ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

পাকিস্তান সফর বাতিল ইংল্যান্ডের ‘পশ্চিমা দাম্ভিকতা’

  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফর বাতিলের ঘটনা এখন বেশ পুরনো। তবে রেশ যেন কিছুতেই কাটছেই না। বিশ্বকাপের আগে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজটি বাতিলের বিষয়টি পাকিস্তান তো বটেই ঠিকভাবে দেখছেন না অনেকেই। ক্যারিবিয়ান সাবেক পেসার ও ধারাভাষ্যকার পুরো বিষয়টিকে মনে করেন পশ্চিমাদের দাম্ভিকতা হিসেবে। তিনি সফর বাতিলের বিষয়টি তাদের একধরনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণ হিসেবে দেখছেন।
ক্রিকেট ইস্যুতে খোলামেলা কথা বলা সাবেক এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট রাইটার্স ক্লাব পিটার স্মিথ পুরস্কার পাওয়ার পর ইংলিশদের ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দিকে এসব অভিযোগ তোলেন। তিনি মনে করেন সফর বাতিলের পর ইংলিশদের বিবৃতি ব্লাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের মত বিট্রিশদের একটি লুকানো আবর্জনা।
ইংলিশদের ক্রিকেট বোর্ড নিরাপত্তার ইস্যু না দেখিয়ে খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে পাকিস্তান সফর বাতিল করেন। তবে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ বাতিলের তিনদিনের মাথায় তাদের এমন ঘোষণাকে খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তানের যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়ে রেখেছে তারা। তবে সেটি ভালোভাবে নেননি মাইকেল হোল্ডিং।
ইংলিশদের পাকিস্তান সফর বাতিলকে পশ্চিমা দাম্ভিকতা হিসেবে দেখছেন মাইকেল হোল্ডিং।
তিনি ইসিবির বিবৃতিকে দেখছেন আইওয়াশ হিসেবে। ‘এই সব বিবৃতির কোন মানে হয় না। কেউ সামনে এসে আপনার মুখোমুখি হতে চায় না। কারণ ওরা জানে, যা করছে সেটা ভুল। সেই কারণেই বিবৃতির পিছনে নিজেদের মুখ লুকাচ্ছে। এই ঘটনা আবারও পশ্চিমী ঔদ্ধত্যকে তুলে ধরে, যার সারবস্তু হল, তুমি যাই ভাব না কেন, আমি তোমার সঙ্গে আমার যেমন ইচ্ছা, ঠিক সেইরকম ব্যবহারই করব।’
মাইকেল হোল্ডিং মনে করেন পাকিস্তানের জায়গায় নামটা ভারত হলে কখনই সফর বাতিল করতে পারত না ইংল্যান্ড। ‘মাত্র চারদিনের পাকিস্তান সফর? আমি এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, তারা একই কাজ কখনই ভারতের সঙ্গে করতে পারতো না। কারণ ভারত শক্তিশালী এবং ধোনী।’
পাকিস্তানও ফুসছে সফর বাতিলের ঘটনায়। তারা ইতোমধ্যে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ক্রিকেট যুদ্ধের আভাস দিয়েও রেখেছে। এমনকি কড়া ঘোষণা দিয়ে রেখেছে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে হলে এখন থেকে পাকিস্তানেই যেতে হবে দলগুলোকে।
মাইকেল হোল্ডিং মনে করেন বর্তমানে আইসিসি খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করে ছেড়ে দিয়েছে। তাদের এখন লক্ষ্য কয়েকটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন করা। পাশাপাশি আঙ্গুল তোলে সংস্থাটির বিশেষজ্ঞের দিকেও। তার কথায় ঝড়ে পরে হতাশাও। ‘আমার বর্তমান অবস্থাসব ক্রিকেটের দৌলতেই। তবে বর্তমানে যারা এই খেলা পরিচালনা করে তাদের নিয়ে একেবারেই হতাশ। সত্যি বলতে আমি চলে যাওয়ার পর এই খেলা একটুও মিস করব না।’
ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ১৯৭৫ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় হোল্ডিংয়ের। সবশেষ ম্যাচ খেলেন ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে। এরপর ধারাভাষ্যকার হিসেবেও নাম লেখান। ক্যারিবিয়ান এই পেসার ৬০ টেস্টে ১১৩ ইনিংসে ২৪৯ উেইকেট শিকার করেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০২ ম্যাচে তার উইকেট ১৪২টি। ব্যাট হাতেও দারুণ কিছু ইনিংস উপহার দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তান সফর বাতিল ইংল্যান্ডের ‘পশ্চিমা দাম্ভিকতা’

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফর বাতিলের ঘটনা এখন বেশ পুরনো। তবে রেশ যেন কিছুতেই কাটছেই না। বিশ্বকাপের আগে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজটি বাতিলের বিষয়টি পাকিস্তান তো বটেই ঠিকভাবে দেখছেন না অনেকেই। ক্যারিবিয়ান সাবেক পেসার ও ধারাভাষ্যকার পুরো বিষয়টিকে মনে করেন পশ্চিমাদের দাম্ভিকতা হিসেবে। তিনি সফর বাতিলের বিষয়টি তাদের একধরনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণ হিসেবে দেখছেন।
ক্রিকেট ইস্যুতে খোলামেলা কথা বলা সাবেক এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট রাইটার্স ক্লাব পিটার স্মিথ পুরস্কার পাওয়ার পর ইংলিশদের ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দিকে এসব অভিযোগ তোলেন। তিনি মনে করেন সফর বাতিলের পর ইংলিশদের বিবৃতি ব্লাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের মত বিট্রিশদের একটি লুকানো আবর্জনা।
ইংলিশদের ক্রিকেট বোর্ড নিরাপত্তার ইস্যু না দেখিয়ে খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে পাকিস্তান সফর বাতিল করেন। তবে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ বাতিলের তিনদিনের মাথায় তাদের এমন ঘোষণাকে খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তানের যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়ে রেখেছে তারা। তবে সেটি ভালোভাবে নেননি মাইকেল হোল্ডিং।
ইংলিশদের পাকিস্তান সফর বাতিলকে পশ্চিমা দাম্ভিকতা হিসেবে দেখছেন মাইকেল হোল্ডিং।
তিনি ইসিবির বিবৃতিকে দেখছেন আইওয়াশ হিসেবে। ‘এই সব বিবৃতির কোন মানে হয় না। কেউ সামনে এসে আপনার মুখোমুখি হতে চায় না। কারণ ওরা জানে, যা করছে সেটা ভুল। সেই কারণেই বিবৃতির পিছনে নিজেদের মুখ লুকাচ্ছে। এই ঘটনা আবারও পশ্চিমী ঔদ্ধত্যকে তুলে ধরে, যার সারবস্তু হল, তুমি যাই ভাব না কেন, আমি তোমার সঙ্গে আমার যেমন ইচ্ছা, ঠিক সেইরকম ব্যবহারই করব।’
মাইকেল হোল্ডিং মনে করেন পাকিস্তানের জায়গায় নামটা ভারত হলে কখনই সফর বাতিল করতে পারত না ইংল্যান্ড। ‘মাত্র চারদিনের পাকিস্তান সফর? আমি এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, তারা একই কাজ কখনই ভারতের সঙ্গে করতে পারতো না। কারণ ভারত শক্তিশালী এবং ধোনী।’
পাকিস্তানও ফুসছে সফর বাতিলের ঘটনায়। তারা ইতোমধ্যে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ক্রিকেট যুদ্ধের আভাস দিয়েও রেখেছে। এমনকি কড়া ঘোষণা দিয়ে রেখেছে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে হলে এখন থেকে পাকিস্তানেই যেতে হবে দলগুলোকে।
মাইকেল হোল্ডিং মনে করেন বর্তমানে আইসিসি খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করে ছেড়ে দিয়েছে। তাদের এখন লক্ষ্য কয়েকটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন করা। পাশাপাশি আঙ্গুল তোলে সংস্থাটির বিশেষজ্ঞের দিকেও। তার কথায় ঝড়ে পরে হতাশাও। ‘আমার বর্তমান অবস্থাসব ক্রিকেটের দৌলতেই। তবে বর্তমানে যারা এই খেলা পরিচালনা করে তাদের নিয়ে একেবারেই হতাশ। সত্যি বলতে আমি চলে যাওয়ার পর এই খেলা একটুও মিস করব না।’
ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ১৯৭৫ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় হোল্ডিংয়ের। সবশেষ ম্যাচ খেলেন ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে। এরপর ধারাভাষ্যকার হিসেবেও নাম লেখান। ক্যারিবিয়ান এই পেসার ৬০ টেস্টে ১১৩ ইনিংসে ২৪৯ উেইকেট শিকার করেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০২ ম্যাচে তার উইকেট ১৪২টি। ব্যাট হাতেও দারুণ কিছু ইনিংস উপহার দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার।