ঢাকা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

পিএসএল চ্যাম্পিয়ন লাহোর

  • আপডেট সময় : ১০:২৬:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : বয়স পেরিয়ে গেছে ৪১। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাঠ চুকিয়ে ফেলেছেন গত মাসে। তবে এখনও ফুরিয়ে যাননি মোহাম্মদ হাফিজ। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আরও একবার মেলে ধরলেন সামর্থ্যের পুরোটা। প্রথমে ব্যাট হাতে খেললেন দারুণ এক ইনিংস। পরে বোলিংয়েও ছড়ালেন আলো। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) জয়ের স্বাদ পেল লাহোর কালান্দার্স।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রোববার রাতে সপ্তম আসরের ফাইনালে মুলতান সুলতান্সকে ৪২ রানে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে লাহোর কালান্দার্স। ১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা থমকে যায় ১৩৮ রানেই। ব্যাটিংয়ে চাপের মুখে পাঁচ নম্বরে নেমে ৪৬ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে হাফিজই ফাইনালের নায়ক। ‘প্রফেসর’ নামে পরিচিত হাফিজের এটি দ্বিতীয় পিএসএল শিরোপা। ২০১৭ সালে জিতেছিলেন পেশাওয়ার জালমির জার্সিতে। লাহোর কালান্দার্সের এমন সাফল্যে আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হয় আরেক জনের নাম- অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম আসরে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২০২১ সালে আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা তরুণ এই বাঁহাতি পেসার। ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই ফাইনালে দলের সফলতম বোলার। ২০ উইকেট নিয়ে আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও। শেষটা দারুণ হলেও ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে লাহোরের শুরুটা ভালো ছিল না। ২৫ রানের মধ্যেই তারা হারিয়ে ফেলে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফখর জামান, আবদুল্লাহ শফিক, জিশান আশরাফকে। সেখান থেকেই দলকে পথ দেখান হাফিজ। শুরুতেই তিনি তিনটি চার মারেন রুম্মান রাইসের এক ওভারে। খুশদিল শাহকে মাথার ওপর দিয়ে ছক্কায় ওড়ানোর পর মারেন চার।
চতুর্থ উইকেটে কামরান গুলামের সঙ্গে ৫৪ ও পঞ্চম উইকেটে হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে হাফিজ উপহার দেন ৫৮ রানের জুটি। এর মাঝেই তিনি ফিফটি পূর্ণ করেন ৩৬ বলে। অষ্টাদশ ওভারে তার ইনিংস থামে কাভারে ক্যাচ দিয়ে। ৯ চার ও একটি ছক্কায় গড়া ৬৯ রানের ইনিংসটি। সঙ্গে ব্রুকের ২২ বলে অপরাজিত ৪১ ও ডেভিড ভিসার ৮ বলে অপরাজিত ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে বড় পুঁজি পায় লাহোর। হাফিজ পরে বল হাতেও দলকে এনে দেন প্রথম সাফল্য। ইনিংসের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোল্ড করে দেন প্রতিপক্ষের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। নিজের পরের ওভারে এসে তিনি উইকেট নেন আরেকটি, এবার তার শিকার আমির আজমাত। মাঝে রান আউটে বিদায় নেন শান মাসুদ। এরপর রাইলি রুশো ও আসিফ আফ্রিদির বিদায়ে ৬৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা মুলতান জয়ের আশা জাগাতে পারেনি কখনই। আসরের শুরুতে দারণ ব্যাটিং করে আইপিএল নিলামে ঝড় তোলা টিম ডেভিডও এদিন পারেননি তেমন কিছু করে দেখাতে (২৭)। সাত নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন খুশদিল। তিন বল বাকি থাকতেই তাদের গুটিয়ে দিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে লাহোর।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস হয়নি, গোয়েন্দা তথ্য প্রত্যাখ্যান ট্রাম্পের

পিএসএল চ্যাম্পিয়ন লাহোর

আপডেট সময় : ১০:২৬:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : বয়স পেরিয়ে গেছে ৪১। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাঠ চুকিয়ে ফেলেছেন গত মাসে। তবে এখনও ফুরিয়ে যাননি মোহাম্মদ হাফিজ। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আরও একবার মেলে ধরলেন সামর্থ্যের পুরোটা। প্রথমে ব্যাট হাতে খেললেন দারুণ এক ইনিংস। পরে বোলিংয়েও ছড়ালেন আলো। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) জয়ের স্বাদ পেল লাহোর কালান্দার্স।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রোববার রাতে সপ্তম আসরের ফাইনালে মুলতান সুলতান্সকে ৪২ রানে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে লাহোর কালান্দার্স। ১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা থমকে যায় ১৩৮ রানেই। ব্যাটিংয়ে চাপের মুখে পাঁচ নম্বরে নেমে ৪৬ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে হাফিজই ফাইনালের নায়ক। ‘প্রফেসর’ নামে পরিচিত হাফিজের এটি দ্বিতীয় পিএসএল শিরোপা। ২০১৭ সালে জিতেছিলেন পেশাওয়ার জালমির জার্সিতে। লাহোর কালান্দার্সের এমন সাফল্যে আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হয় আরেক জনের নাম- অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম আসরে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২০২১ সালে আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা তরুণ এই বাঁহাতি পেসার। ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই ফাইনালে দলের সফলতম বোলার। ২০ উইকেট নিয়ে আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও। শেষটা দারুণ হলেও ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে লাহোরের শুরুটা ভালো ছিল না। ২৫ রানের মধ্যেই তারা হারিয়ে ফেলে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফখর জামান, আবদুল্লাহ শফিক, জিশান আশরাফকে। সেখান থেকেই দলকে পথ দেখান হাফিজ। শুরুতেই তিনি তিনটি চার মারেন রুম্মান রাইসের এক ওভারে। খুশদিল শাহকে মাথার ওপর দিয়ে ছক্কায় ওড়ানোর পর মারেন চার।
চতুর্থ উইকেটে কামরান গুলামের সঙ্গে ৫৪ ও পঞ্চম উইকেটে হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে হাফিজ উপহার দেন ৫৮ রানের জুটি। এর মাঝেই তিনি ফিফটি পূর্ণ করেন ৩৬ বলে। অষ্টাদশ ওভারে তার ইনিংস থামে কাভারে ক্যাচ দিয়ে। ৯ চার ও একটি ছক্কায় গড়া ৬৯ রানের ইনিংসটি। সঙ্গে ব্রুকের ২২ বলে অপরাজিত ৪১ ও ডেভিড ভিসার ৮ বলে অপরাজিত ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে বড় পুঁজি পায় লাহোর। হাফিজ পরে বল হাতেও দলকে এনে দেন প্রথম সাফল্য। ইনিংসের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোল্ড করে দেন প্রতিপক্ষের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। নিজের পরের ওভারে এসে তিনি উইকেট নেন আরেকটি, এবার তার শিকার আমির আজমাত। মাঝে রান আউটে বিদায় নেন শান মাসুদ। এরপর রাইলি রুশো ও আসিফ আফ্রিদির বিদায়ে ৬৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা মুলতান জয়ের আশা জাগাতে পারেনি কখনই। আসরের শুরুতে দারণ ব্যাটিং করে আইপিএল নিলামে ঝড় তোলা টিম ডেভিডও এদিন পারেননি তেমন কিছু করে দেখাতে (২৭)। সাত নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন খুশদিল। তিন বল বাকি থাকতেই তাদের গুটিয়ে দিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে লাহোর।