লাইফস্টাইল ডেস্ক: খাওয়ার টেবিলে আমরা অনেকেই ভাত, মাছ, মাংস একসঙ্গে খেতে অভ্যস্ত। তবে বিজ্ঞান বলছে, খাবারের সঠিক ক্রম মানলে শরীরে পুষ্টির শোষণ ভালো হয় এবং অনেক রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রতিদিনের পাতে ভাত, ডাল, সবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি মিলিয়ে মিশিয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট তৈরি করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো — এই খাবারগুলো খাওয়ার সঠিক ক্রম কী?
১. প্রথমেই খাওয়া উচিত সবজি ও সালাদ
সবজিতে রয়েছে প্রচুর আঁশ (ফাইবার), ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। তাই যারা ডায়াবেটিস বা ওজন নিয়ন্ত্রণের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য খাবারের শুরুতেই সবজি খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। শাক, লাউ, করলা, ঢেঁড়স কিংবা শসা–টমেটোর সালাদ শুরুতেই খাওয়া উচিত।
আবার সবজির উপাদানগুলো প্রথমেই পেটে গিয়ে পাকস্থলীতে এক ধরনের সুরক্ষা আবরণ তৈরি করে। এই আবরণটি পেটের হজম জনিত সমস্যা, জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
২. সবজির পরে আমিষ
সবজি খাওয়া হয়ে গেলে প্রোটিনজাতীয় খাবার, যেমন মাছ, ডাল বা মাংস — খাওয়া যেতে পারে। প্রোটিন শরীরের কোষ গঠনে সাহায্য করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই নিয়মিত খাবারের দ্বিতীয় ধাপে মাছ বা মংস রাখতে পারেন।
৩. সবশেষে শর্করা
যদি ভাত আগে খাওয়া হয় তবে শরীরে হঠাৎ করে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কিন্তু সবজি ও প্রোটিন আগে খেলে ভাতের শর্করা ধীরে হজম হয়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই সবজি ও প্রোটিনের পরে, একদম শেষে শর্করা জাতীয় খাবার খাবেন।
এসময় পেট কিছুটা ভরে যাওয়ায় বেশি শর্করা খাওয়ার প্রবণতাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এই নিয়ম মেনে খেলে হজম ভালো হয়, শরীর দীর্ঘসময় শক্তি পায় এবং ডায়াবেটিস ও স্থূলতার ঝুঁকি কমে আসে।
সূত্র: বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
এসি/আপ্র/২৩/০৯/২০২৫