এদিকে ইউক্রেন সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার কৌশলগত পরাজয় ঘটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পারমাণবিকসহ যে কোনো অস্ত্র দিয়ে নিজেদের রক্ষার অধিকার রয়েছে মস্কোর। গতকাল বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ এ কথা বলেছেন। মার্কিন এলিটরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকবে, তা বিবেচনা করা উচিত হবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি। বতর্মানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দিমিত্রি মেদভেদেভ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের পর তিনি এমন মন্তব্য করলেন। মেদভেদেভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা রাশিয়ার পরাজয় নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু কৌশলগত নিরাপত্তা ইস্যু ভিন্ন বিষয়। সাবেক এই রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, মার্কিন এই পদক্ষেপ ভুল। যেহেতু রাশিয়ার পরাজয় চাইছে মার্কিন প্রশাসন। তাই নিজেদের রক্ষায় পারমাণবিকসহ যে কোনো অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার রাশিয়ার রয়েছে বলে জানান তিনি।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের একবছর হতে চলেছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল অধিগ্রহণের জন্য কথিত গণভোট করেছে রাশিয়া। তবে এখনো দু’পক্ষের লড়াই চলছে। সেই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে সহায়তা করতে চায় চীন। জানা যাচ্ছে, সে উপলক্ষে শিগগির মস্কো সফর করবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বেইজিং ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার থেকে ক্রেমলিনকে বিরত রাখতে রাজি করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিউ স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি (স্টার্ট) পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তিতে রাশিয়ার অংশগ্রহণ স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। ২০১০ সালে ‘দ্য নিউ স্টার্ট’ চুক্তির মাধ্যমে অস্ত্রের সংখ্যা ও ব্যবহার সীমিত করা হয়। চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনই তা স্থগিত করলো রাশিয়া।
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার রয়েছে রাশিয়ার: মেদভেদেভ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ