ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

পিপুল গাছ ভেষজ গুণাগুণ সমৃদ্ধ

  • আপডেট সময় : ০৭:১১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

গ্রামবাংলার অতি পরিচিত একটি উদ্ভিদ হলো পিপুল। বাড়ির আনাচে-কানাচে কোনো যত্ন ছাড়াই বড় হয় এই গাছ। এটি সুগন্ধিযুক্ত লতানো গাছ মাটিতে বেয়ে বেয়ে বড় হয়। কখনো অন্য গাছ বেয়ে ওঠে। এর মধ্যে এটি ভেষজ গুণাগুণ সমৃদ্ধ।
বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় দেখা যায় পিপুল নামে উদ্ভিদের। এর একটি করে পাতা একান্ত ভাবে জন্মায়। এর পাতা দেখতে অনেকটা পান পাতার মতো। বোঁটা ছাড়া পাতা লম্বায় ৪-৬ সেমি এবং চওড়া ২-৪ সেন্টিমিটার। পতার উপরিভাগ ঘন সবুজ এবং চওড়া এবং নিচের দিকটা হালকা সবুজ। প্রতিটি পর্ব ৭-১৩ সেমি লম্বা হয়। ফুল কড়ি অবস্থায় সবুজ। ফল পাকলে হলুদ ও পরে ধূসর হয়ে যায়।
পিপুলের কিছু ভেষজ ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলোÑ
উপকারিতা
= শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কুষ্ঠ, অর্শ, প্লীহা, আমবাত প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয় পিপুল।
= পিপুলের মূলের ও ভেষজ গুণ বেশ। পিপুল চূর্ণ মধুসহ সেবনে মেদরোগ, কফ, শ্বাস, কাস ও জ্বর নিবারণ হয় এবং বল মেধা ও অগ্নি বর্ধিত হয়।
= আখের গুড় ২ ভাগ এবং পিপুল চূর্ণ ১ ভাগ, উভয়ে মিশ্রিত করে নিয়মিত সেবনে জীর্ণ জ্বর, অগ্নিমান্দ্য, কাশ অজীর্ণ, অরুচি, শ্বাস, হৃদরোগ ও ক্রিমি দূর হয়।
= পিপুলের শুকনা অপরিপক্ব ফল বল বৃদ্ধিকারক ও টনিক হিসেবে, অপরিপক্ব ফুল এবং মূলের ক্বাথ পুরাতন ব্রঙ্কাইটিস, কাশি এবং ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য উপকারী।
= পিপুল পাতা মাছের ঝোলের সঙ্গে রান্না করে খেলে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।
= সবচেয়ে উপকার পাওয়া যায় মেদ ভুঁড়িতে যারা কষ্টে থাকে। তাদের জন্য ২৫০ মিলিগ্রাম পিপুল চূর্ণ আধা চা চামচ মধুসহ খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে এক কাপ অল্প পানিসহ মাসখানেক খেলে উপকৃত হবেন।
= ১৫০ মিগ্রা পিপুল চূর্ণ ২০-২৫ ফোটা ঘিয়ের সঙ্গে ভেজে মাস খানেক খেলে স্মরণ শক্তি ও মেধার লক্ষণীয় উন্নতি হবে।
= ২ গ্রাম পিপুল সামান্য থেতো করে ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ২ কাপের মতো থাকতে নামিয়ে নিয়ে ছেকে সেই পানি ৩ ঘণ্টা পর পর ৩-৪ চামচ করে খেলে হাপানির কষ্ট কমে যায়।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

পিপুল গাছ ভেষজ গুণাগুণ সমৃদ্ধ

আপডেট সময় : ০৭:১১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

গ্রামবাংলার অতি পরিচিত একটি উদ্ভিদ হলো পিপুল। বাড়ির আনাচে-কানাচে কোনো যত্ন ছাড়াই বড় হয় এই গাছ। এটি সুগন্ধিযুক্ত লতানো গাছ মাটিতে বেয়ে বেয়ে বড় হয়। কখনো অন্য গাছ বেয়ে ওঠে। এর মধ্যে এটি ভেষজ গুণাগুণ সমৃদ্ধ।
বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় দেখা যায় পিপুল নামে উদ্ভিদের। এর একটি করে পাতা একান্ত ভাবে জন্মায়। এর পাতা দেখতে অনেকটা পান পাতার মতো। বোঁটা ছাড়া পাতা লম্বায় ৪-৬ সেমি এবং চওড়া ২-৪ সেন্টিমিটার। পতার উপরিভাগ ঘন সবুজ এবং চওড়া এবং নিচের দিকটা হালকা সবুজ। প্রতিটি পর্ব ৭-১৩ সেমি লম্বা হয়। ফুল কড়ি অবস্থায় সবুজ। ফল পাকলে হলুদ ও পরে ধূসর হয়ে যায়।
পিপুলের কিছু ভেষজ ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলোÑ
উপকারিতা
= শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কুষ্ঠ, অর্শ, প্লীহা, আমবাত প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয় পিপুল।
= পিপুলের মূলের ও ভেষজ গুণ বেশ। পিপুল চূর্ণ মধুসহ সেবনে মেদরোগ, কফ, শ্বাস, কাস ও জ্বর নিবারণ হয় এবং বল মেধা ও অগ্নি বর্ধিত হয়।
= আখের গুড় ২ ভাগ এবং পিপুল চূর্ণ ১ ভাগ, উভয়ে মিশ্রিত করে নিয়মিত সেবনে জীর্ণ জ্বর, অগ্নিমান্দ্য, কাশ অজীর্ণ, অরুচি, শ্বাস, হৃদরোগ ও ক্রিমি দূর হয়।
= পিপুলের শুকনা অপরিপক্ব ফল বল বৃদ্ধিকারক ও টনিক হিসেবে, অপরিপক্ব ফুল এবং মূলের ক্বাথ পুরাতন ব্রঙ্কাইটিস, কাশি এবং ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য উপকারী।
= পিপুল পাতা মাছের ঝোলের সঙ্গে রান্না করে খেলে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।
= সবচেয়ে উপকার পাওয়া যায় মেদ ভুঁড়িতে যারা কষ্টে থাকে। তাদের জন্য ২৫০ মিলিগ্রাম পিপুল চূর্ণ আধা চা চামচ মধুসহ খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে এক কাপ অল্প পানিসহ মাসখানেক খেলে উপকৃত হবেন।
= ১৫০ মিগ্রা পিপুল চূর্ণ ২০-২৫ ফোটা ঘিয়ের সঙ্গে ভেজে মাস খানেক খেলে স্মরণ শক্তি ও মেধার লক্ষণীয় উন্নতি হবে।
= ২ গ্রাম পিপুল সামান্য থেতো করে ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ২ কাপের মতো থাকতে নামিয়ে নিয়ে ছেকে সেই পানি ৩ ঘণ্টা পর পর ৩-৪ চামচ করে খেলে হাপানির কষ্ট কমে যায়।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ