ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫

পাচারের শিকার নারীদের ফেলা হতো অগ্রিম টাকার ফাঁদে

  • আপডেট সময় : ০২:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদেশে পাচারের শিকার হওয়া নারীদের কাছ থেকে প্রথমে কোনও টাকাই নেওয়া হতো না। উল্টো তাদেরই দেওয়া হতো টাকা। আর সেটার যোগান আসতো পাচার হওয়া পুরুষদের কাছ থেকে। দুবাই পাচারচক্রের মূল হোতা জিয়ার সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা মোহাম্মদ শামসুদ্দীনকে রাজধানী থেকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।
গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর কাওরানবাজারের মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাব ১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ পাচারচক্রের হাত থেকে একজন নারী ও তিনজন পুরুষকে উদ্ধার করা হয় রাজধানীর উত্তরা থেকে। তিনি বলেন, পল্টন থেকে গ্রেফতারকৃত শামসুদ্দিনের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, ১০টি পাসপোর্ট, একটি বিএমইটি কার্ড উদ্ধার করা হয়। চক্রটি দুবাই, সিঙ্গাপুর ও ভারতে নারী-পুরুষ পাচার করে আসছে। এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে পাচার করেছে চক্রটি। জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব জানতে পারে, যেসব নারী বিদেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের জনপ্রতি অগ্রিম ৩০-৪০ হাজার টাকা দেওয়া হতো। পুরুষদের কাছ থেকে নেওয়া হতো তিন-চার লাখ টাকা করে। দুবাই ড্যান্স ক্লাবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হতো ওই নারীদের। চক্রটি কোনও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়াই জাল বিএমইটি কার্ড (নিয়োগপত্র কার্ড) তৈরি করে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা। আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকা নেওয়ার পর কোনও নারী বিদেশ যেতে না চাইলে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। তখন বাধ্য হয়ে অনেকে যেতে রাজি হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাচারের শিকার নারীদের ফেলা হতো অগ্রিম টাকার ফাঁদে

আপডেট সময় : ০২:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদেশে পাচারের শিকার হওয়া নারীদের কাছ থেকে প্রথমে কোনও টাকাই নেওয়া হতো না। উল্টো তাদেরই দেওয়া হতো টাকা। আর সেটার যোগান আসতো পাচার হওয়া পুরুষদের কাছ থেকে। দুবাই পাচারচক্রের মূল হোতা জিয়ার সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা মোহাম্মদ শামসুদ্দীনকে রাজধানী থেকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।
গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর কাওরানবাজারের মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাব ১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ পাচারচক্রের হাত থেকে একজন নারী ও তিনজন পুরুষকে উদ্ধার করা হয় রাজধানীর উত্তরা থেকে। তিনি বলেন, পল্টন থেকে গ্রেফতারকৃত শামসুদ্দিনের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, ১০টি পাসপোর্ট, একটি বিএমইটি কার্ড উদ্ধার করা হয়। চক্রটি দুবাই, সিঙ্গাপুর ও ভারতে নারী-পুরুষ পাচার করে আসছে। এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে পাচার করেছে চক্রটি। জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব জানতে পারে, যেসব নারী বিদেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের জনপ্রতি অগ্রিম ৩০-৪০ হাজার টাকা দেওয়া হতো। পুরুষদের কাছ থেকে নেওয়া হতো তিন-চার লাখ টাকা করে। দুবাই ড্যান্স ক্লাবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হতো ওই নারীদের। চক্রটি কোনও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়াই জাল বিএমইটি কার্ড (নিয়োগপত্র কার্ড) তৈরি করে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা। আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকা নেওয়ার পর কোনও নারী বিদেশ যেতে না চাইলে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। তখন বাধ্য হয়ে অনেকে যেতে রাজি হয়।