ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

পুঁজিবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগ করতে আইনে কোনো বাধা নেই

  • আপডেট সময় : ০১:০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে ব্যবসায় বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে কোনো আইনি বাধা নেই। চাকরি বিধিতে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে পুঁজিবাজার সম্পর্কিত একটি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে পরিমাণ বিনিয়োগ করবেন তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করার জন্য বলা হয়েছিল। পাশাপাশি আয়কর রিটার্নেও সেটি উল্লেখের কথা বলা হয়।
পুঁজিবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগ নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা রয়েছে। অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগের বিষয়টি মিলিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। যদিও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞদেরও মন্তব্যই একই। তারা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন না, এমন কোনো আইনী নিষেধ নেই। তারা চাইলে পুঁজিবাজারে নিজেদের নামে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। সেখানে নিয়মিত লেনদেনও করতে পারবেন। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের নামেও বিনিয়োগে কোনো বাধা নেই।
জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিনা বাধায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এতে আইনে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এটা নিয়ে যদি কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে সেটা কঠোরভাবে প্রতিহত করা উচিত।’
আবু আহমেদ বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা সঙ্গত কারণেই। কারণ তা না হলে তারা তাদের সঞ্চয় কোথায় নেবেন? সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা যদি বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে সরকারের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বাধা কোথায়?’
পুঁজিবাজারের এই বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘পুঁজিবাজার বর্তমানে ইতিবাচক ধারায় আছে। একটি বিশেষ মহল বাজারের স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করতে, বাজারকে নেতিবাচক ধারায় নিতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। পুঁজিবাজার নিয়ে অতীতেও এই ধরনের চক্র সক্রিয় ছিল। তাদের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সতর্কতা আবশ্যক। তা না হলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে না। তারা অতীতের মতোই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।’
তবে পুঁজিবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার। সেটি আরও প্রায় নয় বছর আগে। পরে সেটি প্রত্যাহারও করা হয়। ২০১২ সালের ১৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার সই করা ওই পরিপত্রে বলা হয়, ‘ফটকা কারবারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগ বিধিবহির্ভূত। অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের ব্যবসায় তারা বিনিয়োগ করতে পারেন না।’
ওই প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর পরই পুঁজিবাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তখন ধসের বৃত্তেই ঘোরপাক খাচ্ছিল পুঁজিবাজার। হঠাৎ প্রজ্ঞাপনে সেই ধস আরও জোরালো হয়। ক্ষতি মোকাবিলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারের লেনদেনও বন্ধ রাখা হয়। পরে মৌখিক আদেশে প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহারের বিষয়টি জানায় তথ্য অধিদপ্তর।
২০১০ সালের পুঁজিবাজারের বড় ধসের কারণ খতিয়ে দেখতে সরকার যে কমিটি করেছিল তার প্রধান ছিলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। কমিটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১১ সালে প্রতিবেদন দিয়েছিল। প্রতিবেদনে ২৫টি সুপারিশের একটিতে বলা হয়, ‘এইসি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জ, সিডিবিএল, বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেয়ার লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। তবে তারা শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। চাকরি বিধিতে নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্তকরণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। কর্মকর্তারা নিজ নামে, স্ত্রী, সন্তান, ভাইবোন, পিতা-মাতার নামে অথবা বেনামিতে শেয়ার লেনদেন করবেন না। সরকারি, আধসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত কর্মকর্তারা শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবেন কিন্তু প্লেসমেন্ট নিতে পারবেন না এবং তারা লেনদেনও করতে পারবেন না। বিনিয়োগের জন্য বিও অ্যাকাউন্ট থাকবে এবং বিও অ্যাকাউন্ট নম্বরসহ কত টাকা শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয়েছে তা নিজ নিজ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে এবং আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করতে হবে।’
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন না, এমন কোনো আইন আছে বলে আমার জানা নেই। তারা নির্দ্বিধায় বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে তাদের মূল কাজ ক্ষতিগ্রস্থ করে বিনিয়োগের পেছনে সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। এটা নৈতিকতাও সমর্থন করে না।’
পুঁজিবাজার বিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, পুঁজিবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগের অংকটা কম নয়। তিনি বলেন, ‘বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে তাদের। তারা যদি বাজার থেকে কোনো কারণে চলে আসে তাহলে গোটা বাজারেই এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই এটি নিয়ে যে বা যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সাবেক নৌ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব শফিক আলম মেহেদী বলেন, দসরকারি চাকরি বিধিতে কর্মকর্তারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন না এমন বিধান নেই। তারা যদি চান বিনিয়োগ করতে পারবেন। এটা নিয়ে সমস্যা নেই।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও পরিবারের ৫৭৬ কোটি টাকা ফ্রিজ

পুঁজিবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগ করতে আইনে কোনো বাধা নেই

আপডেট সময় : ০১:০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে ব্যবসায় বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে কোনো আইনি বাধা নেই। চাকরি বিধিতে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে পুঁজিবাজার সম্পর্কিত একটি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে পরিমাণ বিনিয়োগ করবেন তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করার জন্য বলা হয়েছিল। পাশাপাশি আয়কর রিটার্নেও সেটি উল্লেখের কথা বলা হয়।
পুঁজিবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগ নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা রয়েছে। অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগের বিষয়টি মিলিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। যদিও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞদেরও মন্তব্যই একই। তারা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন না, এমন কোনো আইনী নিষেধ নেই। তারা চাইলে পুঁজিবাজারে নিজেদের নামে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। সেখানে নিয়মিত লেনদেনও করতে পারবেন। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের নামেও বিনিয়োগে কোনো বাধা নেই।
জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিনা বাধায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এতে আইনে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এটা নিয়ে যদি কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে সেটা কঠোরভাবে প্রতিহত করা উচিত।’
আবু আহমেদ বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা সঙ্গত কারণেই। কারণ তা না হলে তারা তাদের সঞ্চয় কোথায় নেবেন? সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা যদি বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে সরকারের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বাধা কোথায়?’
পুঁজিবাজারের এই বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘পুঁজিবাজার বর্তমানে ইতিবাচক ধারায় আছে। একটি বিশেষ মহল বাজারের স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করতে, বাজারকে নেতিবাচক ধারায় নিতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। পুঁজিবাজার নিয়ে অতীতেও এই ধরনের চক্র সক্রিয় ছিল। তাদের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সতর্কতা আবশ্যক। তা না হলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে না। তারা অতীতের মতোই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।’
তবে পুঁজিবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার। সেটি আরও প্রায় নয় বছর আগে। পরে সেটি প্রত্যাহারও করা হয়। ২০১২ সালের ১৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার সই করা ওই পরিপত্রে বলা হয়, ‘ফটকা কারবারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগ বিধিবহির্ভূত। অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের ব্যবসায় তারা বিনিয়োগ করতে পারেন না।’
ওই প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর পরই পুঁজিবাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তখন ধসের বৃত্তেই ঘোরপাক খাচ্ছিল পুঁজিবাজার। হঠাৎ প্রজ্ঞাপনে সেই ধস আরও জোরালো হয়। ক্ষতি মোকাবিলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারের লেনদেনও বন্ধ রাখা হয়। পরে মৌখিক আদেশে প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহারের বিষয়টি জানায় তথ্য অধিদপ্তর।
২০১০ সালের পুঁজিবাজারের বড় ধসের কারণ খতিয়ে দেখতে সরকার যে কমিটি করেছিল তার প্রধান ছিলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। কমিটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১১ সালে প্রতিবেদন দিয়েছিল। প্রতিবেদনে ২৫টি সুপারিশের একটিতে বলা হয়, ‘এইসি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জ, সিডিবিএল, বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেয়ার লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। তবে তারা শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। চাকরি বিধিতে নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্তকরণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। কর্মকর্তারা নিজ নামে, স্ত্রী, সন্তান, ভাইবোন, পিতা-মাতার নামে অথবা বেনামিতে শেয়ার লেনদেন করবেন না। সরকারি, আধসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত কর্মকর্তারা শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবেন কিন্তু প্লেসমেন্ট নিতে পারবেন না এবং তারা লেনদেনও করতে পারবেন না। বিনিয়োগের জন্য বিও অ্যাকাউন্ট থাকবে এবং বিও অ্যাকাউন্ট নম্বরসহ কত টাকা শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয়েছে তা নিজ নিজ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে এবং আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করতে হবে।’
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন না, এমন কোনো আইন আছে বলে আমার জানা নেই। তারা নির্দ্বিধায় বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে তাদের মূল কাজ ক্ষতিগ্রস্থ করে বিনিয়োগের পেছনে সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। এটা নৈতিকতাও সমর্থন করে না।’
পুঁজিবাজার বিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, পুঁজিবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগের অংকটা কম নয়। তিনি বলেন, ‘বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে তাদের। তারা যদি বাজার থেকে কোনো কারণে চলে আসে তাহলে গোটা বাজারেই এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই এটি নিয়ে যে বা যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সাবেক নৌ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব শফিক আলম মেহেদী বলেন, দসরকারি চাকরি বিধিতে কর্মকর্তারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন না এমন বিধান নেই। তারা যদি চান বিনিয়োগ করতে পারবেন। এটা নিয়ে সমস্যা নেই।’