ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

পারমাণবিক হুমকি : রাশিয়াকে ছাড়াবে চীন, ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের

  • আপডেট সময় : ১১:৩৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দ্রুতগতিতে পারমাণবিক অস্ত্রভা-ার সমৃদ্ধ করে চলা চীন শিগগিরই রাশিয়াকে ছাপিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা শীর্ষ দেশের স্থান নেবে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা।
বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরনের ব্যবস্থাও নেই বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের উপ অধিনায়ক টমাস বাসিয়ের। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডই দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রভা-ারের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে। বিমান বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল টমাস বাসিয়ের বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার যে দাবি চীন করে আসছে, তার সঙ্গে তাদের পারমাণবিক সক্ষমতার উন্নয়ন এখন আর কোনোভাবেই সঙ্গতিপূর্ণ অবস্থায় নেই।
গত শুক্রবার একটি অনলাইন ফোরামে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে এমন সময় আসবে যখন চীনের পক্ষ থেকে হুমকির সংখ্যা বর্তমানে রাশিয়ার হুমকির চেয়ে বেশি হবে।’ এটা শুধু বেইজিংয়ের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ সংখ্যার ওপর নির্ধারিত হবে না বরং কীভাবে সেগুলো স্থাপন করা হচ্ছে সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।
বাসিয়ের বলেন, ‘কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি বা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করতে রাশিয়ার সঙ্গে যে ধরনের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বা আলোচনার সুযোগ আছে, সেরকম কোন ব্যবস্থা চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নেই। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির জবাব দিতে যক্তরাষ্ট্র তার পররাষ্ট্রনীতি পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ নেওয়ার মধ্যেই এই মন্তব্য করলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাসিয়ের। অগাস্টের শুরুতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও অংশীদার দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে চীনের পারমাণবিক অস্ত্রভা-ার বড় করা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানটনি ব্লিনকেন।
স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবির ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চীন সম্ভবত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের জন্য কয়েকশ নতুন সাইলো নির্মাণ করছে এবং ওয়াশিংটন অভিযোগ করেছে, বেইজিং পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব এড়িয়ে চলেছে।
চীন বলছে, তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার তুলনায় খুবই নগণ্য এবং তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে শুধু তখনই সেটা হতে পারে যদি যুক্তরাষ্ট্র তার পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ চীনের সমপর্যায়ে নামিয়ে আনে।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের কাছে ২০২০ সালে পেন্টাগনের দেওয়া একটি প্রতিবেদনে হিসাব দেওয়া হয়, চীনের কাছে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ ২০০টিরও কম হতে পারে এবং তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই মজুদ কমপক্ষে দ্বিগুণ করা, যেহেতু বেইজিং তার সামরিক বাহিনীর পরিসর বাড়ানো ও আধুনিকায়ন শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এক হাজার ৩৫৭টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্র ব্যবহারে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে চীনের অগ্রগতিও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের কারণ উল্লেখ করে বাসিয়ের জানান, গত বছর বিশ্বের সব দেশ মিলে যতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, চীন একাই তার চেয়ে বেশি সংখ্যক পরীক্ষা পরিচালনা করেছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা

পারমাণবিক হুমকি : রাশিয়াকে ছাড়াবে চীন, ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় : ১১:৩৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দ্রুতগতিতে পারমাণবিক অস্ত্রভা-ার সমৃদ্ধ করে চলা চীন শিগগিরই রাশিয়াকে ছাপিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা শীর্ষ দেশের স্থান নেবে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা।
বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরনের ব্যবস্থাও নেই বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের উপ অধিনায়ক টমাস বাসিয়ের। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডই দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রভা-ারের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে। বিমান বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল টমাস বাসিয়ের বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার যে দাবি চীন করে আসছে, তার সঙ্গে তাদের পারমাণবিক সক্ষমতার উন্নয়ন এখন আর কোনোভাবেই সঙ্গতিপূর্ণ অবস্থায় নেই।
গত শুক্রবার একটি অনলাইন ফোরামে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে এমন সময় আসবে যখন চীনের পক্ষ থেকে হুমকির সংখ্যা বর্তমানে রাশিয়ার হুমকির চেয়ে বেশি হবে।’ এটা শুধু বেইজিংয়ের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ সংখ্যার ওপর নির্ধারিত হবে না বরং কীভাবে সেগুলো স্থাপন করা হচ্ছে সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।
বাসিয়ের বলেন, ‘কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি বা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করতে রাশিয়ার সঙ্গে যে ধরনের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বা আলোচনার সুযোগ আছে, সেরকম কোন ব্যবস্থা চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নেই। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির জবাব দিতে যক্তরাষ্ট্র তার পররাষ্ট্রনীতি পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ নেওয়ার মধ্যেই এই মন্তব্য করলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাসিয়ের। অগাস্টের শুরুতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও অংশীদার দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে চীনের পারমাণবিক অস্ত্রভা-ার বড় করা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানটনি ব্লিনকেন।
স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবির ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চীন সম্ভবত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের জন্য কয়েকশ নতুন সাইলো নির্মাণ করছে এবং ওয়াশিংটন অভিযোগ করেছে, বেইজিং পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব এড়িয়ে চলেছে।
চীন বলছে, তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার তুলনায় খুবই নগণ্য এবং তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে শুধু তখনই সেটা হতে পারে যদি যুক্তরাষ্ট্র তার পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ চীনের সমপর্যায়ে নামিয়ে আনে।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের কাছে ২০২০ সালে পেন্টাগনের দেওয়া একটি প্রতিবেদনে হিসাব দেওয়া হয়, চীনের কাছে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ ২০০টিরও কম হতে পারে এবং তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই মজুদ কমপক্ষে দ্বিগুণ করা, যেহেতু বেইজিং তার সামরিক বাহিনীর পরিসর বাড়ানো ও আধুনিকায়ন শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এক হাজার ৩৫৭টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্র ব্যবহারে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে চীনের অগ্রগতিও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের কারণ উল্লেখ করে বাসিয়ের জানান, গত বছর বিশ্বের সব দেশ মিলে যতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, চীন একাই তার চেয়ে বেশি সংখ্যক পরীক্ষা পরিচালনা করেছে।