ঢাকা ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

পারমাণবিক চুল্লি চালু করেছে উত্তর কোরিয়া: জাতিসংঘ

  • আপডেট সময় : ১২:৫১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার বন্ধ থাকা একটি পারমাণবিক চুল্লি পুনরায় চালু করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। ওই চুল্লিতে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে ব্যবহৃত প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করা হতো বলে ধারণা করা হয়। গতকাল সোমবার আইএইএর বার্ষিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত শুক্রবার প্রকাশিত আইএইএর এই প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ইয়ংবিয়ন নিউক্লিয়ার কমপ্লেক্সে একটি চুল্লি পুনরায় চালু করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেটি পাঁচ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। ওই চুল্লিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত কোনো কার্যক্রম চালানোর লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তবে এরপর থেকে এমন কিছু ইঙ্গিত মিলেছে, যা থেকে চুল্লিটি আবার চালু করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে।
এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে আইএইএ জানায়, ইয়ংবিয়ন নিউক্লিয়ার কমপ্লেক্সে প্লুটোনিয়াম উৎপাদনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, ওই কমপ্লেক্স থেকে শীতল পানি বেরিয়েছে। সাধারণত চুল্লির রিঅ্যাক্টর চালু থাকলে এমন পানি বের হয়। প্রতিবেদনটি তৈরিতে উত্তর কোরিয়ার ওপর নজরদারি চালাতে হয়েছে আইএইএকে। তবে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেনি সংস্থাটি। পর্যবেক্ষণ চালাতে হয়েছে স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা ছবি থেকে। কারণ, ২০০৯ সাল থেকেই জাতিসংঘের এই পর্যবেক্ষক সংস্থাটির তদন্তের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির সরকার।
ওই নিষেধাজ্ঞার পর থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে গেছে উত্তর কোরিয়া। পরীক্ষামূলকভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া।
এদিকে মাথাব্যথার কারণ শুধু ইয়ংবিয়নের ওই চুল্লিই নয়। আইএইএ বলছে, একই নিউক্লিয়ার কমপ্লেক্সে একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্টও বেশ কিছু সময় ধরে চালু রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া দেশটির পিয়ংসান এলাকায় একটি ইউরেনিয়াম খনি এবং প্ল্যান্টেও গতিবিধি লক্ষ করা গেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পারমাণবিক চুল্লি চালু করেছে উত্তর কোরিয়া: জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ১২:৫১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার বন্ধ থাকা একটি পারমাণবিক চুল্লি পুনরায় চালু করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। ওই চুল্লিতে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে ব্যবহৃত প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করা হতো বলে ধারণা করা হয়। গতকাল সোমবার আইএইএর বার্ষিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত শুক্রবার প্রকাশিত আইএইএর এই প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ইয়ংবিয়ন নিউক্লিয়ার কমপ্লেক্সে একটি চুল্লি পুনরায় চালু করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেটি পাঁচ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। ওই চুল্লিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত কোনো কার্যক্রম চালানোর লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তবে এরপর থেকে এমন কিছু ইঙ্গিত মিলেছে, যা থেকে চুল্লিটি আবার চালু করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে।
এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে আইএইএ জানায়, ইয়ংবিয়ন নিউক্লিয়ার কমপ্লেক্সে প্লুটোনিয়াম উৎপাদনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, ওই কমপ্লেক্স থেকে শীতল পানি বেরিয়েছে। সাধারণত চুল্লির রিঅ্যাক্টর চালু থাকলে এমন পানি বের হয়। প্রতিবেদনটি তৈরিতে উত্তর কোরিয়ার ওপর নজরদারি চালাতে হয়েছে আইএইএকে। তবে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেনি সংস্থাটি। পর্যবেক্ষণ চালাতে হয়েছে স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা ছবি থেকে। কারণ, ২০০৯ সাল থেকেই জাতিসংঘের এই পর্যবেক্ষক সংস্থাটির তদন্তের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির সরকার।
ওই নিষেধাজ্ঞার পর থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে গেছে উত্তর কোরিয়া। পরীক্ষামূলকভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া।
এদিকে মাথাব্যথার কারণ শুধু ইয়ংবিয়নের ওই চুল্লিই নয়। আইএইএ বলছে, একই নিউক্লিয়ার কমপ্লেক্সে একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্টও বেশ কিছু সময় ধরে চালু রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া দেশটির পিয়ংসান এলাকায় একটি ইউরেনিয়াম খনি এবং প্ল্যান্টেও গতিবিধি লক্ষ করা গেছে।