ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

পাকিস্তানে রাজনৈতিক পরিবর্তন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: চীন

  • আপডেট সময় : ০১:১০:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে রাজনৈতিক পরিবর্তন ইসলামাবাদ-বেইজিং সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলে আশ্বস্ত করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এ কথা বলেছেন। রেডিও পাকিস্তানের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জিয়ো নিউজ এ কথা জানিয়েছে।
বেইজিংয়ে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নীতি অব্যাহত রাখবে চীন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি পাকিস্তানের সব পক্ষ ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং একসঙ্গে নিজেদের সার্বিক জাতীয় স্থিতিশীলতা ও উন্নতি রক্ষা করবে।’
আগের দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই দেওয়া বক্তব্যে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘সুসময়-দুঃসময়ে পাকিস্তানের সঙ্গী ছিল চীন। কেউ আমাদের কাছ থেকে চীন-পাকিস্তান বন্ধুত্ব কেড়ে নিতে পারবে না।’ তিনি বলেন, এটা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক।
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন শাহবাজ। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় সিপিইসি প্রকল্পের কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। এরপর বিরোধী জোটের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে সোমবার জাতীয় পরিষদে ১৭৪ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ। পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। অনাস্থা প্রস্তাবের পেছনে একটি বিদেশি রাষ্ট্রের (যুক্তরাষ্ট্র) ষড়যন্ত্র রয়েছে অভিযোগ করে ইমরান খান বলেন, ‘আমদানি করা সরকার’ তাঁর দল মেনে নেবে না। এ জন্য কার্যত অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি থেকে শুরু করে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ানো পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন ইমরান খানের অনুগত রাজনীতিকেরা।
পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক কৌশলগত। প্রায় সব সরকারের সঙ্গেই তারা সুসম্পর্ক রেখে চলে। ইসলামাবাদের রাজনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে বেইজিংকে কখনো কথা বলতে দেখা যায় না। এ ছাড়া শাহবাজের সঙ্গে চীনের উষ্ণ সম্পর্ক আছে বলেই মনে করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে রাজনৈতিক পরিবর্তন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: চীন

আপডেট সময় : ০১:১০:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে রাজনৈতিক পরিবর্তন ইসলামাবাদ-বেইজিং সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলে আশ্বস্ত করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এ কথা বলেছেন। রেডিও পাকিস্তানের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জিয়ো নিউজ এ কথা জানিয়েছে।
বেইজিংয়ে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নীতি অব্যাহত রাখবে চীন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি পাকিস্তানের সব পক্ষ ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং একসঙ্গে নিজেদের সার্বিক জাতীয় স্থিতিশীলতা ও উন্নতি রক্ষা করবে।’
আগের দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই দেওয়া বক্তব্যে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘সুসময়-দুঃসময়ে পাকিস্তানের সঙ্গী ছিল চীন। কেউ আমাদের কাছ থেকে চীন-পাকিস্তান বন্ধুত্ব কেড়ে নিতে পারবে না।’ তিনি বলেন, এটা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক।
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন শাহবাজ। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় সিপিইসি প্রকল্পের কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। এরপর বিরোধী জোটের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে সোমবার জাতীয় পরিষদে ১৭৪ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ। পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। অনাস্থা প্রস্তাবের পেছনে একটি বিদেশি রাষ্ট্রের (যুক্তরাষ্ট্র) ষড়যন্ত্র রয়েছে অভিযোগ করে ইমরান খান বলেন, ‘আমদানি করা সরকার’ তাঁর দল মেনে নেবে না। এ জন্য কার্যত অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি থেকে শুরু করে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ানো পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন ইমরান খানের অনুগত রাজনীতিকেরা।
পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক কৌশলগত। প্রায় সব সরকারের সঙ্গেই তারা সুসম্পর্ক রেখে চলে। ইসলামাবাদের রাজনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে বেইজিংকে কখনো কথা বলতে দেখা যায় না। এ ছাড়া শাহবাজের সঙ্গে চীনের উষ্ণ সম্পর্ক আছে বলেই মনে করা হয়।