ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫
একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫

পাঠকের আগ্রহ ছিল প্রতিষ্ঠিত লেখকদের বইয়েই

  • আপডেট সময় : ০৩:৩২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

শেষ হলো একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫। এবার মেলায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে তরুণ ও নতুন লেখকদের বইয়ের সংখ্যাও কম নয়। তবে অধিকাংশ পাঠকের ঝোঁক প্রতিষ্ঠিত ও খ্যাতনামা লেখকদের বইয়ে। গ্রন্থমেলায় প্রকাশনা সংস্থা, বিক্রয়কর্মী ও পাঠকদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া যায়। এ বিষয় নিয়েই এবারের সাহিত্য পাতার প্রধান ফিচার

মাওলা ব্রাদার্সের প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হক বলেন, কয়েক বছর লক্ষ করছি বিষয়ভিত্তিক বইয়ে পাঠকের চাহিদা সর্বাধিক। কোনো বিষয়ে পাঠক জানতে পারবে আলাদাভাবে এ রকম বইয়ের বিক্রি বেশি। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত লেখকদের বই সর্বাধিক বিক্রি হচ্ছে। কারণ বলা যায়, তাদের অনেক বইয়েই ‘ক্লাসিক’ পর্যায়ে গেছে, আর ক্লাসিক সর্বকালেই চলবে। যেমন এখানে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আহমদ ছফা, হুমায়ূন আহমেদ, সরদার ফজলুল করিম, সৈয়দ শামসুল হক, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এই লেখকদের পাঠকপ্রিয়তাও বেশি। তুলনামূলক নতুনদের মধ্যে শাহীন আখতার, শাহাদুজ্জামানের বইয়েরও পাঠক রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাশাহুদ আহমেদ রাফিম বলেন, জনপ্রিয় লেখকের বই কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সহজ। কারণ নতুন লেখক কেমন লিখবেন, সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা থাকে না। তাই তুলনামূলক প্রতিষ্ঠিত লেখকদের বই কেনাটা সহজ।
পুথিনিলয় প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আফরোজা আখতার আঁখি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হায়াৎ মাহমুদ, ইমদাদুল হক মিলন ও রকিব হাসানের বই সর্বাধিক বিক্রির তালিকায় রয়েছে।
আগামী প্রকাশনীর নির্বাহী পরিচালক মিতিয়া ওসমান বলেন, আমরা একটু ‘সিরিয়াসধর্মী’ বই প্রকাশ করি। এর মধ্যে সলিমুল্লাহ খান, আহমদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ, ফরহাদ মজহারের বইয়ের কাটতি বেশি। প্রবীণ পাঠকদের পাশাপাশি আজকাল তরুণরাও এসব বই কিনছেন। এছাড়া মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনী ঘুরে দেখা যায়, অন্যপ্রকাশে হুমায়ূন আহমেদ ও সাদাত হোসাইন, কথাপ্রকাশে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও হরিশংকর জলদাস, প্রথমাতে মহিউদ্দিন আহমেদ, আবুল মনসুর আহমদ, অনুপম প্রকাশনীতে জাফর ইকবাল ও জহির রায়হান, দিব্যপ্রকাশে কবি হেলাল হাফিজ ও কবি ইমতিয়াজ আহমেদের বইয়ের চাহিদা পাঠকের কাছে সর্বাধিক।
মূল মঞ্চ: বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘জনআকাক্সক্ষার নাট্যকলা- যাত্রা: ঐতিহ্যের পরম্পরায় জাতীয়তাবাদী শিল্পরীতি এবং অমলেন্দু বিশ্বাস’ শীর্ষক আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইদুর রহমান লিপন। আলোচনা করেন শাহমান মৈশান। সভাপতিত্ব করেন মিলনকান্তি দে।
লেখক বলছি মঞ্চ: লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি শাহীন রেজা, কবি এজাজ ইউসুফী এবং কবি শোভা চৌধুরী।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫

পাঠকের আগ্রহ ছিল প্রতিষ্ঠিত লেখকদের বইয়েই

আপডেট সময় : ০৩:৩২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

শেষ হলো একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫। এবার মেলায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে তরুণ ও নতুন লেখকদের বইয়ের সংখ্যাও কম নয়। তবে অধিকাংশ পাঠকের ঝোঁক প্রতিষ্ঠিত ও খ্যাতনামা লেখকদের বইয়ে। গ্রন্থমেলায় প্রকাশনা সংস্থা, বিক্রয়কর্মী ও পাঠকদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া যায়। এ বিষয় নিয়েই এবারের সাহিত্য পাতার প্রধান ফিচার

মাওলা ব্রাদার্সের প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হক বলেন, কয়েক বছর লক্ষ করছি বিষয়ভিত্তিক বইয়ে পাঠকের চাহিদা সর্বাধিক। কোনো বিষয়ে পাঠক জানতে পারবে আলাদাভাবে এ রকম বইয়ের বিক্রি বেশি। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত লেখকদের বই সর্বাধিক বিক্রি হচ্ছে। কারণ বলা যায়, তাদের অনেক বইয়েই ‘ক্লাসিক’ পর্যায়ে গেছে, আর ক্লাসিক সর্বকালেই চলবে। যেমন এখানে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আহমদ ছফা, হুমায়ূন আহমেদ, সরদার ফজলুল করিম, সৈয়দ শামসুল হক, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এই লেখকদের পাঠকপ্রিয়তাও বেশি। তুলনামূলক নতুনদের মধ্যে শাহীন আখতার, শাহাদুজ্জামানের বইয়েরও পাঠক রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাশাহুদ আহমেদ রাফিম বলেন, জনপ্রিয় লেখকের বই কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সহজ। কারণ নতুন লেখক কেমন লিখবেন, সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা থাকে না। তাই তুলনামূলক প্রতিষ্ঠিত লেখকদের বই কেনাটা সহজ।
পুথিনিলয় প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আফরোজা আখতার আঁখি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হায়াৎ মাহমুদ, ইমদাদুল হক মিলন ও রকিব হাসানের বই সর্বাধিক বিক্রির তালিকায় রয়েছে।
আগামী প্রকাশনীর নির্বাহী পরিচালক মিতিয়া ওসমান বলেন, আমরা একটু ‘সিরিয়াসধর্মী’ বই প্রকাশ করি। এর মধ্যে সলিমুল্লাহ খান, আহমদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ, ফরহাদ মজহারের বইয়ের কাটতি বেশি। প্রবীণ পাঠকদের পাশাপাশি আজকাল তরুণরাও এসব বই কিনছেন। এছাড়া মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনী ঘুরে দেখা যায়, অন্যপ্রকাশে হুমায়ূন আহমেদ ও সাদাত হোসাইন, কথাপ্রকাশে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও হরিশংকর জলদাস, প্রথমাতে মহিউদ্দিন আহমেদ, আবুল মনসুর আহমদ, অনুপম প্রকাশনীতে জাফর ইকবাল ও জহির রায়হান, দিব্যপ্রকাশে কবি হেলাল হাফিজ ও কবি ইমতিয়াজ আহমেদের বইয়ের চাহিদা পাঠকের কাছে সর্বাধিক।
মূল মঞ্চ: বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘জনআকাক্সক্ষার নাট্যকলা- যাত্রা: ঐতিহ্যের পরম্পরায় জাতীয়তাবাদী শিল্পরীতি এবং অমলেন্দু বিশ্বাস’ শীর্ষক আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইদুর রহমান লিপন। আলোচনা করেন শাহমান মৈশান। সভাপতিত্ব করেন মিলনকান্তি দে।
লেখক বলছি মঞ্চ: লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি শাহীন রেজা, কবি এজাজ ইউসুফী এবং কবি শোভা চৌধুরী।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ