ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

পাশ্চাত্যের সামনে কূটনীতি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই : ইরান

  • আপডেট সময় : ০১:৩১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালবান্দি বলেছেন, তার দেশের পরমাণু কর্মসূচিকে দুর্বল করার জন্য শত্রুরা যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা সফল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।তবে এ কর্মসূচি সম্পর্কে আশ্বস্ত হতে চাইলে তাদের সামনে কূটনীতি ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই। কামালবান্দি শনিবার তেহরানে এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমাদের পরমাণু শিল্প ও বিজ্ঞানীদের দুর্বল করা যাদের লক্ষ্য তাদের সামনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই।” কামালবান্দি এ বক্তব্যের মাধ্যমে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ওই সমঝোতার মাধ্যমে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিল এবং বিনিময়ে পাশ্চাত্যে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে আমেরিকা একতরফাভাবে ওই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলে এটি নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে আজও তার অবসান হয়নি। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র রাজনৈতিক-উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করেন কামালবান্দি। তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি আইএইএ’র তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এবং এ সংক্রান্ত সকল তৎপরতা ওই সংস্থাকে জানান দিয়ে পরিচালনা করে ইরান। কিন্তু সংস্থাটি এমনভাবে ইরানের পরমাণু তৎপরতাকে তুলে ধরে যাতে বিশ্ববাসীর সামনে ইরানের একটি বিকৃত ও নেতিবাচক ভাবমর্যাদা ফুটে ওঠে। কামালবান্দি এ আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য আইএইএ’র প্রতি আহ্বান জানান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাশ্চাত্যের সামনে কূটনীতি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই : ইরান

আপডেট সময় : ০১:৩১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালবান্দি বলেছেন, তার দেশের পরমাণু কর্মসূচিকে দুর্বল করার জন্য শত্রুরা যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা সফল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।তবে এ কর্মসূচি সম্পর্কে আশ্বস্ত হতে চাইলে তাদের সামনে কূটনীতি ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই। কামালবান্দি শনিবার তেহরানে এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমাদের পরমাণু শিল্প ও বিজ্ঞানীদের দুর্বল করা যাদের লক্ষ্য তাদের সামনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই।” কামালবান্দি এ বক্তব্যের মাধ্যমে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ওই সমঝোতার মাধ্যমে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিল এবং বিনিময়ে পাশ্চাত্যে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে আমেরিকা একতরফাভাবে ওই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলে এটি নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে আজও তার অবসান হয়নি। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র রাজনৈতিক-উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করেন কামালবান্দি। তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি আইএইএ’র তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এবং এ সংক্রান্ত সকল তৎপরতা ওই সংস্থাকে জানান দিয়ে পরিচালনা করে ইরান। কিন্তু সংস্থাটি এমনভাবে ইরানের পরমাণু তৎপরতাকে তুলে ধরে যাতে বিশ্ববাসীর সামনে ইরানের একটি বিকৃত ও নেতিবাচক ভাবমর্যাদা ফুটে ওঠে। কামালবান্দি এ আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য আইএইএ’র প্রতি আহ্বান জানান।