আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে এক মন্ত্রীর কক্ষে সিনিয়র সংসদ সদস্য কর্তৃক নারী সংসদ সদস্য ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
আল জাজিরা জানায়, দেশটির এক মন্ত্রীর কক্ষে সিনিয়র এক সংসদ সদস্য কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হন সাবেক সংসদ সদস্য ব্রিটনি হিগিন্স। তদন্তে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্তে জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে ৩৭ ভাগ নারী মানুষিক নির্যাতন (বুলিং) এবং ৩৩ ভাগ যৌন হয়রানির শিকার হন। পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেন। ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আনায় ব্রিটনি’র সাহসিকতার প্রশংসাও করেন। ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা ঘটবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। বিরোধী দলের নেতা অ্যান্টনি আলবেনিজ তার দল (লেবার পার্টি) পক্ষ থেকেও হিগিন্সের নিকট ক্ষমা চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালে ওই নারী সদস্য ভবনের পাবলিক গ্যালারিতে বসে ছিলেন। এ সময় তিনি আবেগী হয়ে পড়েন। তার সঙ্গে দুটি নারী অধিকার সংগঠনের সদস্য এবং যৌন হয়রানির শিকার সাবেক কয়েকজন সহকর্মীও উপস্থিত ছিলেন। ২০১৯ সালে দেশটির জাতীয় নির্বাচনের আগে পার্লামেন্ট হাউজের ভেতরে ধর্ষণের শিকার হন ব্রিটনি। তিনি জানান, ওই ঘটনার পরে তিনি তা ফাঁস করবেন কি না দ্বিধায় ভুগেন। পরে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি সংসদ সদস্যের পদে ইস্তফা দেন এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বেশ কয়েকটি নাগরিক অধিকার সংগঠন ধর্ষকের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন। তাদের মতে, চলতি বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে সামনে রেখে মরিসন প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। যেন তার জনপ্রিয়তায় ভাটা না পড়ে।
পার্লামেন্টের ভেতরে ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ