পাবনা সংবাদদাতা: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে বাস-ট্রাকসহ অন্তত ৪০ গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে পাবনা-সাঁথিয়া সড়কে উপজেলার ছেচানিয়া সেতুর পাশে তলট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান।
পুলিশ জানায়, রাতে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে একটি পণ্যবাহী ট্রাকের গতিরোধ করে ডাকাতরা। এতে কিছুক্ষণের মধ্যে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ বেশকিছু গাড়ি আটকে পড়ে।
এ সময় ৪০ থেকে ৫০ জন রামদা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে পর্যায়ক্রমে গাড়িগুলোতে লুটপাট চালায়। কোনো গাড়ির গেইট খুলতে দেরি করলে সেটিতে ভাঙচুর চালায় ডাকাতরা। এ সময় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মারধর করে তাদের মোবাইল, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ তাণ্ডব চলে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
ডাকাতির কবলে পড়া আব্দুস সালাম তার ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বক্তব্যে বলেন, কিছুক্ষণ আগে এই সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়িগুলোতে ডাকাতি করেছে। হুট করে আমাদের গাড়িতে আক্রমণ করে ডাকাত দলের সদস্যরা।
বার বার গাড়িতে আঘাত করে গেইট খুলে দিতে বললে ডাকাতরা ঢুকে চালকের গলা ও পেটে চাকু ধরে। একইভাবে অন্যদেরও জিম্মি করে সব লুটে নিয়ে যায়। আমরা বলেছি, ভাই যা আছে সব নেন, কিন্তু কাউকে আঘাত কইরেন না। আমাদের গাড়িতে কাউকে আঘাত করেনি। অনুরোধ করায় আমার দুটি মোবাইল দিয়ে যায়।
ভিডিও তিনি বলেন, একটা গাড়িতে করে দেশে ফিরছিলেন এক প্রবাসী। ওই গাড়িতেও আক্রমণ করে কয়েকজনকে মারধর করে সব লুটে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। একইভাবে সব গাড়িতে পর্যায়ক্রমে ডাকাতি চালায় তারা। ওই এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনেছি, বিস্তারিত জানি না। তবে ওই রাস্তাটি খুব বেশি ব্যস্ত না হলেও বেড়া-বাঘাবাড়ি হয়ে ঢাকায় যাবার জন্য বেশকিছু গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এটি জেনেই সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি করেছে ডাকাতরা।
ওসি সাইদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতি হল, আপনারা কোন খবর পেলেন না? সাংবাদিকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি তিনটি গাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। কেউ বেশি লিখলে তো হবে না ভাই। সড়কে পুলিশ নিয়মিত টহলরত অবস্থায় থাকে, এত সময় নিয়ে গাড়িতে ডাকাতি করার সময় কই বলে মন্তব্য করেন ওসি।