ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

পাহাড়ে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব

  • আপডেট সময় : ০২:০৩:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যেসব তরুণরা তথাকথিত হিজরতের নামে নিরুদ্দেশ হয়েছে। এমন কয়েকজন ও তাদের যারা উদ্বুদ্ধ করেছে, প্রশিক্ষণ দিয়েছে এমন ১২ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী পার্বত্য অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। শিগগিরই বেশ কয়েকজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আশা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
পার্বত্য এলাকায় যৌথ অভিযান চলছে জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, পাহাড়ে যৌথবাহিনীর জোরালো অভিযান চলছে। অপারেশনে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। আমরা বেশকিছু দূর পর্যন্ত চলে এসেছি। আশা করছি, সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনতে পারবো। যেহেতু জায়গাটা দুর্গম, ঝুঁকিপূর্ণ ও পর্যটকরা ঘোরাফেরা করেন, এজন্য হয়তো স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকায় পর্যটক যেতে নিষিদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, তথা কথিত হিজরতের নামে যারা বাসা থেকে বের হয়েছে, তাদের হিজরতে বের হতে কারা উদ্বুদ্ধ করেছে, কারা প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তাদের মধ্যে আমরা ১২ জনকে আটক করেছি। তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা জানতে পেরেছি, নিরুদ্দেশ জঙ্গিরা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ও অবস্থান করছে। এরপরই পার্বত্য এলাকায় যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। মূলত তাদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান চলছে।
পাহাড়ে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য মিলেছে জানিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। দ্রুতই বিস্তারিত গণমাধ্যমে জানানো হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য তাতে দুর্গম অঞ্চলে স্থায়ী হতে সাপোর্ট লাগে। যে কেউ গিয়ে সেখানে স্থায়ী হতে পারবে না। এজন্যই বিচ্ছিন্নবাদী কিছু সংগঠন নিরুদ্দেশ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, রসদ সাপ্লাই করা হচ্ছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। এ তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা সেখানে অভিযান চালাচ্ছি।
যেসব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, এগুলো গুজব মনে হয়েছে। যৌথবাহিনীর অভিযান যথাযথ নিয়ম মেনেই হচ্ছে। ফেসবুক পেজগুলোর ব্যাপারে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আমাদের অভিযান নিয়ে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, এগুলো ভুল তথ্য।
বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে পাহাড়ে ট্রেনিং নিচ্ছে এমন ভিডিও প্রসঙ্গে র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, এগুলো আমাদের কাছে গুজব মনে হয়েছে। এ ভিডিও সম্ভবত আমাদের এখানের না। তবে আমাদের যে অভিযান চলছে, তাদের যদি আটক করতে সক্ষম হই, তখন বিস্তারিত বলতে পারবো।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্গম এলাকায় কারো সাপোর্ট ছাড়া জঙ্গিদের অবস্থান করা দুরূহ। কারণ চেহারাসহ অনেক ব্যাপার আছে। বিচ্ছিন্নবাদীদের সহযোগিতা ছাড়া তারা সেখানে আছে, এটা ঠিক না। তবে তাদের আটকের পরে আমরা বলতে পারবো। কেএনএফ প্রধান নাথান বোম সম্পর্কে র‌্যাবের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, না, এখন পর্যন্ত নেই। গোয়েন্দারা এ ব্যাপারে কাজ করছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে ‘অবদান’ অস্বীকারেই নাখোশ ট্রাম্প

পাহাড়ে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব

আপডেট সময় : ০২:০৩:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যেসব তরুণরা তথাকথিত হিজরতের নামে নিরুদ্দেশ হয়েছে। এমন কয়েকজন ও তাদের যারা উদ্বুদ্ধ করেছে, প্রশিক্ষণ দিয়েছে এমন ১২ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী পার্বত্য অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। শিগগিরই বেশ কয়েকজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আশা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
পার্বত্য এলাকায় যৌথ অভিযান চলছে জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, পাহাড়ে যৌথবাহিনীর জোরালো অভিযান চলছে। অপারেশনে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। আমরা বেশকিছু দূর পর্যন্ত চলে এসেছি। আশা করছি, সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনতে পারবো। যেহেতু জায়গাটা দুর্গম, ঝুঁকিপূর্ণ ও পর্যটকরা ঘোরাফেরা করেন, এজন্য হয়তো স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকায় পর্যটক যেতে নিষিদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, তথা কথিত হিজরতের নামে যারা বাসা থেকে বের হয়েছে, তাদের হিজরতে বের হতে কারা উদ্বুদ্ধ করেছে, কারা প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তাদের মধ্যে আমরা ১২ জনকে আটক করেছি। তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা জানতে পেরেছি, নিরুদ্দেশ জঙ্গিরা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ও অবস্থান করছে। এরপরই পার্বত্য এলাকায় যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। মূলত তাদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান চলছে।
পাহাড়ে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য মিলেছে জানিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। দ্রুতই বিস্তারিত গণমাধ্যমে জানানো হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য তাতে দুর্গম অঞ্চলে স্থায়ী হতে সাপোর্ট লাগে। যে কেউ গিয়ে সেখানে স্থায়ী হতে পারবে না। এজন্যই বিচ্ছিন্নবাদী কিছু সংগঠন নিরুদ্দেশ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, রসদ সাপ্লাই করা হচ্ছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। এ তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা সেখানে অভিযান চালাচ্ছি।
যেসব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, এগুলো গুজব মনে হয়েছে। যৌথবাহিনীর অভিযান যথাযথ নিয়ম মেনেই হচ্ছে। ফেসবুক পেজগুলোর ব্যাপারে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আমাদের অভিযান নিয়ে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, এগুলো ভুল তথ্য।
বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে পাহাড়ে ট্রেনিং নিচ্ছে এমন ভিডিও প্রসঙ্গে র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, এগুলো আমাদের কাছে গুজব মনে হয়েছে। এ ভিডিও সম্ভবত আমাদের এখানের না। তবে আমাদের যে অভিযান চলছে, তাদের যদি আটক করতে সক্ষম হই, তখন বিস্তারিত বলতে পারবো।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্গম এলাকায় কারো সাপোর্ট ছাড়া জঙ্গিদের অবস্থান করা দুরূহ। কারণ চেহারাসহ অনেক ব্যাপার আছে। বিচ্ছিন্নবাদীদের সহযোগিতা ছাড়া তারা সেখানে আছে, এটা ঠিক না। তবে তাদের আটকের পরে আমরা বলতে পারবো। কেএনএফ প্রধান নাথান বোম সম্পর্কে র‌্যাবের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, না, এখন পর্যন্ত নেই। গোয়েন্দারা এ ব্যাপারে কাজ করছে।