ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

পানি উৎপাদন কমে নগরবাসীর ভোগান্তি

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম ওয়াসার উৎপাদন কমে যাওয়ায় নগরীতে পানির সংকট বেড়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ওয়াসার গ্রাহক। ওয়াসার পানির উৎস হালদা ও কর্ণফুলী নদী। এরমধ্যে হালদা নদীতে লবণাক্ততা বেড়েছে এবং কর্ণফুলী নদীতে ভাটার সময় পানির স্তর কমছে উল্লেখযোগ্য হারে। যে কারণে এ দুই নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল ওয়াসার চারটি পানি শোধনাগার প্রকল্পে পানির উৎপাদন কমেছে ৬ কোটি লিটার পর্যন্ত। ওয়াসার এ চার প্রকল্পের উৎপাদিত পানি সরবরাহ করা হয় চট্টগ্রাম মহানগরীর বাসিন্দাদের মাঝে। শুষ্ক মৌসুম শুরুর মধ্যে দিয়ে পানির সংকটের মধ্যে পড়েছে চট্টগ্রাম নগরীর বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন হামজারবাগ, আতুরার ডিপো, সঙ্গীত আবাসিক, বাকলিয়া, হালিশহর, ডবলমুরিং থানাধীন পোস্তারপাড়, ধনিয়ালা পাড়া, পান্না পাড়া, পতেঙ্গা থানাধীন বাংলা বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা নিয়মিত ওয়াসার পানি পাচ্ছে না। এতে বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নগরীর হামজারবাগ সঙ্গীত আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. রফিক জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে এ আবাসিক এলাকায় ওয়াসার পানি নেই। নানাবিধ কষ্ট করে পানির জোগান দিতে হচ্ছে। বিষয়টি ওয়াসার কর্মকর্তাদের জানানোর পর তারা দ্রুত সুরহা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। সংকট তীব্র হওয়ায় পানির দাবিতে গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার কয়েকশ’ লোক। পরে ঘেরাও কর্মসূচি পালনকারীরা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বরাবরে স্মারকলিপি দেন। ওয়াসার কর্মকর্তারা পানির সমস্যা দ্রুত সমাধান করার আশ্বাস দিলে তারা ফিরে যান। এদিকে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘চলতি শুষ্ক মৌসুমে ওয়াসার প্রকল্পগুলো বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়েছে।

ওয়াসার পানির উৎস হালদা নদী ও কর্ণফুলী নদী। বর্তমানে হালদা নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে দৈনিক ৯ কোটি লিটার উৎপাদন সক্ষমতার মদুনাঘাট পানি শোধনাগার প্রকল্প এবং ৯ কোটি লিটার পানির উৎপাদন সক্ষমতার মোহরা পানি শোধনাগার প্রকল্পে পানির উৎপাদন কমেছে ৩ কোটি লিটারের মতো। হালদা নদীর পানিতে লবণাক্ততার কারণে দিনে দুই বার জোয়ারের সময় দুটি প্রকল্প ৫ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হয়। কেননা হালদা নদীর পানিতে এক হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত প্রতি লিটার পানিতে লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। অপরদিকে ভাটার সময় কর্ণফুলী নদীতে পানির স্তর কমেছে। কর্ণফুলী নদীর পানির উপর নির্ভরশীল দৈনিক ১৪ কোটি লিটার করে ২৮ কোটি লিটার পানির উৎপাদন সক্ষমতার কর্ণফুলী পানি শোধনাগার প্রকল্প দুটিতে ভাটার সময় পানির স্তর কমে গেছে। এ কারণে এ দুই প্রকল্পে পানির উৎপাদন কমেছে দৈনিক ২ থেকে ৩ কোটি লিটার। সব মিলিয়ে চারটি পানি শোধনাগার প্রকল্পে ৫ থেকে ৬ কোটি লিটারের মতো পানির উৎপাদন কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে গ্রাহকদের মাঝে।’

এদিকে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর কমে যাওয়ায় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। ২৪২ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে শুক্রবার (১৪ মার্চ) উৎপাদন হয়েছে একটি ইউনিট থেকে মাত্র ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আবার জোয়ারের সময় কর্ণফুলী নদীতে পানি স্বাভাবিক থাকলেও ভাটার সময় পানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। এ সময় কর্ণফুলী নদীর উপর নির্ভরশীল চট্টগ্রাম ওয়াসার ২৮ কোটি লিটার উৎপাদন সক্ষমতার দুই প্রকল্পে পানির উৎপাদন কমেছে ৩ কোটি লিটারের মতো। তবে ওয়াসার কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট একটি চালু থাকায় স্বল্প পরিমাণে পানি ছাড়া হচ্ছে। আরও বেশি ইউনিট চালু থাকলে পানির সংকটে ওয়াসার প্রকল্পে উৎপাদন কমে যেত না। চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম নগরে দৈনিক ৬০ কোটি লিটার পানির চাহিদা রয়েছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সরবরাহের সক্ষমতা আছে ৫০ কোটি লিটার। এরমধ্যে চারটি প্রকল্প থেকে ৪৬ কোটি লিটার পানি উৎপাদন হয়। চার প্রকল্পের মধ্যে দুটি হালদা নদী অপর দুটি প্রকল্প অবস্থিত কর্ণফুলী নদীর পাড়ে।

মূলত প্রকল্পগুলো এই দুই নদীর পানি সংগ্রহ করে তা পরিশোধনের পর নগরের গ্রাহকদের সরবরাহ করা হয়। রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর পাড়ে অবস্থিত কর্ণফুলী পানি শোধনাগার প্রকল্প-১ এবং কর্ণফুলী পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ এ দুটি প্রকল্প দৈনিক ১৪ কোটি লিটার করে ২৮ কোটি লিটার পানির উৎপাদন সক্ষমতা আছে। অপরদিকে হালদা নদীর পানির উপর নির্ভরশীল মদুনঘাট পানি শোধনাগার প্রকল্প এবং মোহরা পানি শোধনাগার প্রকল্প। এ প্রকল্প দুটি দৈনিক ৯ কোটি লিটার করে ১৮ কোটি পানির উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। বাকি ৪ কোটি লিটার পানি উৎপাদন হয় গভীর নলকূপ থেকে। চট্টগ্রাম নগরীতে ৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। শুধু এসব ওয়ার্ড এলাকায় রয়েছে ওয়াসার পানির সংযোগ। এতে ৭৮ হাজার ৫৪২টি আবাসিক গ্রাহক এবং ৭ হাজার ৭৬৭ টি আছে বাণিজ্যিক সংযোগ। ৭৭০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে সংস্থাটি পানি সরবরাহ করে থাকে।

তবে নগরীর অনেক এলাকায় এখনও পানির সংযোগ পৌঁছায়নি। চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ট্রিটমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন) মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম বলেন, ১৪ কোটি করে ২৮ কোটি লিটার উৎপাদন সক্ষমতার দুটি প্রকল্প থেকে বর্তমানে দুই-তিন কোটি লিটার পানির উৎপাদন কমেছে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

পানি উৎপাদন কমে নগরবাসীর ভোগান্তি

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম ওয়াসার উৎপাদন কমে যাওয়ায় নগরীতে পানির সংকট বেড়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ওয়াসার গ্রাহক। ওয়াসার পানির উৎস হালদা ও কর্ণফুলী নদী। এরমধ্যে হালদা নদীতে লবণাক্ততা বেড়েছে এবং কর্ণফুলী নদীতে ভাটার সময় পানির স্তর কমছে উল্লেখযোগ্য হারে। যে কারণে এ দুই নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল ওয়াসার চারটি পানি শোধনাগার প্রকল্পে পানির উৎপাদন কমেছে ৬ কোটি লিটার পর্যন্ত। ওয়াসার এ চার প্রকল্পের উৎপাদিত পানি সরবরাহ করা হয় চট্টগ্রাম মহানগরীর বাসিন্দাদের মাঝে। শুষ্ক মৌসুম শুরুর মধ্যে দিয়ে পানির সংকটের মধ্যে পড়েছে চট্টগ্রাম নগরীর বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন হামজারবাগ, আতুরার ডিপো, সঙ্গীত আবাসিক, বাকলিয়া, হালিশহর, ডবলমুরিং থানাধীন পোস্তারপাড়, ধনিয়ালা পাড়া, পান্না পাড়া, পতেঙ্গা থানাধীন বাংলা বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা নিয়মিত ওয়াসার পানি পাচ্ছে না। এতে বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নগরীর হামজারবাগ সঙ্গীত আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. রফিক জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে এ আবাসিক এলাকায় ওয়াসার পানি নেই। নানাবিধ কষ্ট করে পানির জোগান দিতে হচ্ছে। বিষয়টি ওয়াসার কর্মকর্তাদের জানানোর পর তারা দ্রুত সুরহা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। সংকট তীব্র হওয়ায় পানির দাবিতে গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার কয়েকশ’ লোক। পরে ঘেরাও কর্মসূচি পালনকারীরা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বরাবরে স্মারকলিপি দেন। ওয়াসার কর্মকর্তারা পানির সমস্যা দ্রুত সমাধান করার আশ্বাস দিলে তারা ফিরে যান। এদিকে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘চলতি শুষ্ক মৌসুমে ওয়াসার প্রকল্পগুলো বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়েছে।

ওয়াসার পানির উৎস হালদা নদী ও কর্ণফুলী নদী। বর্তমানে হালদা নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে দৈনিক ৯ কোটি লিটার উৎপাদন সক্ষমতার মদুনাঘাট পানি শোধনাগার প্রকল্প এবং ৯ কোটি লিটার পানির উৎপাদন সক্ষমতার মোহরা পানি শোধনাগার প্রকল্পে পানির উৎপাদন কমেছে ৩ কোটি লিটারের মতো। হালদা নদীর পানিতে লবণাক্ততার কারণে দিনে দুই বার জোয়ারের সময় দুটি প্রকল্প ৫ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হয়। কেননা হালদা নদীর পানিতে এক হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত প্রতি লিটার পানিতে লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। অপরদিকে ভাটার সময় কর্ণফুলী নদীতে পানির স্তর কমেছে। কর্ণফুলী নদীর পানির উপর নির্ভরশীল দৈনিক ১৪ কোটি লিটার করে ২৮ কোটি লিটার পানির উৎপাদন সক্ষমতার কর্ণফুলী পানি শোধনাগার প্রকল্প দুটিতে ভাটার সময় পানির স্তর কমে গেছে। এ কারণে এ দুই প্রকল্পে পানির উৎপাদন কমেছে দৈনিক ২ থেকে ৩ কোটি লিটার। সব মিলিয়ে চারটি পানি শোধনাগার প্রকল্পে ৫ থেকে ৬ কোটি লিটারের মতো পানির উৎপাদন কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে গ্রাহকদের মাঝে।’

এদিকে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর কমে যাওয়ায় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। ২৪২ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে শুক্রবার (১৪ মার্চ) উৎপাদন হয়েছে একটি ইউনিট থেকে মাত্র ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আবার জোয়ারের সময় কর্ণফুলী নদীতে পানি স্বাভাবিক থাকলেও ভাটার সময় পানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। এ সময় কর্ণফুলী নদীর উপর নির্ভরশীল চট্টগ্রাম ওয়াসার ২৮ কোটি লিটার উৎপাদন সক্ষমতার দুই প্রকল্পে পানির উৎপাদন কমেছে ৩ কোটি লিটারের মতো। তবে ওয়াসার কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট একটি চালু থাকায় স্বল্প পরিমাণে পানি ছাড়া হচ্ছে। আরও বেশি ইউনিট চালু থাকলে পানির সংকটে ওয়াসার প্রকল্পে উৎপাদন কমে যেত না। চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম নগরে দৈনিক ৬০ কোটি লিটার পানির চাহিদা রয়েছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সরবরাহের সক্ষমতা আছে ৫০ কোটি লিটার। এরমধ্যে চারটি প্রকল্প থেকে ৪৬ কোটি লিটার পানি উৎপাদন হয়। চার প্রকল্পের মধ্যে দুটি হালদা নদী অপর দুটি প্রকল্প অবস্থিত কর্ণফুলী নদীর পাড়ে।

মূলত প্রকল্পগুলো এই দুই নদীর পানি সংগ্রহ করে তা পরিশোধনের পর নগরের গ্রাহকদের সরবরাহ করা হয়। রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর পাড়ে অবস্থিত কর্ণফুলী পানি শোধনাগার প্রকল্প-১ এবং কর্ণফুলী পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ এ দুটি প্রকল্প দৈনিক ১৪ কোটি লিটার করে ২৮ কোটি লিটার পানির উৎপাদন সক্ষমতা আছে। অপরদিকে হালদা নদীর পানির উপর নির্ভরশীল মদুনঘাট পানি শোধনাগার প্রকল্প এবং মোহরা পানি শোধনাগার প্রকল্প। এ প্রকল্প দুটি দৈনিক ৯ কোটি লিটার করে ১৮ কোটি পানির উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। বাকি ৪ কোটি লিটার পানি উৎপাদন হয় গভীর নলকূপ থেকে। চট্টগ্রাম নগরীতে ৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। শুধু এসব ওয়ার্ড এলাকায় রয়েছে ওয়াসার পানির সংযোগ। এতে ৭৮ হাজার ৫৪২টি আবাসিক গ্রাহক এবং ৭ হাজার ৭৬৭ টি আছে বাণিজ্যিক সংযোগ। ৭৭০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে সংস্থাটি পানি সরবরাহ করে থাকে।

তবে নগরীর অনেক এলাকায় এখনও পানির সংযোগ পৌঁছায়নি। চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ট্রিটমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন) মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম বলেন, ১৪ কোটি করে ২৮ কোটি লিটার উৎপাদন সক্ষমতার দুটি প্রকল্প থেকে বর্তমানে দুই-তিন কোটি লিটার পানির উৎপাদন কমেছে।’