ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

পাকিস্তান ক্রিকেটকে হত্যা করেছে নিউ জিল্যান্ড

  • আপডেট সময় : ১২:৩২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : পাকিস্তানে পুরো দমে কেবলই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরতে যাচ্ছিল, সফরে যেতে শুরু করেছিল বড় বড় দেশগুলো। কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কায় ম্যাচ না খেলে শেষ মুহূর্তে নিউ জিল্যান্ডের পাকিস্তান ছাড়ার সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছে প্রেক্ষাপট। শঙ্কা জেগেছে দেশটিতে হতে যাওয়া সামনের সিরিজগুলো নিয়ে। কিউইদের এমন পদক্ষেপে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনার ঝড়। ২০০৯ সালে লাহোরে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দীর্ঘ দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়নি পাকিস্তানে। লম্বা সময় নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ‘হোম সিরিজ’ খেলা দেশটিতে ধীরে ধীরে সফর শুরু করছিল বিভিন্ন দেশ। এরই অংশ ছিল নিউ জিল্যান্ডের এই সফর। যেখানে তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল তাদের। কিন্তু এখন ভেস্তে গেছে সব কিছু। শুক্রবার প্রথম ওয়ানডে শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা বলে সিরিজ বাতিল করে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট। নিউ জিল্যান্ডের এমন সিদ্ধান্ত মানতেই পারছেন না পিসিবির নতুন প্রধান রমিজ রাজা। টুইট করে হতাশার কথা জানানোর পাশাপাশি আইসিসির কাছে অভিযোগও করার কথা বললেন তিনি।
“খুবই বাজে একটা দিন ছিল। সমর্থক ও ক্রিকেটারদের জন্য ব্যথিত আমি। নিরাপত্তার হুমকির ব্যাপারে একতরফা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সফর থেকে চলে যাওয়া খুবই হতাশাজনক। বিশেষ করে যখন সেটার কারণ খোলাসা হয় না! নিউ জিল্যান্ড কোন পৃথিবীতে বাস করে? আমরা আইসিসির কাছে অভিযোগ করব এবং নিউ জিল্যান্ড সেখানেই শুনতে পাবে।” পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতারের তো মনেই হচ্ছে, নিউ জিল্যান্ডের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের ক্রিকেটকে পুরোই শেষ করে দিয়েছে। “পাকিস্তান ক্রিকেটকে হত্যা করেছে নিউ জিল্যান্ড।” নিউ জিল্যান্ড নিরাপত্তা শঙ্কা দেখালেও মোহাম্মদ হাফিজ তার দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগ নিয়ে বেশ গর্বিত। “পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ও সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যেক পাকিস্তানির কাছে গর্বের। নিউ জিল্যান্ডের এই একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। পাকিস্তান নিরাপদ ও গর্বিত দেশ।” বিশ্ব একাদশের হয়ে একবার পাকিস্তান সফরে এসেছিলেন ড্যারেন স্যামি। তবে পিএসএলে খেলেছেন এখানে, এখন পেশাওয়ার জালমির কোচ হিসেবেও কাজ করছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটারের দ্বিতীয় ঘর বলা চলে পাকিস্তানকে। দেশটির নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা দেখছেন না তিনি।
“পিসিবি ও পাকিস্তান সরকার খুবই কঠোর পরিশ্রম করছে পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরাতে। আমি আবারও বলছি, ক্রিকেট খেলেছি এমন দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি। এখানে যখন থাকি, নিজের ঘর মনে হয় আমার। তাই বেশ হতাশ লাগছে এখন।” মাইকেল ভন।মাইকেল ভন।সব কিছু আয়োজনের পর হুট করে সিরিজ বাতিল হওয়া অনেক বড় ধরনের ক্ষতি, মনে করছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। “পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য এটা খুবই হতাশার। শেষ মুহূর্তে বাতিলের এই ধরনের সিদ্ধান্ত ক্রিকেটকে আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত করে। আশা করি, পাকিস্তানে আবার ক্রিকেট খেলার অনুমতি দেওয়ার জন্য নিরাপত্তার সমস্যা সমাধান হবে।” ফখর জামান নিউ জিল্যান্ডের এমন চিন্তা ভাবনা নিয়ে প্রকাশ করেছেন তার হতাশা। “পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দারুণ এবং সন্তোষজনক। নিউ জিল্যান্ড দলকে অসাধারণ নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে। সম্পূর্ণ আশ্বাস এবং সন্তুষ্টির পর, নিউ জিল্যান্ডের শেষ মুহূর্তে সিরিজ প্রত্যাহার করা খুবই দুঃখজনক। আমাদের ক্রিকেট ভক্তদের কাছে দুঃখিত।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তান ক্রিকেটকে হত্যা করেছে নিউ জিল্যান্ড

আপডেট সময় : ১২:৩২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : পাকিস্তানে পুরো দমে কেবলই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরতে যাচ্ছিল, সফরে যেতে শুরু করেছিল বড় বড় দেশগুলো। কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কায় ম্যাচ না খেলে শেষ মুহূর্তে নিউ জিল্যান্ডের পাকিস্তান ছাড়ার সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছে প্রেক্ষাপট। শঙ্কা জেগেছে দেশটিতে হতে যাওয়া সামনের সিরিজগুলো নিয়ে। কিউইদের এমন পদক্ষেপে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনার ঝড়। ২০০৯ সালে লাহোরে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দীর্ঘ দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়নি পাকিস্তানে। লম্বা সময় নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ‘হোম সিরিজ’ খেলা দেশটিতে ধীরে ধীরে সফর শুরু করছিল বিভিন্ন দেশ। এরই অংশ ছিল নিউ জিল্যান্ডের এই সফর। যেখানে তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল তাদের। কিন্তু এখন ভেস্তে গেছে সব কিছু। শুক্রবার প্রথম ওয়ানডে শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা বলে সিরিজ বাতিল করে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট। নিউ জিল্যান্ডের এমন সিদ্ধান্ত মানতেই পারছেন না পিসিবির নতুন প্রধান রমিজ রাজা। টুইট করে হতাশার কথা জানানোর পাশাপাশি আইসিসির কাছে অভিযোগও করার কথা বললেন তিনি।
“খুবই বাজে একটা দিন ছিল। সমর্থক ও ক্রিকেটারদের জন্য ব্যথিত আমি। নিরাপত্তার হুমকির ব্যাপারে একতরফা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সফর থেকে চলে যাওয়া খুবই হতাশাজনক। বিশেষ করে যখন সেটার কারণ খোলাসা হয় না! নিউ জিল্যান্ড কোন পৃথিবীতে বাস করে? আমরা আইসিসির কাছে অভিযোগ করব এবং নিউ জিল্যান্ড সেখানেই শুনতে পাবে।” পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতারের তো মনেই হচ্ছে, নিউ জিল্যান্ডের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের ক্রিকেটকে পুরোই শেষ করে দিয়েছে। “পাকিস্তান ক্রিকেটকে হত্যা করেছে নিউ জিল্যান্ড।” নিউ জিল্যান্ড নিরাপত্তা শঙ্কা দেখালেও মোহাম্মদ হাফিজ তার দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগ নিয়ে বেশ গর্বিত। “পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ও সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যেক পাকিস্তানির কাছে গর্বের। নিউ জিল্যান্ডের এই একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। পাকিস্তান নিরাপদ ও গর্বিত দেশ।” বিশ্ব একাদশের হয়ে একবার পাকিস্তান সফরে এসেছিলেন ড্যারেন স্যামি। তবে পিএসএলে খেলেছেন এখানে, এখন পেশাওয়ার জালমির কোচ হিসেবেও কাজ করছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটারের দ্বিতীয় ঘর বলা চলে পাকিস্তানকে। দেশটির নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা দেখছেন না তিনি।
“পিসিবি ও পাকিস্তান সরকার খুবই কঠোর পরিশ্রম করছে পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরাতে। আমি আবারও বলছি, ক্রিকেট খেলেছি এমন দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি। এখানে যখন থাকি, নিজের ঘর মনে হয় আমার। তাই বেশ হতাশ লাগছে এখন।” মাইকেল ভন।মাইকেল ভন।সব কিছু আয়োজনের পর হুট করে সিরিজ বাতিল হওয়া অনেক বড় ধরনের ক্ষতি, মনে করছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। “পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য এটা খুবই হতাশার। শেষ মুহূর্তে বাতিলের এই ধরনের সিদ্ধান্ত ক্রিকেটকে আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত করে। আশা করি, পাকিস্তানে আবার ক্রিকেট খেলার অনুমতি দেওয়ার জন্য নিরাপত্তার সমস্যা সমাধান হবে।” ফখর জামান নিউ জিল্যান্ডের এমন চিন্তা ভাবনা নিয়ে প্রকাশ করেছেন তার হতাশা। “পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দারুণ এবং সন্তোষজনক। নিউ জিল্যান্ড দলকে অসাধারণ নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে। সম্পূর্ণ আশ্বাস এবং সন্তুষ্টির পর, নিউ জিল্যান্ডের শেষ মুহূর্তে সিরিজ প্রত্যাহার করা খুবই দুঃখজনক। আমাদের ক্রিকেট ভক্তদের কাছে দুঃখিত।”