ক্রীড়া প্রতিবেদক: নবীন গুলশান ক্রিকেট ক্লাব তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের শক্তিশালী মোহামেডানকে উড়িয়ে দিয়েছিল। সেই দলটি বৃহস্পতিবার হারলো খর্বশক্তির দলে পরিণত হওয়া আবাহনীর কাছে। বিকেএসপিতে ১৬২ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে ঐতিহ্যবাহী আবাহনী। আগে ব্যাটিং করে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২৩ রান সংগ্রহ করে। জবাবে গুলশান ২৯.৪ ওভারে ১৬১ রানে অলআউট হয়েছে। তাতে ১৬২ রানের বড় জয় পেয়ে যায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল। বিকেএসপিতে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে আবাহনী নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২৩ রান সংগ্রহ করে। জবাবে শুরুটা একেবারে খারাপ করেনি গুলশান ক্লাব।
লিটন দাস ও জাওয়াদ আবরার মিলে গড়েন ৪৭ রানের জুটি। আবরার ১৮ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন। এক ম্যাচ পর দলে ফেরা লিটনও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। দলীয় ৬৪ রানে ২১ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন। এরপর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইফতেখার হোসেন ইফতিকে নিয়ে খালেদ হাসান গড়েন ৩৫ রানের জুটি। ওটাই শেষ, এরপর গুলশানের কেউ বড় জুটি গড়তে পারেনি। শেষ দিকে নিহাদউজ্জামানের ৩৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে ভর করে গুলশান কোনওমতো ১৬২ রান সংগ্রহ করতে পারে। সর্বোচ্চ ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন খালেদ।
আবাহনীর বোলারদের মধ্যে রাকিবুল হাসান ৪০ রান খরচায় নেন চারটি উইকেট। এছাড়া ২৯ রানে তিনটি উইকেট শিকার করেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাওয়া আবাহনীর দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ও জিসান আলম মিলে শুরুর জুটিতে যোগ করেছেন ৫১ রান। জিসান ৩৪ রানে আউট হলে জুটি ভাঙে আবাহনীর। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭০ রানে দুই উইকেট হারানোর পর মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে ১৭১ রানের জুটি গড়েন পারভেজ। মিঠুন ৬৫ বলে ৫২ রান করে আউট হলেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন পারভেজ। খেলেছেন ১২৪ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ১২৬ রানের ইনিংস। তার সেঞ্চুরিতেই আবাহনী ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩২৩ রান। গুলশানের বোলারদের মধ্যে আসাদুজ্জামান পায়েল তিনটি এবং আজিজুল হাকিম তামিম দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।