ঢাকা ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান

  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করার মধ্যেই সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমলেও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১১৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫২ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১ হাজার ১১৩ ও ১ হাজার ৮৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ দিন ডিএসইতে ৩৪৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১১ কোটি টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে ৩৫৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এসবের মধ্যে ৩১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম। এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণফোন, ইসলামী ব্যাংক, ফারইস্ট নিটিং, একমি লিমিটেড, ইবনে সিনা, লাভেলো আইসক্রিম, মতিন স্পিনিং, স্কয়ার ফার্মা ও খান ব্রাদার্স। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ১৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০২টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। গতকাল মঙ্গলবার সিএসইতে ১০ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা। সোমবারও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৭ পয়েন্ট বা প্রায় দেড় শতাংশ কমেছে। তাতে ডিএসইএক্স সূচকটি আরও কমে নেমে এসেছে ৪ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে। দরপতনের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে একদল বিনিয়োগকারী। এর আগে গত রোববারও বাজারে বড় ধরনের দরপতন হওয়ায় কয়েক শতাধিক বিনিয়োগকারী মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ করেছিলেন। তখন সেখানকার নিরাপত্তায় ছিল পুলিশের বাড়তি সতর্কতা। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন, টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। অথচ পুঁজির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিএসইসি। তারা বলেন, বিনিয়োগকারীরা রাজপথে থাকতে চান না। কিন্তু সরকার ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ‘পতন ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায়’ বাধ্য হয়ে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন। বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, যেসব কোম্পানির শেয়ারের দরপতন সাম্প্রতিক সময়ে সূচকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, সেসব শেয়ারের বিক্রিতে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কি না, এ সময় ঋণ সমন্বয়ে কী পরিমাণ ফোর্সড সেল বা জোর করে বিক্রি হয়েছে, তার তথ্য সংগ্রহ করবে। এ ছাড়া বাজারের পতন ঠেকাতে করণীয়বিষয়ক সুপারিশের জন্য কমিটি বাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করারও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত রোববার বিএসইসি সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ শামসুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তদন্তের সময় কম হওয়ায় কমিটি গঠনের পরদিন থেকে কাজ শুরু করেছে কমিটি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউনূস-রুবিও ফোনালাপ, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়াতে জোর

পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান

আপডেট সময় : ০৮:৫০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করার মধ্যেই সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমলেও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১১৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫২ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১ হাজার ১১৩ ও ১ হাজার ৮৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ দিন ডিএসইতে ৩৪৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১১ কোটি টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে ৩৫৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এসবের মধ্যে ৩১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম। এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণফোন, ইসলামী ব্যাংক, ফারইস্ট নিটিং, একমি লিমিটেড, ইবনে সিনা, লাভেলো আইসক্রিম, মতিন স্পিনিং, স্কয়ার ফার্মা ও খান ব্রাদার্স। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ১৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০২টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। গতকাল মঙ্গলবার সিএসইতে ১০ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা। সোমবারও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৭ পয়েন্ট বা প্রায় দেড় শতাংশ কমেছে। তাতে ডিএসইএক্স সূচকটি আরও কমে নেমে এসেছে ৪ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে। দরপতনের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে একদল বিনিয়োগকারী। এর আগে গত রোববারও বাজারে বড় ধরনের দরপতন হওয়ায় কয়েক শতাধিক বিনিয়োগকারী মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ করেছিলেন। তখন সেখানকার নিরাপত্তায় ছিল পুলিশের বাড়তি সতর্কতা। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন, টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। অথচ পুঁজির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিএসইসি। তারা বলেন, বিনিয়োগকারীরা রাজপথে থাকতে চান না। কিন্তু সরকার ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ‘পতন ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায়’ বাধ্য হয়ে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন। বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, যেসব কোম্পানির শেয়ারের দরপতন সাম্প্রতিক সময়ে সূচকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, সেসব শেয়ারের বিক্রিতে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কি না, এ সময় ঋণ সমন্বয়ে কী পরিমাণ ফোর্সড সেল বা জোর করে বিক্রি হয়েছে, তার তথ্য সংগ্রহ করবে। এ ছাড়া বাজারের পতন ঠেকাতে করণীয়বিষয়ক সুপারিশের জন্য কমিটি বাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করারও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত রোববার বিএসইসি সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ শামসুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তদন্তের সময় কম হওয়ায় কমিটি গঠনের পরদিন থেকে কাজ শুরু করেছে কমিটি।