ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

পাঠাও’র নতুন সিইও ফাহিম আহমেদ

  • আপডেট সময় : ১০:১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : পাঠাও-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্ত হলেন ফাহিম আহমেদ। এই নিয়োগ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। তিনি পাঠাও-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মোহাম্মদ ইলিয়াস এর স্থলাভিষিক্ত হলেন। পাঠাও দেশের সর্ববৃহৎ ডিজিটাল সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম এবং রাইডশেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি ও ই-কমার্স লজিস্টিকস সেবা খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান।
ফাহিম আহমেদ ২০১৮ সালে পাঠাও-এর চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) হিসেবে যোগদান করেন। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রমের দায়িত্বভার নেন। মহামারির সংকটকালীন সময়ে ডিজিটাল সেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কোম্পানির জন্য নবতর কৌশল উদ্ভাবন ও তা বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি। গত এক বছরে পাঠাও-এর কার্যক্রমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে এবং আর্থিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে রেকর্ড হারে। পাঠাও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সেবাগ্রহণকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৮০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেবাপ্রদানে নিয়োজিত রয়েছে ৩ লক্ষ চালক ও ডেলিভারি এজেন্ট, প্রায় ৩০ হাজার মার্চেন্ট ও ১০ হাজারের বেশি রেস্টুরেন্ট। ফাহিম আহমেদ বলেন, আমরা এমন একটি কোম্পানি যারা অগণিত ভোক্তা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং দৈনিক উপার্জনকারীদের জীবনে পরিবর্তন এনেছি। সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগাতে আমাদের দ্রুত এগোতে হবে, দৃঢ় মনোযোগ দিতে হবে এবং দিন বদলাতে হবে। পাঠাও এর অসাধারণ উদ্যোগী এই টিমের নেতৃত্ব পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত এবং কৃতজ্ঞ। তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল কমার্স খাতের জন্য ফিনটেক-নির্ভর নতুন প্রজন্মের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে পাঠাও। এর মাধ্যমে ক্রেতারা আরো বেশি সেবা নিতে পারবে আর জেনে বুঝে খরচ করতে পারবে, বাণিজ্যের গতি বাড়বে আর ব্যবসায়ীদের প্রবৃদ্ধি হবে এবং মধ্যবিত্তের আয়ের পথ আরো সুগম হবে। আমাদের যাত্রা তো সবে শুরু।
সদ্য-বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেইন মোহাম্মদ ইলিয়াস পাঠাও বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এর সদস্য হিসেবে বহাল থাকবেন। পাশাপাশি তিনি কোম্পানির সিনিয়র অ্যাডভাইজারের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, “পাঠাও প্রতিষ্ঠা আমার জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। ছয় বছর পর এখনই সময় নতুন নেতৃত্বের, আর পাঠাও কে এগিয়ে নিতে ফাহিমই সবচেয়ে যোগ্য। পাঠাও-এর অনন্য প্রতিভাবান ও উদ্ভাবনী টিমের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি ধন্য। আমি নিশ্চিত যে, প্রাণোচ্ছল এই টিমের সৃজনশীলতা ফাহিমের নেতৃত্বে অসাধারণভাবে বিকশিত হবে।”
ফাহিম আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের মিডলবারি কলেজ থেকে উচ্চতর পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। অর্থায়ন ও বিনিয়োগ খাতে বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ বছরের অধিককাল কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। পাঠাও-এ যোগদানের আগে তিনি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এসইএএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের প্রথম ‘মিড-মার্কেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’-এর অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি রয়্যাল ব্যাংক অব স্কটল্যান্ড (আরবিএস) ও আমেরিকান সিকিউরিটিজ-এর বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং নিউইয়র্কভিত্তিক বিখ্যাত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পাঠাও’র নতুন সিইও ফাহিম আহমেদ

আপডেট সময় : ১০:১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : পাঠাও-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্ত হলেন ফাহিম আহমেদ। এই নিয়োগ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। তিনি পাঠাও-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মোহাম্মদ ইলিয়াস এর স্থলাভিষিক্ত হলেন। পাঠাও দেশের সর্ববৃহৎ ডিজিটাল সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম এবং রাইডশেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি ও ই-কমার্স লজিস্টিকস সেবা খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান।
ফাহিম আহমেদ ২০১৮ সালে পাঠাও-এর চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) হিসেবে যোগদান করেন। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রমের দায়িত্বভার নেন। মহামারির সংকটকালীন সময়ে ডিজিটাল সেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কোম্পানির জন্য নবতর কৌশল উদ্ভাবন ও তা বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি। গত এক বছরে পাঠাও-এর কার্যক্রমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে এবং আর্থিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে রেকর্ড হারে। পাঠাও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সেবাগ্রহণকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৮০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেবাপ্রদানে নিয়োজিত রয়েছে ৩ লক্ষ চালক ও ডেলিভারি এজেন্ট, প্রায় ৩০ হাজার মার্চেন্ট ও ১০ হাজারের বেশি রেস্টুরেন্ট। ফাহিম আহমেদ বলেন, আমরা এমন একটি কোম্পানি যারা অগণিত ভোক্তা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং দৈনিক উপার্জনকারীদের জীবনে পরিবর্তন এনেছি। সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগাতে আমাদের দ্রুত এগোতে হবে, দৃঢ় মনোযোগ দিতে হবে এবং দিন বদলাতে হবে। পাঠাও এর অসাধারণ উদ্যোগী এই টিমের নেতৃত্ব পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত এবং কৃতজ্ঞ। তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল কমার্স খাতের জন্য ফিনটেক-নির্ভর নতুন প্রজন্মের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে পাঠাও। এর মাধ্যমে ক্রেতারা আরো বেশি সেবা নিতে পারবে আর জেনে বুঝে খরচ করতে পারবে, বাণিজ্যের গতি বাড়বে আর ব্যবসায়ীদের প্রবৃদ্ধি হবে এবং মধ্যবিত্তের আয়ের পথ আরো সুগম হবে। আমাদের যাত্রা তো সবে শুরু।
সদ্য-বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেইন মোহাম্মদ ইলিয়াস পাঠাও বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এর সদস্য হিসেবে বহাল থাকবেন। পাশাপাশি তিনি কোম্পানির সিনিয়র অ্যাডভাইজারের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, “পাঠাও প্রতিষ্ঠা আমার জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। ছয় বছর পর এখনই সময় নতুন নেতৃত্বের, আর পাঠাও কে এগিয়ে নিতে ফাহিমই সবচেয়ে যোগ্য। পাঠাও-এর অনন্য প্রতিভাবান ও উদ্ভাবনী টিমের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি ধন্য। আমি নিশ্চিত যে, প্রাণোচ্ছল এই টিমের সৃজনশীলতা ফাহিমের নেতৃত্বে অসাধারণভাবে বিকশিত হবে।”
ফাহিম আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের মিডলবারি কলেজ থেকে উচ্চতর পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। অর্থায়ন ও বিনিয়োগ খাতে বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ বছরের অধিককাল কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। পাঠাও-এ যোগদানের আগে তিনি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এসইএএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের প্রথম ‘মিড-মার্কেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’-এর অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি রয়্যাল ব্যাংক অব স্কটল্যান্ড (আরবিএস) ও আমেরিকান সিকিউরিটিজ-এর বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং নিউইয়র্কভিত্তিক বিখ্যাত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।