ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েল প্রসঙ্গ বাদ দেওয়ায় ফখরুলের প্রশ্ন

  • আপডেট সময় : ০১:৪২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ কথাটি বাদ দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন বিএনপির মহাসচিব এই প্রশ্ন তোলেন। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “যেটা আমাদের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বলা যেতে পারে যে, কনসেনসাস জনগণের, সব সরকারের যে, ইসরায়েল আমাদের শত্রু, পৃথিবীর শত্রু। কারণ তারা মানবাধিকারকে ধবংস করছে। “অনেকে বলেন যে, প্যালেস্টাইন ইসলামী রাষ্ট্র সেই সমর্থনে। নো। আমরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করি, সকলে করে যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং তার মানুষগুলো মানুষ। বিশেষ করে শিশুরা। প্রায় একশ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে গত কয়েকদিনে। আপনাদের মনে আছে কয়েক বছর আগে প্রায় তিন লক্ষ শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল।” ইসরায়েল শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকার কেন এই নতুন করে প্রেম করতে যাচ্ছে ইসরায়েলের সঙ্গে?”

দেশটির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইসরায়েলে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নাই। ইসরায়েলের বিরোধী অবস্থান আমাদের। আমরা স্ট্রেটকাট বলতে চাই- আমরা বরাবরই ছিলাম, আমরা এখনো আছি।”
শুক্রবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল বাহিনীর হামলার ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
উপ-নির্বাচনের অংশ নেবে না বিএনপি : আগামী লক্ষীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি বলে জানান মির্জা ফখরুল। দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, “দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ায় এবং নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতায় প্রতিটি নির্বাচনে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে উপ-নির্বাচন অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।“
ওবায়দুল কাদের বক্তব্যে মনগড়া : বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘তিনি (ওবায়দুল কাদের) গতকাল বলেছেন, বিএনপি গণমাধ্যমের বন্ধু সেজে সাংবাদিকদের উস্কানি দিচ্ছে। “এটা একেবারেই একটি মনগড়া এবং নিজেদের অপরাধগুলোকে ঢাকার জন্য একটি মন্তব্য আরকি। আওয়ামী লীগের সাংবাদিকতা, মুক্ত স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের প্রতি আচরণ-ব্যবহার-এটা দেশের সকল মানুষ জানে।“
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন, ওই সময় বিভিন্ন পত্রিকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে মনে হয় যে, এটা তাদের মজ্জাগত ব্যাপার তারা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। তারা সমালোচনা সহ্য করতে পারে না।
“সর্বজন শ্রদ্বেয় শফিক রেহমানকে মিথ্যা অজুহাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আমার দেশ পত্রিকার জনপ্রিয় ও গুণী সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সাহেবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে, কারাগারে দীর্ঘদিন আটক করে রাখা হয়েছে, আমার দেশ পত্রিকা পুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। একুশের টিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করে দীর্ঘদিন নির্যাতন করা হয়েছে। আমাদের একজন প্রতিথযশা সাংবাদিক শওকত মাহমুদ সাহেবকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করে দীর্ঘকাল আটক করে রাখা হয়েছিল।“
তিনি আরো বলেন, “এখন ৭ মাস কারাগারে আটক আছেন রুহুল আমিন গাজী সাহেব (ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি), সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ সাহেবেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট ও রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনে আটক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আলোকচিত্রী শহীদুল আলম সাহেবকে দীর্ঘদিন আটক করে রাখা হয়েছিলো পরে অনেক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি বেরিয়েছেন। আলোকচিত্রী শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে রাখা হয়েছিল। এখন মনির হায়দার, অলিউল্লাহ নোমান, কনক সারোয়ারসহ অনেককে বাধ্য হয়ে চলে যেতে হয়েছে বিদেশে।” সাগর-রুনিকে হত্যার ৯ বছর পার হলেও হত্যাকারীদের এখনো সরকার ‘খুঁজে’ পায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আমলা নির্ভর সরকার : সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলনে, “আপনাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, আপনাদের পেছনে মানুষের কোনো শক্তি নেই। আপনারা এখন আমলাতন্ত্র নির্ভর হয়েছেন। এখন সামরিক-বেসামরিক আমলা নিয়ে আপনারা দেশ চালাচ্ছেন।”
তিনি বলেন, ‘‘দেখুন- গোয়েন্দাদের লাগিয়ে দেয়া হয় সাংবাদিকদের পেছনে। তারা আপনাদেরকে ফোনে বলে যে, এই সংবাদ দেয়া যাবে, এটা দেয়া যাবে না। বাস্তবতা। আপনারা এটা কেউ স্বীকার করুণ বা না করুণ। “আপনারা দেখুন যে, যারা এই মিডিয়া হাউসের মালিক তাদের অনেকের বাড়ি পর্যন্ত ভেঙে দেয়া হয়েছে বুলডোজার দিয়ে জাস্ট একটু ভিন্ন অবস্থান নেয়ার কারণে। আবার নামকরা পত্রিকার নাম করা এডিটরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেয়া হয়েছে। সারাদেশে একশ মামলা দেয়া হয়েছে নামকরা এডিটরদের বিরুদ্ধে।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, কাজী আবুল বাশার ও আবদুল আলিম নকি, যুব দলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে কোরবানির পশু পর্যাপ্ত, পাশের দেশের প্রয়োজন নেই: উপদেষ্টা

পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েল প্রসঙ্গ বাদ দেওয়ায় ফখরুলের প্রশ্ন

আপডেট সময় : ০১:৪২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ কথাটি বাদ দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন বিএনপির মহাসচিব এই প্রশ্ন তোলেন। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “যেটা আমাদের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বলা যেতে পারে যে, কনসেনসাস জনগণের, সব সরকারের যে, ইসরায়েল আমাদের শত্রু, পৃথিবীর শত্রু। কারণ তারা মানবাধিকারকে ধবংস করছে। “অনেকে বলেন যে, প্যালেস্টাইন ইসলামী রাষ্ট্র সেই সমর্থনে। নো। আমরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করি, সকলে করে যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং তার মানুষগুলো মানুষ। বিশেষ করে শিশুরা। প্রায় একশ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে গত কয়েকদিনে। আপনাদের মনে আছে কয়েক বছর আগে প্রায় তিন লক্ষ শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল।” ইসরায়েল শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকার কেন এই নতুন করে প্রেম করতে যাচ্ছে ইসরায়েলের সঙ্গে?”

দেশটির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইসরায়েলে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নাই। ইসরায়েলের বিরোধী অবস্থান আমাদের। আমরা স্ট্রেটকাট বলতে চাই- আমরা বরাবরই ছিলাম, আমরা এখনো আছি।”
শুক্রবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল বাহিনীর হামলার ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
উপ-নির্বাচনের অংশ নেবে না বিএনপি : আগামী লক্ষীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি বলে জানান মির্জা ফখরুল। দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, “দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ায় এবং নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতায় প্রতিটি নির্বাচনে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে উপ-নির্বাচন অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।“
ওবায়দুল কাদের বক্তব্যে মনগড়া : বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘তিনি (ওবায়দুল কাদের) গতকাল বলেছেন, বিএনপি গণমাধ্যমের বন্ধু সেজে সাংবাদিকদের উস্কানি দিচ্ছে। “এটা একেবারেই একটি মনগড়া এবং নিজেদের অপরাধগুলোকে ঢাকার জন্য একটি মন্তব্য আরকি। আওয়ামী লীগের সাংবাদিকতা, মুক্ত স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের প্রতি আচরণ-ব্যবহার-এটা দেশের সকল মানুষ জানে।“
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন, ওই সময় বিভিন্ন পত্রিকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে মনে হয় যে, এটা তাদের মজ্জাগত ব্যাপার তারা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। তারা সমালোচনা সহ্য করতে পারে না।
“সর্বজন শ্রদ্বেয় শফিক রেহমানকে মিথ্যা অজুহাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আমার দেশ পত্রিকার জনপ্রিয় ও গুণী সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সাহেবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে, কারাগারে দীর্ঘদিন আটক করে রাখা হয়েছে, আমার দেশ পত্রিকা পুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। একুশের টিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করে দীর্ঘদিন নির্যাতন করা হয়েছে। আমাদের একজন প্রতিথযশা সাংবাদিক শওকত মাহমুদ সাহেবকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করে দীর্ঘকাল আটক করে রাখা হয়েছিল।“
তিনি আরো বলেন, “এখন ৭ মাস কারাগারে আটক আছেন রুহুল আমিন গাজী সাহেব (ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি), সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ সাহেবেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট ও রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনে আটক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আলোকচিত্রী শহীদুল আলম সাহেবকে দীর্ঘদিন আটক করে রাখা হয়েছিলো পরে অনেক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি বেরিয়েছেন। আলোকচিত্রী শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে রাখা হয়েছিল। এখন মনির হায়দার, অলিউল্লাহ নোমান, কনক সারোয়ারসহ অনেককে বাধ্য হয়ে চলে যেতে হয়েছে বিদেশে।” সাগর-রুনিকে হত্যার ৯ বছর পার হলেও হত্যাকারীদের এখনো সরকার ‘খুঁজে’ পায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আমলা নির্ভর সরকার : সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলনে, “আপনাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, আপনাদের পেছনে মানুষের কোনো শক্তি নেই। আপনারা এখন আমলাতন্ত্র নির্ভর হয়েছেন। এখন সামরিক-বেসামরিক আমলা নিয়ে আপনারা দেশ চালাচ্ছেন।”
তিনি বলেন, ‘‘দেখুন- গোয়েন্দাদের লাগিয়ে দেয়া হয় সাংবাদিকদের পেছনে। তারা আপনাদেরকে ফোনে বলে যে, এই সংবাদ দেয়া যাবে, এটা দেয়া যাবে না। বাস্তবতা। আপনারা এটা কেউ স্বীকার করুণ বা না করুণ। “আপনারা দেখুন যে, যারা এই মিডিয়া হাউসের মালিক তাদের অনেকের বাড়ি পর্যন্ত ভেঙে দেয়া হয়েছে বুলডোজার দিয়ে জাস্ট একটু ভিন্ন অবস্থান নেয়ার কারণে। আবার নামকরা পত্রিকার নাম করা এডিটরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেয়া হয়েছে। সারাদেশে একশ মামলা দেয়া হয়েছে নামকরা এডিটরদের বিরুদ্ধে।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, কাজী আবুল বাশার ও আবদুল আলিম নকি, যুব দলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।