৯ লাখ টাকা। সপ্তাহে (৫ থেকে ৯ মার্চ) মোট চার কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৩টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২২৫টির। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৫৫টির, কমেছিল ১১১টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফ্লোর প্রাইসের কারণে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারের দাম বাড়ায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৬২ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৮৪ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৯৩ কোটি ৯৩ লাখ ৪২ হাজার ২৮২ টাকা। অর্থাৎ ৭৯১ কোটি ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৩ টাকা লেনদেন বেড়েছে, শতাংশের হিসাবে ৪৪ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, ইস্টার্ন হাউজিং, এডিএন টেলিকম, শাইনপুকুর সিরামিকস, জেমিনি সি ফুড, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বসুন্ধরা পেপার মিলস ও আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের শেয়ার। অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে লেনদেনে ছিল একই চিত্র। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ১৬৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৪৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৮ লাখ ২৩ হাজার ৩৫৯ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৩ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৮১৩ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিল ৩৩টির, কমেছিল ৯৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১০৩টি কোম্পানির শেয়ার। –